বীরভূম, 31 মে : গ্রিন জো়নে থাকা বীরভূম জেলা অরেঞ্জ জো়নে পরিণত হয়েছে । ভিন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরার পর এক লাফে অনেকটাই বেড়ে গেছে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা । সেই সঙ্গে বেড়েছে কনটেইনমেন্ট জো়ন । জেলার আটটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০টি জায়গা কনটেইনমেন্ট হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি বলেছিলেন, “ভিন রাজ্য থেকে শ্রমিকরা ফেরার পর এক ধাক্কায় এরাজ্যে কোরোনা সংক্রমণ অনেক বেড়েছে ।” মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা সত্যি প্রমাণ করে বীরভূম জেলা গ্রিন থেকে এখন অরেঞ্জ জো়নে । কনটেইনমেন্ট জো়নগুলিকে A ক্যাটাগরির মধ্যে রাখা হয়েছে । অর্থাৎ সংক্রমণজনিত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ।
একদিনে বীরভূম জেলায় COVID-১৯'এ আক্রান্ত হন ২৬ জন । এরা প্রত্যেকেই পরিযায়ী শ্রমিক । মুম্বই, চেন্নাই প্রভৃতি জায়গা থেকে সদ্য জেলায় ফিরেছেন তারা । এরপর বীরভূম জেলায় কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৮-তে । চার হাজারের বেশি মানুষের সোয়াব পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে । সেই রিপোর্ট এলে কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটা বেড়ে যাবে বলে মনে করছে জেলা প্রশাসন চিকিৎসকরা।
একদিনে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটা বেড়ে যাওয়ায় বৈঠক ডাকেন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু । রামপুরহাটের দখলবাটি গ্রাম পঞ্চায়েত, বুধিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত, ময়ূরেশ্বরের বড়তুরি গ্রাম পঞ্চায়েত, নলহাটির নোয়াপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত, বানিয়র গ্রাম পঞ্চায়েত, কলিথা গ্রাম পঞ্চায়েত, সাঁইথিয়ার শ্রীনিধিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত, নানুরের থুপসারা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দশটি জায়গাকে কনটেইনমেন্ট জো়ন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে । এই এলাকার মানুষজন অন্যত্র যাতায়াত করতে পারবেন না । পাশাপাশি এখানে বহিরাগতরা প্রবেশ করতে পারবে না । এই মর্মে একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন জেলাশাসক ।
গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে । বলা হয়েছে কনটেইনমেন্ট জো়নে সম্পূর্ণ লকডাউন থাকবে । বাকি জায়গায় ধীরে ধীরে শপিংমল, রেস্তোরাঁ, সেলুন ও অন্যান্য দোকানপাট খুলবে ।