মালদা, 31 ডিসেম্বর: প্রশাসনিক ভবন ও জেলা আদালত চত্বরে বেপরোয়া সরকারি গাড়ির ধাক্কায় আহত কমপক্ষে 6 জন। ঘাতক গাড়িটিকে সরিয়ে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যালে পাঠান এলাকায় উপস্থিত লোকজন। এই ঘটনায় জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ৷
জেলা প্রশাসনিক ভবন-সহ মালদা জেলা আদালতে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষের আনাগোনা। বছরের শেষ দিনেও তেমনই ভিড় ছিল প্রশাসনিক ভবন চত্বরে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, দুপুর 1টা নাগাদ পিডব্লিউডি (ইলেকট্রিক্যাল) বোর্ড লাগানো একটি গাড়ি দ্রুত গতিতে এসে বেশ কয়েকজনকে ধাক্কা মারে ৷ তারপর গাড়িটি একটি দোকানেও ঢুকে যায়। এর ফলে গাড়ি থেকে ধোঁয়া বেরোতে শুরু করে। আতঙ্কে লোকজন এদিক-ওদিক দৌড়তে থাকেন ।
প্রথমে তাঁরাই জল দিয়ে গাড়িটির ধোঁয়া নেভান ৷ তারপরই দেখা যায় গাড়ির তলায় কয়েকজন চাপা পড়ে রয়েছে। সরকারি গাড়ি সরিয়ে আহতদের উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যালে পাঠানো হয়। ক্ষোভ আছড়ে পড়ে সরকারি গাড়িতেও। চালককে আটক করে রেখে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘাতক গাড়ির চালককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় ইংরেজবাজার থানার পুলিশ।
দুর্ঘটনার হাত থেকে কোনওমতে রক্ষা পেয়েছেন কৌশিক ঘোষ। তিনি বলেন, "চা খেতে এসেছিলাম। হঠাৎ একটি গাড়ি দ্রুত গতিতে কয়েকজনকে ধাক্কা মারার পর দোকানে ঢুকে যায়। আমি প্রাণে বেঁচে গিয়েছি। বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে।" ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, "সরকারি বোর্ড লাগানো একটি গাড়ি দ্রুত গতিতে এসে 5-6 জনকে ধাক্কা মেরে দোকানে ঢুকে যায়। তারপর গাড়ি থেকে ধোঁয়া বেরোতে শুরু করে। গাড়ির স্টার্ট বন্ধ করা যাচ্ছিল না।"
আর এক প্রত্যক্ষদর্শী অরূপ গোস্বামী বলেন, "আমরা এখানে বসে কাজ করি। দুর্ঘটনার পর গাড়ি থেকে ধোঁয়া বেরোতে থাকে। বিস্ফোরণ আটকাতে আমরা গাড়িতে জল দিই। আহতদের মেডিক্যালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। ধোঁয়া কমার পর দেখি গাড়ির তলায় তখনও এক মহিলা আটকে ছিলেন। আমরা গাড়িটি সরিয়ে ওই মহিলাকেও উদ্ধার করি। দু'জন মহিলা ও একজন পুরুষকে আমরা উদ্ধার করে মেডিক্যালে পাঠিয়েছি। চালককে আমরা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি।"