ETV Bharat / sports

ট্র্যাকে ঝড় তোলা ‘ক্রীড়াগুরু’ মনোরঞ্জন পোড়েল আজ জীবন যুদ্ধে ক্ষতবিক্ষত

একদা হরিণ গতির কিংবদন্তি অ্যাথলিট মনোরঞ্জন পোড়েল এখন আদালতের দরজায় কড়া নাড়ছেন । বলা ভাল তেইশ বছর কড়া নাড়তে নাড়তে ক্লান্ত বিধ্বস্ত । আইনজীবীকে ফোনের ওধার থেকে মামলার গতি প্রকৃতি জিজ্ঞেস করে রিসিভার নামিয়ে রেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন ।

legendary national athlete manoranjan porel neglected of his old age
জীবনের অন্য লড়াইয়ে ‘ক্রীড়াগুরু’ মনোরঞ্জন পোড়েল
author img

By

Published : Jun 11, 2021, 5:26 PM IST

Updated : Jun 11, 2021, 7:23 PM IST

কলকাতা, 11 জুন : উত্তমকুমার, সুচিত্রা সেন অভিনীত ‘সবার উপরে’ ছবিতে কারাবন্দির চরিত্রে অভিনয় করা ছবি বিশ্বাসের কালজয়ী ডায়লগ ছিল, ‘‘ফিরিয়ে দাও আমার ছাব্বিশটা বছর ৷’’ অনেকটা সেই ঢঙেই প্রাক্তন অ্যাথলিট মনোরঞ্জন পোড়েল যদি বলেন, ‘‘ফিরিয়ে দাও আমার তেইশটি বছর ৷’’ তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না । রিল নেমে আসবে রিয়েলে । তাঁর হরিণ পায়ের দৌড় একসময় অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক গতির ঝড় তুলত । বাংলা ও ভারতের হয়ে একাধিক পদক জয়ী অ্যাথলিট মনোরঞ্জন পোড়েল ভাল নেই। বয়স তাঁর সোনালি বিকেলকে ফিকে করেছে । কিন্তু সোনালি বিকেলের রেশ তাঁকে প্রৌঢ় বয়সে স্বস্তি এবং নির্ভরতা দেয়নি । বরং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে।

1971 সালে ইরানের তেহেরানে আর্ন্তজাতিক অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের একশো মিটার দৌড়ে সোনা জিতেছিলেন । ওই প্রতিযোগিতায় 4x400 মিটার রিলে রেসে রুপো জিতেছিলেন । 22টি জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলার জার্সিতে নিয়মিত পদক জয় অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছিলেন মনোরঞ্জন পোড়েল । মোহনবাগানের হয়ে ক্লাব স্তরে নিয়মিত প্রতিনিধিত্ব করা মানুষটি 1998 থেকে 2006 সাল পর্যন্ত ছিলেন ভারতীয় দলের কোচের দায়িত্বে । একবছর আগে মোহনবাগান দিবসের অনুষ্ঠানে জীবনকৃতি সম্মান উপলক্ষে মনোরঞ্জন পোড়েলের নামটি হঠাৎ করে ভেসে উঠেছিল । বর্তমানে ফের তা অস্তাচলে ।

একদা হরিণ গতিতে মনোরঞ্জন করা এই কিংবদন্তি অ্যাথলিট এখন আদালতের দরজায় কড়া নাড়ছেন । বলা ভাল তেইশ বছর কড়া নাড়তে নাড়তে ক্লান্ত বিধ্বস্ত । আইনজীবীকে ফোনের ওধার থেকে মামলার গতি প্রকৃতি জিজ্ঞেস করে রিসিভার নামিয়ে রেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন । হয়তো আলগোছে চোখের জল মুছে চোয়াল শক্ত করে ঘুরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন ।

খেলার জন্য দু’টো সরকারি চাকরি পেয়ে ছেড়ে দিয়েছিলেন । ‘‘সাইতে চাকরি পেয়েছিলাম । কিন্তু পোস্টিংয়ের কারণে অন্য রাজ্যে যেতে হত । কাস্টমসে চাকরি পেয়েছিলাম, কিন্তু একটা বিরক্তি ছিল । তবে এখন মনে হয় কাস্টমসের চাকরির সুযোগ হাতছাড়া করাটা ভুল হয়েছিল’’, বললেন মুখচোরা মনোরঞ্জন পোড়েল । স্ত্রী, কন্যাকে নিয়ে প্রবীণ মানুষটির সংসার । 1989 সালে সাহাগঞ্জের ডানলপ ফ্যাক্টরিতে স্পোর্টস অফিসারের পদে চাকরি পেয়েছিলেন । সবকিছু ঠিকই চলছিল । কিন্তু, ন‘বছর কাজ করার পরে ডানলপ বন্ধ হয়ে যায় । বকেয়া মাইনে, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি বানভাসি হয়ে যায় । পাওয়ার আশায় মামলা করেছিলেন তেইশ বছর আগে । তার পর থেকে শুধু আদালতের অলিন্দে আইনজীবীর অফিসে চক্কর কেটে চলা । নিয়মিত ব্যবধানে ফোন করেন আশার আলো দেখার আশায় । কিন্তু মেঘ কাটে না ।

আরও পড়ুন : ভ্যাকসিনেটেড অ্যাথলিটদের তালিকা চেয়ে পাঠাল ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন

প্রবল আত্মসম্মানবোধের মানুষটি নিজের কষ্ট যন্ত্রণাকে চেপে রেখেছেন । বামফ্রন্টের আমলে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী প্রয়াত সুভাষ চক্রবর্তী স্পোর্টস কাউন্সিলে চুক্তি ভিত্তিক চাকরি দিয়েছিলেন তাঁকে । চিরকালই সামান্যতে খুশি থাকা মনোরঞ্জন পোড়েল কম টাকার স্পোর্টস কাউন্সিলের চাকরিতে মানিয়ে নিয়েছিলেন । বিভিন্ন জেলা ,গ্রাম ঘুরে নতুন প্রতিভার অন্বেষণে নতুনত্বের স্বাদ পেয়েছিলেন । কিন্তু সেটাও এখন নেই । বয়সের কথা তুলে বাতিলের দলে ফেলে দেওয়া হয়েছে । ‘‘আমি যতটুকু খেলেছি তাতে আমার পরিবারের ভূমিকা বিরাট । স্ত্রী দেবযানী আগলে রেখেছিল । খেলোয়াড় জীবনে বাইরে বাইরে থাকতে হত, তখন ঘর সামলাত দেবযানী । একমাত্র কন্যা অদ্রিজাকে বড় করে তোলার কৃতিত্ব ওঁর । হুগলির সাহাগঞ্জ স্পোর্টস ক্লাবের অবদান ভুলতে পারব না । ত্রিবেণীর শিবপুর স্পোর্টিং ক্লাবে 21 বছর কোচিং করিয়েছি । 2013 সালে ক্রীড়াগুরু সম্মান পেয়েছিলাম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে । এগুলো সুখস্মৃতি বলতে পারেন’’, কিছুটা উজ্জ্বল দেখায় মনোরঞ্জন পোড়েলের মুখ ।

আরও পড়ুন : এ বছরও রাজ্য অ্যাথলেটিক্স মিট বাতিলের জোরালো সম্ভাবনা

ভাল নেই পোড়েল দম্পতি । কয়েকমাস আগে বড় দুর্ঘটনায় বড় অস্ত্রোপচার হয়েছে । বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা হয়েছে । কঠিন সময়ে অবলম্বন মেয়ে-জামাই । সন্তানের কর্তব্য করতে ওরা পিছপা হয়নি । কিন্তু মেয়ে জামাইকে বিড়ম্বনায় ফেলতে চান না মনোরঞ্জন পোড়েল । তাই নিজের বাড়িতে ফিরে এসেছেন । আর্থিক কষ্ট রয়েছে । প্রশ্ন করলে উত্তর, ‘‘ওই চলে যাচ্ছে আর কি ৷’’

আরও পড়ুন : Tokyo Olympics: ভারতীয় অ্যাথলিটদের পোশাকে থাকবে না কোনও ব্র্যান্ডের নাম

রাজ্য অ্যাথলেটিক্স অ্যাসোসিয়েশন মনোরঞ্জন পোড়েলের দুর্দশার কথা জানে । সচিব কমল মৈত্র বলছেন, ‘‘দেশের অ্যাথলেটিক্স দুনিয়ায় মনোরঞ্জন পোড়েল বড় নাম । অ্যাথলিট এবং খেলোয়াড় হিসেবে বহু সাফল্য নিয়ে এসেছেন ৷ আবার সফল অ্যাথলিট গড়ে তুলেছেন । তাঁর শেষ জীবনটা ভাল কাটুক এটা চাই । আমাদের রাজ্য সংস্থার হাল খারাপ । পাশে যে দাঁড়াব সেই সামর্থ্য নেই । সত্যিই পরিস্থিতি কঠিন’’ ৷

ডানলপের বকেয়া হাতে পৌঁছলে অবস্থা ফিরতে পারত । কিন্তু তা তো অনিশ্চয়তার অন্ধকারে । আদি সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত প্রবীণ ক্রীড়াবিদের কঠিন সময়ে পাশে ছিলেন । বাকিদের শুধুই আশ্বাস । আর তাই জীবনের ট্র্যাকে ছন্দ খুঁজে বেড়ান মনোরঞ্জন পোড়েল । ছন্দময় দ্রুতলয়ের দৌড় দেখিয়ে মনোরঞ্জন করা মানুষটি কঠিন সময়ে হাল ছাড়েননি ৷ বরং নিজেকে কোনির জায়গায় বসিয়ে অদৃশ্য কন্ঠে ক্ষিদ্দার মত বলছেন ‘ফাইট’ ৷

কলকাতা, 11 জুন : উত্তমকুমার, সুচিত্রা সেন অভিনীত ‘সবার উপরে’ ছবিতে কারাবন্দির চরিত্রে অভিনয় করা ছবি বিশ্বাসের কালজয়ী ডায়লগ ছিল, ‘‘ফিরিয়ে দাও আমার ছাব্বিশটা বছর ৷’’ অনেকটা সেই ঢঙেই প্রাক্তন অ্যাথলিট মনোরঞ্জন পোড়েল যদি বলেন, ‘‘ফিরিয়ে দাও আমার তেইশটি বছর ৷’’ তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না । রিল নেমে আসবে রিয়েলে । তাঁর হরিণ পায়ের দৌড় একসময় অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক গতির ঝড় তুলত । বাংলা ও ভারতের হয়ে একাধিক পদক জয়ী অ্যাথলিট মনোরঞ্জন পোড়েল ভাল নেই। বয়স তাঁর সোনালি বিকেলকে ফিকে করেছে । কিন্তু সোনালি বিকেলের রেশ তাঁকে প্রৌঢ় বয়সে স্বস্তি এবং নির্ভরতা দেয়নি । বরং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিয়েছে।

1971 সালে ইরানের তেহেরানে আর্ন্তজাতিক অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপের একশো মিটার দৌড়ে সোনা জিতেছিলেন । ওই প্রতিযোগিতায় 4x400 মিটার রিলে রেসে রুপো জিতেছিলেন । 22টি জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলার জার্সিতে নিয়মিত পদক জয় অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছিলেন মনোরঞ্জন পোড়েল । মোহনবাগানের হয়ে ক্লাব স্তরে নিয়মিত প্রতিনিধিত্ব করা মানুষটি 1998 থেকে 2006 সাল পর্যন্ত ছিলেন ভারতীয় দলের কোচের দায়িত্বে । একবছর আগে মোহনবাগান দিবসের অনুষ্ঠানে জীবনকৃতি সম্মান উপলক্ষে মনোরঞ্জন পোড়েলের নামটি হঠাৎ করে ভেসে উঠেছিল । বর্তমানে ফের তা অস্তাচলে ।

একদা হরিণ গতিতে মনোরঞ্জন করা এই কিংবদন্তি অ্যাথলিট এখন আদালতের দরজায় কড়া নাড়ছেন । বলা ভাল তেইশ বছর কড়া নাড়তে নাড়তে ক্লান্ত বিধ্বস্ত । আইনজীবীকে ফোনের ওধার থেকে মামলার গতি প্রকৃতি জিজ্ঞেস করে রিসিভার নামিয়ে রেখে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন । হয়তো আলগোছে চোখের জল মুছে চোয়াল শক্ত করে ঘুরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন ।

খেলার জন্য দু’টো সরকারি চাকরি পেয়ে ছেড়ে দিয়েছিলেন । ‘‘সাইতে চাকরি পেয়েছিলাম । কিন্তু পোস্টিংয়ের কারণে অন্য রাজ্যে যেতে হত । কাস্টমসে চাকরি পেয়েছিলাম, কিন্তু একটা বিরক্তি ছিল । তবে এখন মনে হয় কাস্টমসের চাকরির সুযোগ হাতছাড়া করাটা ভুল হয়েছিল’’, বললেন মুখচোরা মনোরঞ্জন পোড়েল । স্ত্রী, কন্যাকে নিয়ে প্রবীণ মানুষটির সংসার । 1989 সালে সাহাগঞ্জের ডানলপ ফ্যাক্টরিতে স্পোর্টস অফিসারের পদে চাকরি পেয়েছিলেন । সবকিছু ঠিকই চলছিল । কিন্তু, ন‘বছর কাজ করার পরে ডানলপ বন্ধ হয়ে যায় । বকেয়া মাইনে, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি বানভাসি হয়ে যায় । পাওয়ার আশায় মামলা করেছিলেন তেইশ বছর আগে । তার পর থেকে শুধু আদালতের অলিন্দে আইনজীবীর অফিসে চক্কর কেটে চলা । নিয়মিত ব্যবধানে ফোন করেন আশার আলো দেখার আশায় । কিন্তু মেঘ কাটে না ।

আরও পড়ুন : ভ্যাকসিনেটেড অ্যাথলিটদের তালিকা চেয়ে পাঠাল ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন

প্রবল আত্মসম্মানবোধের মানুষটি নিজের কষ্ট যন্ত্রণাকে চেপে রেখেছেন । বামফ্রন্টের আমলে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী প্রয়াত সুভাষ চক্রবর্তী স্পোর্টস কাউন্সিলে চুক্তি ভিত্তিক চাকরি দিয়েছিলেন তাঁকে । চিরকালই সামান্যতে খুশি থাকা মনোরঞ্জন পোড়েল কম টাকার স্পোর্টস কাউন্সিলের চাকরিতে মানিয়ে নিয়েছিলেন । বিভিন্ন জেলা ,গ্রাম ঘুরে নতুন প্রতিভার অন্বেষণে নতুনত্বের স্বাদ পেয়েছিলেন । কিন্তু সেটাও এখন নেই । বয়সের কথা তুলে বাতিলের দলে ফেলে দেওয়া হয়েছে । ‘‘আমি যতটুকু খেলেছি তাতে আমার পরিবারের ভূমিকা বিরাট । স্ত্রী দেবযানী আগলে রেখেছিল । খেলোয়াড় জীবনে বাইরে বাইরে থাকতে হত, তখন ঘর সামলাত দেবযানী । একমাত্র কন্যা অদ্রিজাকে বড় করে তোলার কৃতিত্ব ওঁর । হুগলির সাহাগঞ্জ স্পোর্টস ক্লাবের অবদান ভুলতে পারব না । ত্রিবেণীর শিবপুর স্পোর্টিং ক্লাবে 21 বছর কোচিং করিয়েছি । 2013 সালে ক্রীড়াগুরু সম্মান পেয়েছিলাম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে । এগুলো সুখস্মৃতি বলতে পারেন’’, কিছুটা উজ্জ্বল দেখায় মনোরঞ্জন পোড়েলের মুখ ।

আরও পড়ুন : এ বছরও রাজ্য অ্যাথলেটিক্স মিট বাতিলের জোরালো সম্ভাবনা

ভাল নেই পোড়েল দম্পতি । কয়েকমাস আগে বড় দুর্ঘটনায় বড় অস্ত্রোপচার হয়েছে । বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা হয়েছে । কঠিন সময়ে অবলম্বন মেয়ে-জামাই । সন্তানের কর্তব্য করতে ওরা পিছপা হয়নি । কিন্তু মেয়ে জামাইকে বিড়ম্বনায় ফেলতে চান না মনোরঞ্জন পোড়েল । তাই নিজের বাড়িতে ফিরে এসেছেন । আর্থিক কষ্ট রয়েছে । প্রশ্ন করলে উত্তর, ‘‘ওই চলে যাচ্ছে আর কি ৷’’

আরও পড়ুন : Tokyo Olympics: ভারতীয় অ্যাথলিটদের পোশাকে থাকবে না কোনও ব্র্যান্ডের নাম

রাজ্য অ্যাথলেটিক্স অ্যাসোসিয়েশন মনোরঞ্জন পোড়েলের দুর্দশার কথা জানে । সচিব কমল মৈত্র বলছেন, ‘‘দেশের অ্যাথলেটিক্স দুনিয়ায় মনোরঞ্জন পোড়েল বড় নাম । অ্যাথলিট এবং খেলোয়াড় হিসেবে বহু সাফল্য নিয়ে এসেছেন ৷ আবার সফল অ্যাথলিট গড়ে তুলেছেন । তাঁর শেষ জীবনটা ভাল কাটুক এটা চাই । আমাদের রাজ্য সংস্থার হাল খারাপ । পাশে যে দাঁড়াব সেই সামর্থ্য নেই । সত্যিই পরিস্থিতি কঠিন’’ ৷

ডানলপের বকেয়া হাতে পৌঁছলে অবস্থা ফিরতে পারত । কিন্তু তা তো অনিশ্চয়তার অন্ধকারে । আদি সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত প্রবীণ ক্রীড়াবিদের কঠিন সময়ে পাশে ছিলেন । বাকিদের শুধুই আশ্বাস । আর তাই জীবনের ট্র্যাকে ছন্দ খুঁজে বেড়ান মনোরঞ্জন পোড়েল । ছন্দময় দ্রুতলয়ের দৌড় দেখিয়ে মনোরঞ্জন করা মানুষটি কঠিন সময়ে হাল ছাড়েননি ৷ বরং নিজেকে কোনির জায়গায় বসিয়ে অদৃশ্য কন্ঠে ক্ষিদ্দার মত বলছেন ‘ফাইট’ ৷

Last Updated : Jun 11, 2021, 7:23 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.