বিধাননগর, 18 নভেম্বর: বেপরোয়া গতির জেরে ফের দুর্ঘটনা নিউটাউনে । টোটোতে বাইকের ধাক্কায় আহত মহিলা-সহ তিনজন ৷ এই ঘটনায় আবারও প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে রবিবার রাত আটটা নাগাদ নিউটাউনে ৷ সার্চি সিগন্যাল থেকে একটি টোটো যাত্রীদের নিয়ে নিউটাউন রাম মন্দিরের দিকে যাচ্ছিল । ঠিক সেই সময় উলটো দিক থেকে সিগন্যাল ভেঙে একটি বাইক রাম মন্দিরের দিক থেকে সার্চির দিকে আসছিল ৷ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইকটি এসে ধাক্কা মারে টোটোতে ৷
ঘটনার পরই আরোহী-সহ বাইকটি রাস্তার ধারে ছিটকে গিয়ে পড়ে ৷ বেপরোয়া গতি থাকায় আগুন লেগে যায় বাইকটিতে ৷ দাউদাউ করে রাস্তার উপরই বাইকটি জ্বলতে থাকে ৷ ঘটনায় আহত হন বাইক চালক ও সঙ্গে থাকা মহিলা আরোহী । জখম হন টোটো চালকও ৷ তাঁদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ভিআইপি রোডের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ৷ দু'জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় ৷ টোটো চালকের জখম গুরুতর হওয়ায় তিনি এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷
গত 12 নভেম্বর দুটি বাসের রেষারেষির জেরে সল্টলেকে পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ৷ সেই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দুর্ঘটনা এড়াতে তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা, বিভিন্ন পরিবহণ নিগমের কর্তারা, বাস মালিক সংগঠন এবং ট্রাক মালিক সংগঠনের সদস্য-সহ বিধাননগর কমিশনারেটের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা ।
সেই বৈঠকে দুর্ঘটনা রুখতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল ৷ সেই বার্তা শোনা যায় পরিবহণমন্ত্রীর মুখেও ৷ তিনি জানান, এবার থেকে বেপরোয়া গতির কারণে মৃত্যু হলে চালকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হবে ৷ ওয়াকিবহলমহলের দাবি, তারপরেও বেপরোয়া গতি রোধে ব্যর্থ পুলিশ প্রশাসন ৷ নজরদারির অভাবেই ফের দুর্ঘটনা ঘটে গেল নিউটাউনে ।