ইলামবাজার, 8 জুলাই: ইলামবাজার থানার বেঁলোয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে 90 ও 91 নম্বর বুথে দেদার ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ৷ সেই খবর করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন ইটিভি ভারতের সাংবাদিক অভিষেক দত্ত রায় ৷ শুধু তিনি নন, আহত হয়েছেন ইন্দ্রজিৎ রুজ নামে আরও এক সাংবাদিক ৷ তাঁদেরকে বেধড়ক মারধর করে দুষ্কৃতীরা ৷ মেরে চশমা ভেঙে দেওয়া হয় অভিষেকের ৷ গেঞ্জি ও জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয় ইন্দ্রজিতের ৷ মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয় তাঁদের । পরে দুষ্কৃতীরা বাঁশ-লাঠি নিয়ে তাঁদের তাড়া করে ৷
জানা গিয়েছে, ওই বুথের নিরাপত্তায় ছিলেন মাত্র 2 জন নিরস্ত্র মহিলা পুলিশ কর্মী ৷ কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের দেখা মেলেনি সেখানে ৷ বীরভূমের ইলামবাজারের 90 ও 91 নম্বর বুথ ঘিরে দেদার ছাপ্পা ভোট দেওয়া চলছিল বলে অভিযোগ । সেই ছবি তুলতে প্রথমে বাধা দেওয়া হয় । পরে শুরু হয় মারধর ।
প্রসঙ্গত, গরু পাচার ও আর্থিক তছরুপ মামলায় তিহাড় সংশোধনাগারে বন্দি বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল । তাঁকে ছাড়াই এ বার পঞ্চায়েত নির্বাচন হয় বীরভূমে । অনুব্রত না থাকলেও অশান্তি থেকে পিছিয়ে নেই তাঁর জেলা । দিকে দিকে দেদার ছাপ্পা ভোট, বিরোধীদের মারধর, ব্যালট বাক্স লুটের অভিযোগ উঠেছে । বোলপুর বিধানসভার বিধায়ক তথা মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের এলাকা ইলামবাজারও বাদ যায়নি ৷ সেখানেও দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব চলেছে বলে অভিযোগ ।
আরও পড়ুন: চাকদায় দেদার ছাপ্পা শাসকের ! ব্যালট পেপার পোড়ানো ও জলে ফেলার অভিযোগ বিরোধীদের বিরুদ্ধে
ইলামবাজারের দিকে রীতিমতো ছাপ্পা ভোট হয় । সেই ছবি সংগ্রহ করতে গেলে 100 জনেরও বেশি দুষ্কৃতী বাঁশ লাঠি নিয়ে বাধা দেয় সাংবাদিকদের । ছবি তুললেই শুরু হয় মারধর । এই ঘটনায় পুলিশ ও প্রশাসন সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় ছিল বলে অভিযোগ । মহিলা প্রিসাইডিং অফিসার ও মহিলা পুলিশ কর্মীরা দুষ্কৃতীদের আটকাতে পারেননি ।