ETV Bharat / bharat

সরকার নজর রাখছে, নয়া ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই বলছেন বিশেষজ্ঞরা - HUMAN METAPNEUMOVIRUS

বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, হিউম্যান মেটাপনিউমো ভাইরাস সাধারণ সর্দি-কাশির মতোই ৷ আর তাই এই নয়া ভাইরাস নিয়ে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।

HEALTH HMPV MONITORING
ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই (প্রতীকী ছবি) (ইটিভি ভারত)
author img

By PTI

Published : Jan 3, 2025, 9:51 PM IST

নয়াদিল্লি, 3 জানুয়ারি: করোনার পর ফের নয়া ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘিরে আশঙ্কা ৷ এর মাঝেই শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষয়টিকে হালকাভাবে নিতে নারাজ দিল্লি। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষজ্ঞরা। তবে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলেই মনে করছে কেন্দ্র।

চিনে সম্প্রতি হিউম্যান মেটাপনিউমো ভাইরাস (এইচএমপিভি)-এর প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছে। এই সংক্রান্ত কয়েকটি রিপোর্ট উদ্বেগে রেখেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সকলকে। নড়েচড়ে বসেছে জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র (এনসিডিসি)-ও। শ্বাসযন্ত্র থেকে তৈরি হওয়া অসুস্থতা থেকে শুরু করে মৌসুমী ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগের উপর বিশেষভাবে নজর রাখা হচ্ছে। কেউ এই ধরনের রোগে আক্রান্ত হলে তাঁর শরীর কেমন থাকছে তার উপরও প্রতিনিয়ত লক্ষ্য রাখা হচ্ছে । একই সঙ্গে, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছেে বলেও জানা গিয়েছে।

এনসিডিসি'র এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, "আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি ৷ সেই অনুযায়ী তথ্য এবং গতিপ্রকৃতিও যাচাই করে দেখা হবে ৷" স্বাস্থ্যসেবা অধিদফতরের (ডিজিএইচএস) ডিরেক্টর ডক্টর অতুল গোয়েল জানিয়েছেন, হিউম্যান মেটাপনিউমো ভাইরাস অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাসের মতোই ৷ সাধারণ সর্দি-কাশির সঙ্গে খুব একটা ফারাক নেই ৷ মূলত তরুণ এবং বয়স্কদের মধ্যে ফ্লুর মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। আর তাই আতঙ্কিত হওয়ার তেমন কোনও কারণ দেখছেন না তিনি।

তাঁর কথায়, "চিনে হিউম্যান মেটাপনিউমো ভাইরাস (এইচএমপিভি) প্রাদুর্ভাবের খবর ছড়িয়ে পড়ছে। তবে, আমরা দেশে শ্বাসযন্ত্রের প্রাদুর্ভাবের তথ্য বিশ্লেষণ করেছি ৷ 2024 সালের ডিসেম্বরের তথ্যে কোনও উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি হয়নি ৷ কোনও প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল সংখ্যক রোগীর এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবরও পাওয়া যায়নি। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই ৷"

ডক্টর গোয়েল আরও বলেন, "যাই হোক না কেন, শীতকালে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায় ৷ যার জন্য সাধারণত আমাদের হাসপাতালগুলিতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং বিছানা প্রস্তুতও থাকে ৷" তিনি জনসাধারণকে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যবহৃত সাধারণ সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শও দিয়েছেন ৷ যদি কারও কাশি এবং সর্দি থাকে তবে তাঁদের অন্যদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা উচিত যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে। তিনি জানান, শ্বাসযন্ত্র ঠিকঠাক কাজ করছে কিনা সেটা নিয়মিত পরীক্ষা করে দেখা উচিত। তাছাডা় ঠান্ডা লাগলে বা জ্বর হলে যে সমস্ত ওষুধ ব্যবহার করা হয় সেগুলি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

নয়াদিল্লি, 3 জানুয়ারি: করোনার পর ফের নয়া ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘিরে আশঙ্কা ৷ এর মাঝেই শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষয়টিকে হালকাভাবে নিতে নারাজ দিল্লি। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষজ্ঞরা। তবে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলেই মনে করছে কেন্দ্র।

চিনে সম্প্রতি হিউম্যান মেটাপনিউমো ভাইরাস (এইচএমপিভি)-এর প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছে। এই সংক্রান্ত কয়েকটি রিপোর্ট উদ্বেগে রেখেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সকলকে। নড়েচড়ে বসেছে জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র (এনসিডিসি)-ও। শ্বাসযন্ত্র থেকে তৈরি হওয়া অসুস্থতা থেকে শুরু করে মৌসুমী ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগের উপর বিশেষভাবে নজর রাখা হচ্ছে। কেউ এই ধরনের রোগে আক্রান্ত হলে তাঁর শরীর কেমন থাকছে তার উপরও প্রতিনিয়ত লক্ষ্য রাখা হচ্ছে । একই সঙ্গে, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছেে বলেও জানা গিয়েছে।

এনসিডিসি'র এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, "আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি ৷ সেই অনুযায়ী তথ্য এবং গতিপ্রকৃতিও যাচাই করে দেখা হবে ৷" স্বাস্থ্যসেবা অধিদফতরের (ডিজিএইচএস) ডিরেক্টর ডক্টর অতুল গোয়েল জানিয়েছেন, হিউম্যান মেটাপনিউমো ভাইরাস অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাসের মতোই ৷ সাধারণ সর্দি-কাশির সঙ্গে খুব একটা ফারাক নেই ৷ মূলত তরুণ এবং বয়স্কদের মধ্যে ফ্লুর মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। আর তাই আতঙ্কিত হওয়ার তেমন কোনও কারণ দেখছেন না তিনি।

তাঁর কথায়, "চিনে হিউম্যান মেটাপনিউমো ভাইরাস (এইচএমপিভি) প্রাদুর্ভাবের খবর ছড়িয়ে পড়ছে। তবে, আমরা দেশে শ্বাসযন্ত্রের প্রাদুর্ভাবের তথ্য বিশ্লেষণ করেছি ৷ 2024 সালের ডিসেম্বরের তথ্যে কোনও উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি হয়নি ৷ কোনও প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল সংখ্যক রোগীর এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবরও পাওয়া যায়নি। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই ৷"

ডক্টর গোয়েল আরও বলেন, "যাই হোক না কেন, শীতকালে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায় ৷ যার জন্য সাধারণত আমাদের হাসপাতালগুলিতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং বিছানা প্রস্তুতও থাকে ৷" তিনি জনসাধারণকে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যবহৃত সাধারণ সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শও দিয়েছেন ৷ যদি কারও কাশি এবং সর্দি থাকে তবে তাঁদের অন্যদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা উচিত যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে। তিনি জানান, শ্বাসযন্ত্র ঠিকঠাক কাজ করছে কিনা সেটা নিয়মিত পরীক্ষা করে দেখা উচিত। তাছাডা় ঠান্ডা লাগলে বা জ্বর হলে যে সমস্ত ওষুধ ব্যবহার করা হয় সেগুলি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.