নানুর (বীরভূম), 25 মার্চ: বীরভূম নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের পরদিনই নানুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ৷ তৃণমূলের কার্যালয় থেকে সংখ্যালঘু সেলের নেতাকে মারধর করে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ৷ এই ঘটনায় অভিযোগের তির কোর কমিটি সদস্য কাজল শেখের অনুগামীদের বিরুদ্ধে ৷ নানুর থানায় সে কথা উল্লেখ করেই অভিযোগ দায়ের করেছেন আহত তৃণমূল নেতা রিঙ্কু চৌধুরী (TMC Factionalism at Nanur Day After Mamata Banerjees Warning) ৷
ওড়িশা সফর থেকে ফিরে শুক্রবার বীরভূমের প্রায় 350 জন নেতা-মন্ত্রীকে নিয়ে কালীঘাটে বৈঠক করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছিল, কোর কমিটির সদস্য নানুরের তৃণমূল নেতা কাজল শেখকে বৈঠকে ধমক দেন মমতা ৷ প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে দলের নেতাদের বিরুদ্ধে কথা বলায় রাশ টানা হয় ৷ প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন সভামঞ্চ থেকে দলের নেতাদের দুর্নীতি, বালির কারবার প্রসঙ্গে সরব হয়েছিলেন কাজল শেখ ৷ যা নিয়ে নানুরে তৃণমূলের অন্দরে ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়েছিল ৷
কিন্তু, কোথায় কী ! তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের পরেরদিনই গোষ্ঠী কোন্দল শুরু নানুরে ৷ শনিবার দলীয় কার্যালয় থেকে সংখ্যালঘু সেলের নানুর ব্লক সভাপতি রিঙ্কু চৌধুরীকে মারধর করে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ৷ তাঁর জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয় ৷ দলীয় কার্যালয়ে ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্যের উপস্থিতিতেই বচসা হয় ৷ যে ঘটনায় সেখানে উপস্থিত কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে ওঠে ৷ অভিযোগ তারপরেই শুরু হয় মারধর ৷ ছেঁড়া জামা ও আহত অবস্থায় রিঙ্কু চৌধুরী নানুর থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন ৷
রিঙ্কু চৌধুরী জানান, অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামী হওয়ায় তাঁর উপর এই হামলা চালানো হয়েছে ৷ তিনি অভিযোগ করেছেন, কাজল শেখ, সুব্রত ভট্টাচার্যরা জানিয়েছেন, অনুব্রত মণ্ডলের কোনও লোককে কার্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না ৷ এরপরেই তাঁকে চেয়ার ছুড়ে মারা হয় ৷ লাঠি দিয়ে মারধর করা হয় বলে পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে জানিয়েছেন রিঙ্কু চৌধুরী ৷
আরও পড়ুন: পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, আহত 5
যদিও, তৃণমূলের নানুর ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য দাবি করেছেন, রিঙ্কু চৌধুরীকে মারধর করা হয়নি ৷ তিনি মিথ্যা অভিযোগ করছেন ৷ রিঙ্কু চৌধুরীর বিরুদ্ধে পালটা দলীয় নেতাকর্মীদের উত্যক্ত করার অভিযোগ করেছেন নানুর ব্লক সভাপতি ৷ রিঙ্কুর আচরণে সেখানে উপস্থিত কর্মীরা রেগে যান ৷ সেই সময় সুব্রত ভট্টাচার্য সংখ্যালঘু সেলের সভাপতিকে চলে যেতে বলেন ৷ তখনই নাকি রিঙ্কু সুব্রতকে মারতে যান ৷ সেই সময় সেখানে উপস্থিত সকলে মিলে রিঙ্কু চৌধুরীকে বের করে দেন বলে দাবি করেছেন সুব্রত ভট্টাচার্য ৷