ETV Bharat / sports

কলকাতায় ফিরল ইস্টবেঙ্গল, সুপার কাপের আগে ১০ দিনের ছুটি ডিকাদের - welcome

আই লিগে দ্বিতীয় হয়ে কলকাতায় ফিরেও চ্যাম্পিয়নের সম্মান পেল ইস্টবেঙ্গল। বিমানবন্দর চত্বরে প্রায় হাজার পাঁচেক সমর্থক সন্ধে থেকেই হাতে পতাকা, ফেস্টুন, মালা ও পুষ্পস্তবক নিয়ে তৈরি ছিলেন ফুটবলারদের স্বাগত জানাতে।

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Mar 11, 2019, 4:48 AM IST

কলকাতা, ১১ মার্চ : আই লিগ শেষ। কোঝিকোড় থেকে কলকাতায় ফিরলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ, ফুটবলার ও কর্মকর্তারা। গতরাত আটটা নাগাদ কলকাতায় পৌঁছান তাঁরা। লাল-হলুদ কোচ ও ফুটবলারদের স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন কয়েক হাজার সমর্থক।

আই লিগে দ্বিতীয় হয়ে কলকাতায় ফিরেও চ্যাম্পিয়নের সম্মান পেল ইস্টবেঙ্গল। গতরাত আটটা নাগাদ বিমানবন্দরে পৌঁছালেও লাল-হলুদ ফুটবলাররা প্রায় ঘণ্টাখানেক পরে বাইরে আসেন। তার অনেক আগেই অবশ্য ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের দখলে চলে গিয়েছিল বিমানবন্দর চত্বর। প্রায় হাজার পাঁচেক সমর্থক সন্ধে থেকেই হাতে পতাকা, ফেস্টুন, মালা ও পুষ্পস্তবক নিয়ে তৈরি ছিলেন। সঙ্গে জয়ধ্বনিও দেওয়া হচ্ছিল। ফুটবলারদের গাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পুলিশকে বাড়তি তৎপর হতে হয়। দলের বিদেশিরা এই উন্মাদনা দেখে কার্যত বিস্মিত।

শুধু ফুটবলার নয়, সমর্থকরা স্বাগত জানান কোচ আলেয়ান্দ্রোকেও। বড় পোস্টারে ছিল কোচ আলেয়ান্দ্রো মেনেনদেস গার্সিয়ার ছবি। নিচে লেখা, "তোমরা আমাদের গর্বিত করেছ"। আর লাল-হলুদ হেডস্যারকে ছোঁয়ার জন্য সমর্থকদের আগ্রহও ছিল দেখার মতো। আলেয়ান্দ্রোকে কোনওরকমে গাড়িতে তুলে রওনা করে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই ইস্টবেঙ্গল কোচ বলেছেন, তিনি দলের জন্য গর্বিত। সামনের মরশুমের জন্য দল তৈরি। সামনে সুপার কাপ সেই লক্ষ্যে দলকে তৈরি করতে চান।

সুপার কাপের প্রস্তুতির ছকও সাজিয়ে ফেলেছেন আলোয়ান্দ্রো। আজ অনুশীলন করিয়ে দশদিনের ছুটি ফুটবলারদের। তারপর সুপার কাপের চূড়ান্ত প্রস্তুতি সারবে ইস্টবেঙ্গল।

কলকাতা, ১১ মার্চ : আই লিগ শেষ। কোঝিকোড় থেকে কলকাতায় ফিরলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ, ফুটবলার ও কর্মকর্তারা। গতরাত আটটা নাগাদ কলকাতায় পৌঁছান তাঁরা। লাল-হলুদ কোচ ও ফুটবলারদের স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন কয়েক হাজার সমর্থক।

আই লিগে দ্বিতীয় হয়ে কলকাতায় ফিরেও চ্যাম্পিয়নের সম্মান পেল ইস্টবেঙ্গল। গতরাত আটটা নাগাদ বিমানবন্দরে পৌঁছালেও লাল-হলুদ ফুটবলাররা প্রায় ঘণ্টাখানেক পরে বাইরে আসেন। তার অনেক আগেই অবশ্য ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের দখলে চলে গিয়েছিল বিমানবন্দর চত্বর। প্রায় হাজার পাঁচেক সমর্থক সন্ধে থেকেই হাতে পতাকা, ফেস্টুন, মালা ও পুষ্পস্তবক নিয়ে তৈরি ছিলেন। সঙ্গে জয়ধ্বনিও দেওয়া হচ্ছিল। ফুটবলারদের গাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পুলিশকে বাড়তি তৎপর হতে হয়। দলের বিদেশিরা এই উন্মাদনা দেখে কার্যত বিস্মিত।

শুধু ফুটবলার নয়, সমর্থকরা স্বাগত জানান কোচ আলেয়ান্দ্রোকেও। বড় পোস্টারে ছিল কোচ আলেয়ান্দ্রো মেনেনদেস গার্সিয়ার ছবি। নিচে লেখা, "তোমরা আমাদের গর্বিত করেছ"। আর লাল-হলুদ হেডস্যারকে ছোঁয়ার জন্য সমর্থকদের আগ্রহও ছিল দেখার মতো। আলেয়ান্দ্রোকে কোনওরকমে গাড়িতে তুলে রওনা করে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই ইস্টবেঙ্গল কোচ বলেছেন, তিনি দলের জন্য গর্বিত। সামনের মরশুমের জন্য দল তৈরি। সামনে সুপার কাপ সেই লক্ষ্যে দলকে তৈরি করতে চান।

সুপার কাপের প্রস্তুতির ছকও সাজিয়ে ফেলেছেন আলোয়ান্দ্রো। আজ অনুশীলন করিয়ে দশদিনের ছুটি ফুটবলারদের। তারপর সুপার কাপের চূড়ান্ত প্রস্তুতি সারবে ইস্টবেঙ্গল।

Intro:তার ট্রফি ক‍্যাবিনেটে আর্ন্তজাতিক ট্রফির সংখ্যা এতটাই বেশি অন্য খেলার তারকা খেলোয়াড়দের চোখ কপালে উঠতে পারে। রেশমি কুমারী। বিহারের বাসিন্দা। ঘরকন্না ও চাকরি সামলে ক‍্যারামে দুবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। কলকাতায় এসেছেন পেট্রোলিয়াম বোর্ডের চ্যাম্পিয়ন শীপে অংশ নিতে। স্বামী সন্তান সংসার ফেলে চলে এসেছেন। লক্ষ্য খেতাব। জীবনের সবদিক সামলে খেলার জন্যে নিজেকে সপে দেওয়া দেখে বলতেই হয় রেশমী কুমারী সুপার মম।


Body:কলকাতার টলি ক্লাবে শনিবার থেকে শুরু হয়েছে 26তম পেট্রোলিয়াম স্পোর্টস বোর্ডের ইন্টার ইউনিট ক্যারাম চ্যাম্পিয়ন শীপ। সাতটি ইউনিটের মোট 63 জন খেলোয়াড় এবারের প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন।
পাড়ার ঠেকে বা ক্লাব ঘরে দুই কিংবা চারজনের ক্যারাম খেলা প্রায় সব জায়গায় দেখা যায়। কিন্তু সেই খেলার সৌজন্যে অর্জুন পুরস্কার লাভ কিংবা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়া চমকে দেয়।বিহারের রেশমী কুমারী এখনও তামিলনাড়ুর মারিয়ার মত অর্জুন পুরস্কার পাননি তবে দুবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন, দুবারের বিশ্বকাপ জয় দুবার আইসিএফ কাপ জিতেছেন। তালিকা এখানেই শেষ নয়। এর সঙ্গে যখন যুক্ত করতে হবে চারবারের সার্ক চ্যাম্পিয়ন তিনবারের এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন নয়বারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন তিনবারের ফেডারেশন কাপ চারবারের ইন্টার জোনাল ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন শীপে সেরা হওয়ার কৃতিত্ব। সত্যি অবাক হতে হয়।
দুই সন্তানের জননী রেশমী কুমারী বলছেন বাবা দাদাদের হাত ধরে ক্যারাম খেলার সঙ্গে তার পরিচয়। ধীরে ধীরে খেলাটিকে ভালোবেসেছেন।আত্মস্থ করেছেন। খেলাটি কখন তার সঙ্গী হয়ে গিয়েছে তা বুঝতে পারেননি। পরিবারের সমর্থন প্রথম থেকে ছিল, বিয়ের পরে স্বামী তার খেলার সমর্থক সমালোচক এবং ভরসাস্থল।তাই দুই বাচ্চা কে বাড়িতে রেখে ক্যারাম খেলে বেড়াতে পারছেন।
রেশমী কুমারী র মতে ক্যারাম খেলা সম্পর্কে সাধারণ ধারনার বদল হচ্ছে। খেলাটি র মাধ্যমে ছেলে বা মেয়ে সাফল্যের রাজপথ সহজেই পেতে পারে। তাছাড়া মনসংযোগ এখানে গুরুত্বপূর্ণ। যা আখেরে পড়াশোনায় সাহায্য করে।
চোখ ধাধানো সাফল্যের পরেও প্রত্যাশিত প্রচার নেই। রেশমী কুমারী বলছেন আক্ষেপ থাকলেও অভিযোগ নেই। কারন তারা খেলাটি সম্পর্কে ধারনা বদলের আন্দোলন শুরু করেছেন। আগামী দিন তার ফসল পাবে। ঘরকন্যা সামলে স্বপ্নপূরনের দৌড়। রেশমী কুমারী সব অর্থেই সুপার মম।


Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.