অরুণাচল প্রদেশে শুটিং সেরে কলকাতায় 'হৃৎপিণ্ড' - শিলাদিত্য মৌলিক
শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে শিলাদিত্য বলেন, "শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা এককথায় দারুণ । প্রচুর আউটডোর হয়েছে । বাজেট যদিও একই ধরনের ছিল, কিন্তু অন্যরকমভাবে শুটিং হয়েছে । অর্পিতাদি, সাহেব এবং প্রান্তিক তিনজনই নিজেদের কমফোর্ট জ়োন থেকে বেরিয়ে অভিনয় করেছে ।"
![অরুণাচল প্রদেশে শুটিং সেরে কলকাতায় 'হৃৎপিণ্ড'](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/768-512-4993859-thumbnail-3x2-hridpindo.jpg?imwidth=3840)
কলকাতা : সম্পর্ক পরিচালক শিলাদিত্য মৌলিকের প্রিয় বিষয় । এর আগে 'সোয়েটার' ছবির পরিচালনা করেছেন তিনি । বক্স অফিসে ভালোই সাড়া ফেলেছিল ছবিটি । তাঁর দ্বিতীয় ছবি 'হৃৎপিণ্ড'। ছবির প্রথমার্ধের শুটিং হয়েছে কলকাতায় । আর বাকিটা অরুণাচল প্রদেশে । সম্প্রতি অরুণাচল প্রদেশ থেকে ছবির শুটিং সেরে কলকাতায় ফিরেছেন কলাকুশলীরা । কাজের পাশাপাশি শুটিংয়ের ফাঁকে জমিয়ে মজাও করেছেন তাঁরা ।
![hridpindo](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/wb-kol-02-hridpindo-shooting-pics-7201042_07112019181133_0711f_1573130493_316.png)
শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে শিলাদিত্য বলেন, "শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা এককথায় দারুণ । প্রচুর আউটডোর হয়েছে । বাজেট যদিও একই ধরনের ছিল, কিন্তু অন্যরকমভাবে শুটিং হয়েছে । অর্পিতাদি, সাহেব এবং প্রান্তিক তিনজনই নিজেদের কমফোর্ট জ়োন থেকে বেরিয়ে অভিনয় করেছে ।"
![hridpindo](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/wb-kol-02-hridpindo-shooting-pics-7201042_07112019181133_0711f_1573130493_904.png)
ছবিতে দুটো প্রেম দেখানো হয়েছে । একই সঙ্গে দুটো লুকে দেখা গেছে অর্পিতা চ্যাটার্জিকে । এ বিষয়ে শিলাদিত্য বলেন, "গল্পে অর্পিতাদির চরিত্রটির অ্যাক্সিডেন্ট হয় । তারপর হাসপাতাল থেকেই চুল ওভাবে কেটে দেওয়া হয় । তাঁর অ্যাক্সিডেন্টের পর থেকে শুরু হয় আরও একটা গল্প ।"
![hridpindo](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/wb-kol-02-hridpindo-shooting-pics-7201042_07112019181133_0711f_1573130493_684.png)
এই ছবিতে হৃৎপিণ্ডকে যন্ত্র হিসেবে দেখানো হয়েছে । অনুভূতি একেবারেই ভিন্ন একটি বস্তু । ছবির প্রধান চরিত্র আর্যা (অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়), সোমক (সাহেব চট্টোপাধ্যায়) এবং ঋক (প্রান্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়)। আর্যা একটি সায়েন্স কলেজের অধ্যাপিকা । তার স্বামী সোমক এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলে । সোমকের সঙ্গে আর্যার দাম্পত্য ভালোই কাটছিল । কিন্তু, আর্যার জীবনে হঠাৎই ঘটে যায় একটা দুর্ঘটনা । সে ফিরে যায় কৈশোরে । তখন ঋকের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল । স্মৃতিশক্তি হারানো আর্যার হৃদয় কি তাকে নিয়ে যাবে তার প্রকৃত ভালোবাসার দিকে ? এর উত্তর পেতে অপেক্ষা করতে হবে 2020 সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ।
![hridpindo](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/wb-kol-02-hridpindo-shooting-pics-7201042_07112019181133_0711f_1573130493_489.png)
Body:শিলাদিত্য আমাদের জানিয়েছেন, "ছবির শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা এককথায় দারুণ। বাংলা সিনেমায় যেরকম শুটিং হয় না আমরা সেরকম শুটিং করেছি। প্রচুর আউটডোর হয়েছে। বাজেট যদিও একই ধরনের ছিল, কিন্তু অন্যরকমভাবে শুটিংটা হয়েছে। এটা তো অভিনেতাদের ভীষণই হাই-পারফরম্যান্স ছবি। অর্পিতাদি, সাহেব এবং প্রান্তিক তিনজনেই নিজেদের কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে অভিনয় করেছে। এরকম চরিত্র ওঁরা আগে করেনি। সেটা ওঁদের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। যেটা ওঁরা খুব ভালোভাবে নিয়েছে।" শিলাদিত্য আমাদেরকে যে ছবিগুলো পাঠিয়েছেন, সেখানে স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে, অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়ের চুল ছোটো করে কাটা। এবিষয়ে শিলাদিত্য বলেন, "ছবির চিত্রনাট্যে যা রয়েছে, সেখানে অর্পিতাদির চরিত্রটির অ্যাক্সিডেন্ট হয়। হাসপাতাল থেকে চুলটা ওরকমভাবে কেটে দেওয়া হয়। ওই অ্যাক্সিডেন্টের পর থেকে একটা গল্প শুরু হয়। দুটো প্রেম দেখানো হয়েছে ছবিতে।" শিলাদিত্যর এই নতুন ছবিটি দর্শকদের বলবে, হৃদপিণ্ড একটি যন্ত্র। অনুভূতি একেবারে ভিন্ন একটি বস্তু। ছবির প্রধান চরিত্র আর্যা (অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়), সোমক (সাহেব চট্টোপাধ্যায়) এবং ঋক (প্রান্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়)। আর্যা একটি সাইন্স কলেজের অধ্যাপিকা। সে বিবাহিতা এবং খুবই বাস্তব ধর্মী এক নারী। তার স্বামী সোমক এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলে। সোমকের সঙ্গে সুখের দাম্পত্য জীবন আর্যার। আর্যার জীবনে একদিন হঠাৎই ঘটে যায় এক দুর্ঘটনা এবং সে ফিরে যায় কৈশোরে। যে সময় ঋকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তার। এই ঘটনায় তাদের তিনজনের মধ্যে তৈরি হয় রোমাঞ্চ। স্মৃতিশক্তি হারানো আর্যার হৃদয় কি তাকে নিয়ে যাবে তার প্রকৃত ভালোবাসার দিকে? হৃদপিণ্ড কি শুধুই একটি যন্ত্র? এসবের উত্তর খুঁজতে আপনাদের অপেক্ষা করতে হবে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের জন্য। ভালোবাসার এই মাসেই মুক্তি পাবে 'হৃদপিণ্ড'।
Conclusion:ছবিটি যে দর্শকের মনে আলাদা ভালোলাগা তৈরি করতে পারে তাই নিয়ে আশাবাদী 'হৃদপিণ্ড'র পরিচালক শিলাদিত্য মৌলিক।