ETV Bharat / state

"ডেলিবারেটলি সুইসাইড করতেই বসেছিলুম", নোবেলপ্রাপ্তির পর রথীন্দ্রনাথকে লিখেছিলেন কবিগুরু

নোবেল পাওয়ার পর গভীর অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর । চিঠি লেখেন রথীন্দ্রনাথকে । আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন বলে লিখেছিলেন চিঠিতে । কিন্তু, সেই অবসাদ কাটিয়ে উঠেছিলেন কবিগুরু নিজেই । কারণ উত্তরণের সাধনাটা তিনি জানতেন ।

রবীন্দ্রনাথ
author img

By

Published : May 9, 2019, 9:27 AM IST

Updated : May 9, 2019, 10:34 AM IST

বোলপুর, 9 মে : নোবেল প্রাপ্তির পরই অবসাদের অতল গহ্বরে তলিয়ে গিয়েছিলেন কবিগুরু । জীবনে তৃপ্তির লেশমাত্র ছিল না । সে যেন এক অন্য মানুষ । মানসিক অবসাদের কথা জানিয়ে চিঠি লিখলেন পুত্র রথীন্দ্রনাথকে । লেখেন "আমি ডেলিবারেটলি সুইসাইড (ইচ্ছাকৃতভাবে আত্মহত্যা) করতে বসেছিলুম। যা কিছু স্পর্শ করছিলুম সমস্তই যেন ছুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলছিলুম । এরকম একেবারে উলটো মানুষ যে কী রকম হতে পারে, এ আমার নতুন অভিজ্ঞতা ।" 25 বৈশাখে ETV ভারতের মুখোমুখি হয়ে কবির জীবনের অন্য দিক তুলে ধরলেন রবীন্দ্র গবেষক অধ্যাপক মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় ।

কবির ঘরে তখন সদ্যই এসেছে নোবেল পদক । গোটা দেশ তাঁকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত । বিশ্বে তিনি খ্যাতির শীর্ষে । গোটা বিশ্ব যখন কবির প্রাপ্তিতে আনন্দে আত্মহারা, ঠিক তখন কবির অন্তরেই বাসা বেঁধেছে অন্ধকার । গভীর অবসাদ । রথীন্দ্রনাথকে চিঠিতে লিখলেন তাঁর সমস্ত বেদনার কথা । সেই সঙ্গে লিখলেন তাঁর উত্তরণের পথও । লিখলেন, "তোদের ভয় নেই, এ আমি ছিন্ন করবই । এর ঔষধ আমার অন্তরেই আছে। আমি কিছুদিন সুরুলের ছাদে শান্ত হয়ে বসে আবার আমার চিরন্তন স্বভাবকে ফিরে পাব সন্দেহ নেই । মৃত্যুর যে গুহার দিকে নেমে যাচ্ছিলুম, তার থেকে আবার আলোকে উঠে আসব, কোনও সন্দেহ নেই ।"

অধ্যাপক মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য

কেন এই অবসাদ, আত্মহত্যার চিন্তা ?

বিশ্বভারতীর বাংলাদেশ ভবনের মুখ্য সমন্বয়ক তথা রবীন্দ্র গবেষক অধ্যাপক মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় বলেন, "এটা ব্যাখ্যা করা খুবই মুশকিল । আমরা মনে করি যে কোনও একটা ইহজাগতিক প্রাপ্তি না ঘটলেই বুঝি অবসাদ আসে । কিন্তু, মনস্তত্ত্ব যে বড়ই জটিল, তাই অবসাদের সঠিক কারণ খোঁজা খুবই কঠিন । হতে পারে তিনি নিউরালজিয়ার ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছিলেন বা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ।

রথীন্দ্রনাথকে লেখা চিঠির গুরুত্ব

ETV ভারতকে মানবেন্দ্রবাবু বলেন, "এই চিঠির একটা অন্য গুরুত্ব আছে । এই একই বক্তব্য সম্বলিত চিঠি তিনি অ্যান্ড্রুজ়কেও লিখেছিলেন । কিন্তু, আমার কাছে এই চিঠির গুরুত্ব অনেকটাই। কারণ, এই কারণেই রবীন্দ্রনাথ, রবীন্দ্রনাথ। কারণ, তিনি উত্তরণের সাধনাটা জানেন । কীভাবে উঠে আসতে হয় ।"

প্রেরণার উৎস রবীন্দ্রনাথ

সব রকমের বিষল্যকরণী রবীন্দ্রনাথ । তাঁর মধ্যে সব রয়েছে । অধ্যাপক মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় বলছেন, "চারিদিকে যে এত মোটিভেশন লেকচার, সদর্থক চিন্তাভাবনা আলোচিত হয়, কিন্তু, রবীন্দ্রনাথের চিন্তাভাবনার মধ্যে যে মোটিভেশন আছে ,তা যদি আমাদের যুব সমাজ উপলব্ধি করতে পারে, তাহলে দেখা যাবে কবির অন্তরে সব রকমের বিষল্যকরণী রয়েছে । অবসাদ, বেদনা থেকে কীভাবে উত্তীর্ণ হতে হয় তিনি আমাদের শিখিয়েছেন ।"

বোলপুর, 9 মে : নোবেল প্রাপ্তির পরই অবসাদের অতল গহ্বরে তলিয়ে গিয়েছিলেন কবিগুরু । জীবনে তৃপ্তির লেশমাত্র ছিল না । সে যেন এক অন্য মানুষ । মানসিক অবসাদের কথা জানিয়ে চিঠি লিখলেন পুত্র রথীন্দ্রনাথকে । লেখেন "আমি ডেলিবারেটলি সুইসাইড (ইচ্ছাকৃতভাবে আত্মহত্যা) করতে বসেছিলুম। যা কিছু স্পর্শ করছিলুম সমস্তই যেন ছুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলছিলুম । এরকম একেবারে উলটো মানুষ যে কী রকম হতে পারে, এ আমার নতুন অভিজ্ঞতা ।" 25 বৈশাখে ETV ভারতের মুখোমুখি হয়ে কবির জীবনের অন্য দিক তুলে ধরলেন রবীন্দ্র গবেষক অধ্যাপক মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় ।

কবির ঘরে তখন সদ্যই এসেছে নোবেল পদক । গোটা দেশ তাঁকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত । বিশ্বে তিনি খ্যাতির শীর্ষে । গোটা বিশ্ব যখন কবির প্রাপ্তিতে আনন্দে আত্মহারা, ঠিক তখন কবির অন্তরেই বাসা বেঁধেছে অন্ধকার । গভীর অবসাদ । রথীন্দ্রনাথকে চিঠিতে লিখলেন তাঁর সমস্ত বেদনার কথা । সেই সঙ্গে লিখলেন তাঁর উত্তরণের পথও । লিখলেন, "তোদের ভয় নেই, এ আমি ছিন্ন করবই । এর ঔষধ আমার অন্তরেই আছে। আমি কিছুদিন সুরুলের ছাদে শান্ত হয়ে বসে আবার আমার চিরন্তন স্বভাবকে ফিরে পাব সন্দেহ নেই । মৃত্যুর যে গুহার দিকে নেমে যাচ্ছিলুম, তার থেকে আবার আলোকে উঠে আসব, কোনও সন্দেহ নেই ।"

অধ্যাপক মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য

কেন এই অবসাদ, আত্মহত্যার চিন্তা ?

বিশ্বভারতীর বাংলাদেশ ভবনের মুখ্য সমন্বয়ক তথা রবীন্দ্র গবেষক অধ্যাপক মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় বলেন, "এটা ব্যাখ্যা করা খুবই মুশকিল । আমরা মনে করি যে কোনও একটা ইহজাগতিক প্রাপ্তি না ঘটলেই বুঝি অবসাদ আসে । কিন্তু, মনস্তত্ত্ব যে বড়ই জটিল, তাই অবসাদের সঠিক কারণ খোঁজা খুবই কঠিন । হতে পারে তিনি নিউরালজিয়ার ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছিলেন বা ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ।

রথীন্দ্রনাথকে লেখা চিঠির গুরুত্ব

ETV ভারতকে মানবেন্দ্রবাবু বলেন, "এই চিঠির একটা অন্য গুরুত্ব আছে । এই একই বক্তব্য সম্বলিত চিঠি তিনি অ্যান্ড্রুজ়কেও লিখেছিলেন । কিন্তু, আমার কাছে এই চিঠির গুরুত্ব অনেকটাই। কারণ, এই কারণেই রবীন্দ্রনাথ, রবীন্দ্রনাথ। কারণ, তিনি উত্তরণের সাধনাটা জানেন । কীভাবে উঠে আসতে হয় ।"

প্রেরণার উৎস রবীন্দ্রনাথ

সব রকমের বিষল্যকরণী রবীন্দ্রনাথ । তাঁর মধ্যে সব রয়েছে । অধ্যাপক মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় বলছেন, "চারিদিকে যে এত মোটিভেশন লেকচার, সদর্থক চিন্তাভাবনা আলোচিত হয়, কিন্তু, রবীন্দ্রনাথের চিন্তাভাবনার মধ্যে যে মোটিভেশন আছে ,তা যদি আমাদের যুব সমাজ উপলব্ধি করতে পারে, তাহলে দেখা যাবে কবির অন্তরে সব রকমের বিষল্যকরণী রয়েছে । অবসাদ, বেদনা থেকে কীভাবে উত্তীর্ণ হতে হয় তিনি আমাদের শিখিয়েছেন ।"

sample description
Last Updated : May 9, 2019, 10:34 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.