ETV Bharat / state

বন্ধ কোচবিহার চা বাগান, বিপাকে ১২০০ শ্রমিক

আচমকাই বন্ধ হয়ে গেল কোচবিহার চা বাগান। যার জেরে কর্মহীন হয়ে পড়বেন প্রায় ১২০০ জন শ্রমিক।

ছবিটি প্রতীকী (ছবি সৌজন্য : pixabay)
author img

By

Published : Mar 19, 2019, 8:57 AM IST

Updated : Mar 19, 2019, 9:09 AM IST

কোচবিহার, ১৯ মার্চ : আচমকাই বন্ধ হয়ে গেল কোচবিহার চা বাগান। যার জেরে কর্মহীন হয়ে পড়বেন প্রায় ১২০০ জন শ্রমিক। ১৯৪৭ সালে কোচবিহারের ঘোকসাডাঙা এলাকায় গড়ে ওঠে কোচবিহার চা বাগান। ঠিকমতোই চলছিল বাগানটি। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন চা ফ্যাক্টরি বন্ধ হলেও কোচবিহার চা বাগানের উপর তার প্রভাব পড়েনি। কিন্তু, চলতি মাসের ১৩ তারিখ আচমকাই তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় এই বাগানে।

সূত্রের খবর, কিছুদিন আগে কোচবিহার চা ফ্যাক্টরিতে 'টি বোর্ড'-এর একটি টিম তদন্তে আসে। তদন্তের পর নাকি টি বোর্ড জানায়, পরিকাঠামো ঠিক নেই ফ্যাক্টরির। তারপরই ফ্যাক্টরি বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

বাগান কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ফ্যাক্টরি বন্ধ থাকলেও চা বিক্রি করা হচ্ছে অন্য ফ্যাক্টরি থেকে। যার জেরে উপার্জন কম হচ্ছে। যা উপার্জন হবে তা দিয়ে চা বাগান খুব বেশি হলে ১০-১৫ দিন চলতে পারে। এর ফলে শ্রমিকদের বেতন দিতে পারবে না কর্তৃপক্ষ। গতকাল চা শ্রমিকরা তরাই-ডুয়ার্স টি প্লান্টেশন ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের পক্ষ থেকে মাথাভাঙা ২ ব্লকের BDO -র কাছে ডেপুটেশন জমা দেন।

এই বিষয়ে লেবার ইউনিয়নের সম্পাদক দিমনুস টিগ্গা বলেন, "এতদিন ধরে বাগানের ফ্যাক্টরি ঠিক চলছিল, কোনও সমস্যা ছিল না। কিন্তু, টি বোর্ড তদন্তে আসার পর আচমকা তিন মাসের জন্য ফ্যাক্টরি বন্ধ করার নোটিশ দেয়। তাহলে শ্রমিকদের দিন চলবে কীভাবে?"

যদিও চা বাগানের ম্যানেজার পি ভি শর্মা বলেন, "চিন্তার কোনও কারণ নেই। আজ কলকাতায় মালিক পক্ষের সঙ্গে মিটিং আছে। আশা করছি সব ঠিক হয়ে যাবে।"

কোচবিহার, ১৯ মার্চ : আচমকাই বন্ধ হয়ে গেল কোচবিহার চা বাগান। যার জেরে কর্মহীন হয়ে পড়বেন প্রায় ১২০০ জন শ্রমিক। ১৯৪৭ সালে কোচবিহারের ঘোকসাডাঙা এলাকায় গড়ে ওঠে কোচবিহার চা বাগান। ঠিকমতোই চলছিল বাগানটি। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন চা ফ্যাক্টরি বন্ধ হলেও কোচবিহার চা বাগানের উপর তার প্রভাব পড়েনি। কিন্তু, চলতি মাসের ১৩ তারিখ আচমকাই তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় এই বাগানে।

সূত্রের খবর, কিছুদিন আগে কোচবিহার চা ফ্যাক্টরিতে 'টি বোর্ড'-এর একটি টিম তদন্তে আসে। তদন্তের পর নাকি টি বোর্ড জানায়, পরিকাঠামো ঠিক নেই ফ্যাক্টরির। তারপরই ফ্যাক্টরি বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।

বাগান কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ফ্যাক্টরি বন্ধ থাকলেও চা বিক্রি করা হচ্ছে অন্য ফ্যাক্টরি থেকে। যার জেরে উপার্জন কম হচ্ছে। যা উপার্জন হবে তা দিয়ে চা বাগান খুব বেশি হলে ১০-১৫ দিন চলতে পারে। এর ফলে শ্রমিকদের বেতন দিতে পারবে না কর্তৃপক্ষ। গতকাল চা শ্রমিকরা তরাই-ডুয়ার্স টি প্লান্টেশন ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের পক্ষ থেকে মাথাভাঙা ২ ব্লকের BDO -র কাছে ডেপুটেশন জমা দেন।

এই বিষয়ে লেবার ইউনিয়নের সম্পাদক দিমনুস টিগ্গা বলেন, "এতদিন ধরে বাগানের ফ্যাক্টরি ঠিক চলছিল, কোনও সমস্যা ছিল না। কিন্তু, টি বোর্ড তদন্তে আসার পর আচমকা তিন মাসের জন্য ফ্যাক্টরি বন্ধ করার নোটিশ দেয়। তাহলে শ্রমিকদের দিন চলবে কীভাবে?"

যদিও চা বাগানের ম্যানেজার পি ভি শর্মা বলেন, "চিন্তার কোনও কারণ নেই। আজ কলকাতায় মালিক পক্ষের সঙ্গে মিটিং আছে। আশা করছি সব ঠিক হয়ে যাবে।"

Last Updated : Mar 19, 2019, 9:09 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.