হাড়োয়া, 24 নভেম্বর: উপনির্বাচন শেষ হতেই ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ সামনে আসছে । অভিযোগ, উত্তর 24 পরগনার হাড়োয়ায় রাতের অন্ধকারে বিজেপি প্রার্থীর চাষের জমিতে দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় । কেটে দেওয়া হয় পাঁচ বিঘা জমির কলমের আমগাছ । ট্রাক্টর এবং শ্যালো মেশিনেও ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ । পরাজিত বিজেপি প্রার্থী বিমল দাস হাড়োয়া থানায় ঘটনা নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন ।
শনিবার রাজ্যের ছয় বিধানসভা উপনির্বাচনের ফল ঘোষিত হয়েছে । হাড়োয়া কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ছিলেন বিমল দাস । উপনির্বাচনে তিনি পরাজিত হয়েছেন । স্থানীয় সদরপুর গ্রামে তাঁর পাঁচ বিঘা চাষের জমি রয়েছে । সেখানে ছোট ছোট কলমের আমের চারা বসানো ছিল ।
অভিযোগ, ভোট গণনা শেষ হওয়ার পরেই রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীরা তাঁর চাষের জমির সমস্ত আমগাছ কেটে দিয়েছে । ওই জমির মধ্যেই গাছে জল দেওয়ার জন্য তাঁর একটি শ্যালো মেশিন ছিল । পাশেই ছিল একটি ট্রাক্টর রাখা । দুষ্কৃতীরা ওই ট্রাক্টর এবং শ্যালো মেশিনও ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ ।
গোটা ঘটনায় শাসকদলের দিকেই আঙুল তুলেছেন বিজেপির পরাজিত প্রার্থী বিমল দাস । তিনি বলেন, "ভোটে হেরে যাওয়ার পরেই তৃণমূল কর্মীরা প্রতিশোধ নেওয়া শুরু করেছেন । মাঠে আমি কলমের আম বাগান করেছি । তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমার জমির সমস্ত চারা আমগাছ কেটে দিয়েছে । শাসকদল হাড়োয়ায় বিজেপি কর্মীদের উপর যে হিংসা শুরু করেছে, তাতে আমি প্রার্থী হয়েও ছাড় পাচ্ছি না । সাধারণ কর্মীদের উপর হামলা হবে, সে আশঙ্কাও করছি । দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি । জানি না আদেও বিচার হবে কি না ।"
এ দিকে, ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব । এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা সুরেশ মণ্ডল দাবি করেছেন, "বিজেপি প্রার্থীর মাঠের গাছ কাটার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ জড়িত নন । আমাদের দলের কর্মী সমর্থকেরা হিংসায় বিশ্বাস করেন না । ঘটনাটি আসলে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই হয়েছে । গেরুয়া শিবির আমাদের দলকে কালিমালিপ্ত করতে মিথ্যা অভিযোগ তুলে বাজার গরম করতে চাইছে ।"
অন্যদিকে, বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমেছে হাড়োয়া থানার পুলিশ ।