তারাপীঠ, 1 জুলাই: অবিজেপি সর্বভারতীয় জোট নিয়ে সোজা সাপটা জবাব দিলেন রাজ্যের পৌর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ৷ একই সঙ্গে, অধীর চৌধুরীকেও শনিবার তীব্র কটাক্ষ করেন ফিরহাদ ৷
রবিবার রামপুরহাট দুই নম্বর ব্লকে তৃণমূলের কর্মী সম্মেলনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে অধীর চৌধুরীর 'ম্যাঙ্গো ডিপ্লোমেসি' মন্তব্যের উত্তরে কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, "সৌজন্য কখনও দুর্বলতা হয় না। অধীর চৌধুরীর যাঁরা নেতা, তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বসছেন কেন? সোমনাথ চট্টোপাধ্য়ায়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করার পরও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে হারিয়েছিলেন ৷ যেটা অধীর চৌধুরীরা ভাবতেও পারেনি সিপিএমকে হারাতে পারে।"
এর আগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী অভিযোগ করে জানান, সিবিআই তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ আর সে কারণেই 'ম্যাঙ্গো ডিপ্লোমেসি' করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ একই সঙ্গে, অধীরের অভিযোগ, নিজের আখের গোছাতে প্রধানমন্ত্রীকে পেটি-পেটি হিমসাগর ও ল্যাঙরা আম পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ এই মন্তব্যের উত্তর দিতে গিয়ে এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, "দেশের সংসদে দাঁড়িয়ে মা দুর্গার সঙ্গে ইন্দিরা গান্ধিকে তুলনা করেছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী ৷ আবার ইউএন সম্মেলনে অটল বিহারী বাজপেয়ীকে বক্তৃতা দিতে ইন্দিরা গান্ধি পাঠিয়েছিলেন। এটাকে বলে সৌজন্য।"
একই সঙ্গে, বাংলার আম পাঠানোর মধ্যে যে নিখাদ সৌজন্য রয়েছে তাও এদিন স্পষ্ট করেছেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, "এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। এটা নিছকই সৌজন্যমূলক ৷" সম্প্রতি বিহারের পটনায় 17টি বিরোধী দল 2024-এ বিজেপি বিরোধী সর্বভারতীয় জোটের জন্য বৈঠক করে। এদিন সেই প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, "আমাদের একটাই উদ্দেশ্য বিজেপি হটাও, দেশ বাঁচাও। তার মানে এই নয়, যে পঞ্চায়েতে আমাদের গালাগালি করবে, আর আমরা শুনব। পঞ্চায়েত ভোটে বাম-কংগ্রেস-বিজেপির সঙ্গে তলায় তলায় আঁতাত করবে, সেখানে আমি এডজাস্ট করব, তা হয় না। সে তো কেরলে কংগ্রেস-সিপিএমের সঙ্গে লড়াই। এখানে এক কেন? কংগ্রেস আর সিপিএম কেরলে জোট করবে? আমরা পঞ্চায়েতে একা লড়ব, জিতব। মানুষের সেবা করব।"
আরও পড়ুন: ইডি'র ডাকই কাল হল! দলের পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে নাম নেই সায়নী ঘোষের
এদিন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম পটনার জোটের বৈঠক সম্পর্কে আরও বলেন, "ভারতবর্ষের প্রতিটি মানুষ চাইছে বিজেপি যে সাম্প্রদায়িক, দমনের রাজনীতি তার থেকে মুক্তি পেতে। তাই ভারতের বিরোধী নেতারা চাইছেন এক হয়ে একটি বিরোধী প্লাটফর্ম তৈরি করে লড়াই করতে।"