কলকাতা, 18 মার্চ: মারগাওয়ে মেগা ডুয়েলে নামবে মোহনবাগান । 'বেঙ্গালুরু বধ' করলেই 14 বছর আগের স্মৃতি ফিরবে গঙ্গাপাড়ের ক্লাবে । কয়েকহাজার কিলোমিটার দূরের আঁচ এসে পৌঁছেছে গল্ফগ্রিনেও । একদিন সুব্রত ভট্টাচার্যের প্রাণপ্রিয় মোহনবাগান, অন্যদিকে ঘরের জামাই সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরু এফসি (Saheb Bhattacharya to support Bengaluru FC) ।
ফুটবল ম্যাচ মানেই বাড়িতে টেনশনের পরিবেশ । ছোট থেকে এই আবহ দেখে অভ্যস্ত তিনি । নিজে কোনওদিন খেলাধুলা করেননি। কিন্তু ফুটবল-সহ বাকি খেলার প্রতি চিরকালই ভালোবাসা রয়ে গিয়েছে । নিজে চলচিত্র অভিনেতা হলেও দেশ-বিদেশ তো বটেই, কলকাতা ক্লাব ফুটবলের খোঁজখবর রাখেন । তাই ফুটবলের জয়-পরাজয়ের জোয়ার ভাঁটা তাঁর প্রাত্যহিক জীবনে ছুঁয়ে যায় । এভাবেই নিজের ফুটবল আবেগের কথা শোনাচ্ছিলেন সাহেব ভট্টাচার্য ।
সাহেব এখন টলিউডের অন্যতম নায়ক । তাঁর বাবা কিংবদন্তি বাঙালি ডিফেন্ডার সুব্রত ভট্টাচার্য । দিদি মেম ভট্টাচার্যের স্বামী ভারতীয় ফুটবলের তারকা সুনীল ছেত্রী । যদিও সাহেব বলছেন তিনি ব্যক্তিগতভাবে ইস্টবেঙ্গলের সমর্থক । সেই বিচারে বেঙ্গালুরু এফসি আইএসএল জিতলে তিনি খুশি হবেন । সন্ধ্যাবেলা সুনীলদের সমর্থনেই গলা ফাটাবেন ।
আরও পড়ুন: মধুর প্রতিশোধই লক্ষ্য ! 'বাগান বধে' মরিয়া প্রবীর-কৃষ্ণা-জাভি
তাঁর মতে, সুনীল এমন একজন ব্যক্তিত্ব যে সমালোচোকদের ভুল প্রমাণ করতেই ভালোবাসেন । তাই সবাই যখন সুনীলের শেষ পর্ব লিখে ফেলেছে, তখন সুনীলের জ্বলে ওঠা একজন চ্যাম্পিয়নের স্বাক্ষর । অন্যদিকে সুনীল ছেত্রী স্বয়ং বলছেন, শ্বশুর মশাই তাঁকে সমর্থন না-করলে তিনি ক্ষমা করে দেবেন । স্ত্রী সোনমের সমর্থন তাঁর পক্ষে রয়েছে ।
সোনম বলেন, "আগে বাবা সুব্রত ভট্টাচার্যের জন্য টেনশন হত, এখন সুনীলের জন্য হয় ।" গল্ফগ্রিনের ভট্টাচার্য পরিবারে সবুজ-মেরুন খেলতে নামলেই টেনশন শুরু হয় । সুব্রত ভট্টাচার্যের স্ত্রী লতা ভট্টাচার্য মোহনবাগান সমর্থক । ফলে শনিবার সন্ধ্যায় দু'ভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে । তবে বাবা সুব্রত ভট্টাচার্য এখন মাঠ থেকে দূরে । ফলে তাঁকে ঘিরে টেনশনের পারদ নিচের দিকে । বাড়ির জামাই সাফল্য পেলে শ্বশুর বাড়িতে আনন্দ হবে । স্বাভাবিক । তাই সাফল্য এবং ব্যর্থতা দুই ভিন্ন আঙ্গিকে গল্ফগ্রিনের ভট্টাচার্য বাড়ি ছুঁয়ে যাবে ।