কলকাতা, 18 নভেম্বর: বিচারহীন 100 দিন। আবারও রাত দখলের শহর কলকাতায়। এবার জুনিয়র চিকিৎসকরা রাতে সমাবেশের ডাক দেন। আর সেই সমাবেশ থেকে আরও একবার উঠে এল বিচারের দাবি। তার সঙ্গে প্রশাসন ও সিবিআই-এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এই রাতের সমাবেশে যোগ দিয়ে জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদার আরও একবার নবান্নের বৈঠকের কথা টেনে আনেন।
থ্রেট কালচার নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, "স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য দফতর এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী সবাই সব জানে। প্রথম দিন থেকে সন্দেহ হত শাসক ভুলিয়ে দিতে চাইছে। কিন্তু এইভাবে কণ্ঠরোধ করা যাবে না।"
রবিবার শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে রাতের সমাবেশে ডাক দিয়েছিলেন তাঁরা। সেখানে আরও একবার সিবিআই থেকে শুরু করে প্রশাসন ও সুপ্রিম কোর্ট নিয়ে সোচ্চার হন জুনিয়র চিকিৎসকরা ৷ দেবাশিস হালদার বলেন, "সুপ্রিম কোর্টের শুধুমাত্র তারিখ-পে-তারিখ চলছে। ওদিকে সঞ্জয় রায় শিয়ালদা কোটে একাধিক মন্তব্য করছেন। আমরা জানি না, তা সত্যি না মিথ্যে। কিন্তু উনি যেগুলো বলছেন সংবাদমাধ্যমের সামনে সেগুলো সিবিআইকে বলছেন তো ? অথবা এ বিষয়গুলি নিয়ে যথাযথ বিচার হচ্ছে তো ?"
এরপরই জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিসের মুখে শোনা যায় থ্রেট কালচার প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, "অর্থ কোথায় গেল এই নিয়ে প্রশ্ন। যদি কেউ আইনিভাবে লড়তে চায়, তার জন্য আমরা প্রস্তুত। কারণ আমাদের কাছে সমস্ত হিসেব আছে। উল্টোদিকে আশিস পাণ্ডে যে কি না, একজন ইন্টার্ন। তাঁকে সিবিআই গ্রেফতার করছে দুর্নীতির জন্য। আমরা যখন তাঁদের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলাম দেখলাম নবান্নে মাননীয়া থ্রেট কালচারের পক্ষ নিয়ে নিলেন। আবার অনেক সময় শুনলাম কেউ নাকি জানতই না। স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য দফতর, স্বাস্থ্যসচিব সবাই সব জানে।"
এরই পাশাপাশি প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল কেউ তদন্তের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছেন, জুনিয়র চিকিৎসকরা। অন্যদিকে, আরও এক জুনিয়র চিকিৎসক সৌম্যদীপ রায়ের মুখেও শোনা গেল প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ। তিনি বলেন, "সমাজের সর্বস্তরের মানুষ আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। আপনাদের সমর্থন আমাদের প্রেরণা। আমরা ভাবতে পারিনি এই আন্দোলন 100 দিন ধরে চলবে। আমরা সিবিআই চার্জশিটে সন্তুষ্ট হইনি। সেখানে আজকে রাজ্য প্রশাসন তার দায় ঝেড়ে ফেলেছে। যে তথ্যপ্রমাণ লোপাট হয়েছে, তার দায় কে নেবে ৷"