ETV Bharat / state

শিকেয় পড়াশোনা, করোনায় প্রশ্নের মুখে প্রাথমিকের ভবিষ্যৎ - covid

ছাত্রজীবনের ভবিষ্যতের ভিত নির্মাণ হয় প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। একথা আমাদের সকলেরই জানা। কিন্তু দীর্ঘ সময় বন্ধ সমস্ত পঠন-পাঠন। তাই একথা বলাই যায়, করোনা আবহের জেরে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা ।

করোনায় প্রশ্নের মুখে প্রাথমিকের ভবিষ্যত
করোনায় প্রশ্নের মুখে প্রাথমিকের ভবিষ্যত
author img

By

Published : May 24, 2021, 5:17 PM IST

Updated : May 24, 2021, 7:34 PM IST

বীরভূম, 23 মে : কেটে গিয়েছে প্রায় এক বছর দুই মাস । এখন আর 4টের সময় বাজে না ছুটির ঘণ্টা । ধুলো জমেছে সহজপাঠ, কিশলয়, বর্ণপরিচয় বইগুলিতে । একটা সময় কবে ছুটি পাওয়া যাবে তার জন্য মুখিয়ে থাকত ছেলেমেয়েগুলো ৷ আজ তাদের একটাই প্রশ্ন, কবে খুলবে স্কুল ৷

করোনা আবহে কার্যত অন্ধকারে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ । প্রায় দেড় বছর ধরে তালা পড়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে । দীর্ঘদিন স্কুলমুখী হতে পারেনি খুদে পড়ুয়ারা । পঠন-পাঠনের ধারা থেকে বহু যোজন দূরে সরে গিয়েছে খুদেরা । বিশেষ করে গ্রামস্তরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা । কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে ? কবে খুলবে স্কুল ? প্রশ্ন সকলের মনে ৷

2020 সালের 16 মার্চ ৷ সেদিন থেকে বন্ধ রাজ্যের সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় ৷ লকডাউন কাটলে মাঝে একাদশ দ্বাদশ শ্রেণী খুললেও ঘণ্টা বাজেনি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির ৷ একই চিত্র বীরভূম জেলাজুড়ে ৷ বন্ধ সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের পড়ুয়ারা তাও মাঝেমধ্যে অনলাইনে ক্লাস করছেন । কিন্তু, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ কী ?

ছাত্রজীবনের ভবিষ্যতের ভিত নির্মাণ হয় প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। একথা আমাদের সকলেরই জানা। কিন্তু দীর্ঘ দেড় বছর ধরে বন্ধ সমস্ত পঠন-পাঠন। তাই একথা বলাই যায়, করোনা আবহের জেরে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা । স্কুল গেটে তালা ৷ ফাঁকা ক্লাসঘর ৷ জমেছে ধুলো ৷ আগাছা গজিয়ে উঠেছে স্কুল চত্বরে ৷ পড়ে রয়েছে বাচ্চাদের খেলার দোলনা । দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের মুখ দেখেনি তারা । অথচ প্রত্যেকেই উত্তীর্ণ হয়েছে পরবর্তী ক্লাসে । এতে খুদে পড়ুয়াদের মেধার বিকাশ ঘটছে না । বিকাশ ঘটছে না শিশুমনেরও ।

এই মাঠে খেলে না আর ওরা....
এই মাঠে খেলে না আর ওরা....
পরিসংখ্যান অনুযায়ী বীরভূম জেলায় 2402টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিশুশিক্ষা কেন্দ্র রয়েছে । যেখানে প্রায় 1 লাখ 30 হাজার পড়ুয়া নিয়মিত পঠন-পাঠন করে । 8500 জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন । করোনা আবহের জেরে দীর্ঘকাল প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি বন্ধ থাকায় সর্বাধিক ক্ষতি গ্রামাঞ্চলের পড়ুয়াদের । শহর অঞ্চলের পড়ুয়াদের বাড়িতে পড়াশোনার রেওয়াজ থাকলেও, গ্রামস্তরে সেই সংখ্যা খুবই স্বল্প । খেলাধুলো করেই কাটাচ্ছে খুদে পড়ুয়ারা । যদিও, শিশুমন এই ক্ষতির কথা বোঝে না । তারা বলছে, "অনেকদিন ধরে স্কুল বন্ধ । বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে না । আমরা চাই স্কুল খুলুক তাড়াতাড়ি ।"
করোনায় প্রশ্নের মুখে প্রাথমিকের ভবিষ্যৎ
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কথায়, " অনেক ক্ষতি হচ্ছে খুদে পড়ুয়াদের । সংস্পর্শে না থাকলে পড়াশুনার ধারাবাহিকতা বজায় থাকে না । এই বিষয়ে সরকার কোনও একটি পথ বের করুক । আমাদের পূর্ণ সমর্থন থাকবে । অভিভাবকদের কাছে অনুরোধ বাড়িতে যাতে ওদের পড়াশোনা করানো হয় ।"

আরও পড়ুন : কোটি কোটি বছরের প্রাচীন উদ্ভিদ জীবাশ্মের ভাণ্ডার বীরভূমের ইলামবাজারে
বীরভূম জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি ড: প্রলয় নায়েক বলেন, "প্রথমে আমাদের কোভিড মোকাবিলা করতে হবে । দীর্ঘদিন বন্ধ স্কুল । এতে শিশুমনে বিকাশ স্বাভাবিক ভাবেই হচ্ছে না ।"

বীরভূম, 23 মে : কেটে গিয়েছে প্রায় এক বছর দুই মাস । এখন আর 4টের সময় বাজে না ছুটির ঘণ্টা । ধুলো জমেছে সহজপাঠ, কিশলয়, বর্ণপরিচয় বইগুলিতে । একটা সময় কবে ছুটি পাওয়া যাবে তার জন্য মুখিয়ে থাকত ছেলেমেয়েগুলো ৷ আজ তাদের একটাই প্রশ্ন, কবে খুলবে স্কুল ৷

করোনা আবহে কার্যত অন্ধকারে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ । প্রায় দেড় বছর ধরে তালা পড়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে । দীর্ঘদিন স্কুলমুখী হতে পারেনি খুদে পড়ুয়ারা । পঠন-পাঠনের ধারা থেকে বহু যোজন দূরে সরে গিয়েছে খুদেরা । বিশেষ করে গ্রামস্তরের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা । কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে ? কবে খুলবে স্কুল ? প্রশ্ন সকলের মনে ৷

2020 সালের 16 মার্চ ৷ সেদিন থেকে বন্ধ রাজ্যের সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় ৷ লকডাউন কাটলে মাঝে একাদশ দ্বাদশ শ্রেণী খুললেও ঘণ্টা বাজেনি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির ৷ একই চিত্র বীরভূম জেলাজুড়ে ৷ বন্ধ সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের পড়ুয়ারা তাও মাঝেমধ্যে অনলাইনে ক্লাস করছেন । কিন্তু, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ কী ?

ছাত্রজীবনের ভবিষ্যতের ভিত নির্মাণ হয় প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। একথা আমাদের সকলেরই জানা। কিন্তু দীর্ঘ দেড় বছর ধরে বন্ধ সমস্ত পঠন-পাঠন। তাই একথা বলাই যায়, করোনা আবহের জেরে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা । স্কুল গেটে তালা ৷ ফাঁকা ক্লাসঘর ৷ জমেছে ধুলো ৷ আগাছা গজিয়ে উঠেছে স্কুল চত্বরে ৷ পড়ে রয়েছে বাচ্চাদের খেলার দোলনা । দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের মুখ দেখেনি তারা । অথচ প্রত্যেকেই উত্তীর্ণ হয়েছে পরবর্তী ক্লাসে । এতে খুদে পড়ুয়াদের মেধার বিকাশ ঘটছে না । বিকাশ ঘটছে না শিশুমনেরও ।

এই মাঠে খেলে না আর ওরা....
এই মাঠে খেলে না আর ওরা....
পরিসংখ্যান অনুযায়ী বীরভূম জেলায় 2402টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিশুশিক্ষা কেন্দ্র রয়েছে । যেখানে প্রায় 1 লাখ 30 হাজার পড়ুয়া নিয়মিত পঠন-পাঠন করে । 8500 জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন । করোনা আবহের জেরে দীর্ঘকাল প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি বন্ধ থাকায় সর্বাধিক ক্ষতি গ্রামাঞ্চলের পড়ুয়াদের । শহর অঞ্চলের পড়ুয়াদের বাড়িতে পড়াশোনার রেওয়াজ থাকলেও, গ্রামস্তরে সেই সংখ্যা খুবই স্বল্প । খেলাধুলো করেই কাটাচ্ছে খুদে পড়ুয়ারা । যদিও, শিশুমন এই ক্ষতির কথা বোঝে না । তারা বলছে, "অনেকদিন ধরে স্কুল বন্ধ । বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে না । আমরা চাই স্কুল খুলুক তাড়াতাড়ি ।"
করোনায় প্রশ্নের মুখে প্রাথমিকের ভবিষ্যৎ
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কথায়, " অনেক ক্ষতি হচ্ছে খুদে পড়ুয়াদের । সংস্পর্শে না থাকলে পড়াশুনার ধারাবাহিকতা বজায় থাকে না । এই বিষয়ে সরকার কোনও একটি পথ বের করুক । আমাদের পূর্ণ সমর্থন থাকবে । অভিভাবকদের কাছে অনুরোধ বাড়িতে যাতে ওদের পড়াশোনা করানো হয় ।"

আরও পড়ুন : কোটি কোটি বছরের প্রাচীন উদ্ভিদ জীবাশ্মের ভাণ্ডার বীরভূমের ইলামবাজারে
বীরভূম জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি ড: প্রলয় নায়েক বলেন, "প্রথমে আমাদের কোভিড মোকাবিলা করতে হবে । দীর্ঘদিন বন্ধ স্কুল । এতে শিশুমনে বিকাশ স্বাভাবিক ভাবেই হচ্ছে না ।"

Last Updated : May 24, 2021, 7:34 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.