ETV Bharat / state

Lalan Sheikh: লালন-মৃত্যুর তদন্তে ময়দানে সিআইডি, স্ত্রীকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ - সিবিআই

সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের মৃত্যুর (Lalan Sheikh Death in CBI Custody) তদন্ত করছে সিআইডি ৷ সোমবার ডিআইজি সোমা দাস মিত্রের নেতৃত্বে গোয়েন্দাদের একটি দল পৌঁছয় বীরভূমের বগটুই গ্রামে (Bogtui Village) ৷ রামপুরহাটের গেস্টহাউসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় লালনের স্ত্রীকে ৷

CID Team reached at Bogtui Village to investigate Lalan Sheikh Death in CBI Custody
তদন্ত চলছে ৷
author img

By

Published : Dec 26, 2022, 9:05 PM IST

রামপুরহাট, 26 ডিসেম্বর: সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের রহস্যমৃত্যুর (Lalan Sheikh Death in CBI Custody) ঘটনায় 'মাঠে নেমে' তদন্ত শুরু করল সিআইডি (CID) ৷ সোমবার এই তদন্তের কাজে বীরভূমের বগটুই গ্রামে (Bogtui Village) এলেন রাজ্যের গোয়েন্দারা ৷ এই দলের নেতৃত্বে ছিলেন ডিআইজি সোমা দাস মিত্র ৷

সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ডিআইজি সোমা দাস মিত্রের নেতৃত্বে একটি তদন্তকারী দল দুপুর তিনটে নাগাদ রামপুরহাট পৌঁছয় ৷ এই দলের প্রতিনিধিরা রামপুরহাটে অবস্থিত পুলিশের গেস্টহাউস কৌশিকী ভবনে আসেন ৷ সেখানেই প্রয়াত লালন শেখের স্ত্রী রেশমা বিবি ও তাঁর ভাগ্নীকে ডেকে পাঠানো হয় ৷ সেই ডাক পেয়ে কৌশিকী ভবনে পৌঁছে যান রেশমা ৷ সঙ্গে তাঁর ভাগ্নীও ছিলেন ৷ তাঁদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন সিআইডি গোয়েন্দারা ৷ এর পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট ঘটনার তদন্তকারী আধিকারিক তথা রামপুরহাট থানার এসআই সৈয়দ এহসানকে ডেকে পাঠানো হয় ৷ সেইসঙ্গে, লালন শেখের ঝুলন্ত দেহ যিনি নীচে নামিয়ে এনেছিলেন, সেই বিকাশ মালকেও ডেকে পাঠান সিআইডি আধিকারিকরা ৷

আরও পড়ুন: 'আমার স্বামীর দেহের উপর অনেক অত্য়াচার হয়েছে, আর নয় !' বললেন লালনের স্ত্রী

উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার (Bogtui Massacre) পর থেকে পলাতক ছিলেন অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখ ৷ প্রায় আট মাস পর গত 3 ডিসেম্বর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই ৷ আদালতের নির্দেশে রামপুরহাটে অবস্থিত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অস্থায়ী শিবিরে লালকে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেই সময় সিবিআই হেফাজতেই ছিলেন লালন শেখ ৷ তাঁকে দফায় দফায় জেরা করছিলেন সিবিআই গোয়েন্দারা ৷

এরই মধ্যে গত 12 ডিসেম্বর সিবিআইয়ের এই অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচালয় থেকে লালন শেখের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয় ৷ লালন শেখের মৃত্যুর পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি ৷ প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন লালন শেখের মৃত্যু হল ? এ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকেও ৷ ঘটনার পর সিবিআইয়ের একাধিক আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷ অন্যদিকে, আদালতের নির্দেশে তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি ৷ যদিও বিজেপির দাবি, লালনের মৃত্যুকে শিখণ্ডী করে সিবিআইকে প্য়াঁচে ফেলার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার ৷

এরই মধ্য়ে লালন শেখের দেহ কবর থেকে তুলে পুনরায় ময়নাতদন্তেরও দাবি ওঠে ৷ আদালত সেই আবেদনের বিরোধিতা না করলেও সাফ জানিয়ে দেয়, লালনের স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া তাঁর দেহ কবর থেকে তোলা যাবে না ৷ তারপর লালনের স্ত্রী রেশমা জানিয়ে দেন, তিনি অন্তত তাঁর স্বামীর দেহ কবর থেকে তোলার অনুমতি দেবেন না ৷

রামপুরহাট, 26 ডিসেম্বর: সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের রহস্যমৃত্যুর (Lalan Sheikh Death in CBI Custody) ঘটনায় 'মাঠে নেমে' তদন্ত শুরু করল সিআইডি (CID) ৷ সোমবার এই তদন্তের কাজে বীরভূমের বগটুই গ্রামে (Bogtui Village) এলেন রাজ্যের গোয়েন্দারা ৷ এই দলের নেতৃত্বে ছিলেন ডিআইজি সোমা দাস মিত্র ৷

সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ডিআইজি সোমা দাস মিত্রের নেতৃত্বে একটি তদন্তকারী দল দুপুর তিনটে নাগাদ রামপুরহাট পৌঁছয় ৷ এই দলের প্রতিনিধিরা রামপুরহাটে অবস্থিত পুলিশের গেস্টহাউস কৌশিকী ভবনে আসেন ৷ সেখানেই প্রয়াত লালন শেখের স্ত্রী রেশমা বিবি ও তাঁর ভাগ্নীকে ডেকে পাঠানো হয় ৷ সেই ডাক পেয়ে কৌশিকী ভবনে পৌঁছে যান রেশমা ৷ সঙ্গে তাঁর ভাগ্নীও ছিলেন ৷ তাঁদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন সিআইডি গোয়েন্দারা ৷ এর পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট ঘটনার তদন্তকারী আধিকারিক তথা রামপুরহাট থানার এসআই সৈয়দ এহসানকে ডেকে পাঠানো হয় ৷ সেইসঙ্গে, লালন শেখের ঝুলন্ত দেহ যিনি নীচে নামিয়ে এনেছিলেন, সেই বিকাশ মালকেও ডেকে পাঠান সিআইডি আধিকারিকরা ৷

আরও পড়ুন: 'আমার স্বামীর দেহের উপর অনেক অত্য়াচার হয়েছে, আর নয় !' বললেন লালনের স্ত্রী

উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার (Bogtui Massacre) পর থেকে পলাতক ছিলেন অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখ ৷ প্রায় আট মাস পর গত 3 ডিসেম্বর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই ৷ আদালতের নির্দেশে রামপুরহাটে অবস্থিত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অস্থায়ী শিবিরে লালকে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেই সময় সিবিআই হেফাজতেই ছিলেন লালন শেখ ৷ তাঁকে দফায় দফায় জেরা করছিলেন সিবিআই গোয়েন্দারা ৷

এরই মধ্যে গত 12 ডিসেম্বর সিবিআইয়ের এই অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচালয় থেকে লালন শেখের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয় ৷ লালন শেখের মৃত্যুর পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি ৷ প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন লালন শেখের মৃত্যু হল ? এ নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকেও ৷ ঘটনার পর সিবিআইয়ের একাধিক আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷ অন্যদিকে, আদালতের নির্দেশে তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি ৷ যদিও বিজেপির দাবি, লালনের মৃত্যুকে শিখণ্ডী করে সিবিআইকে প্য়াঁচে ফেলার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার ৷

এরই মধ্য়ে লালন শেখের দেহ কবর থেকে তুলে পুনরায় ময়নাতদন্তেরও দাবি ওঠে ৷ আদালত সেই আবেদনের বিরোধিতা না করলেও সাফ জানিয়ে দেয়, লালনের স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া তাঁর দেহ কবর থেকে তোলা যাবে না ৷ তারপর লালনের স্ত্রী রেশমা জানিয়ে দেন, তিনি অন্তত তাঁর স্বামীর দেহ কবর থেকে তোলার অনুমতি দেবেন না ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.