ETV Bharat / sitara

'গুমনামী' নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে ফরওয়ার্ড ব্লক, দর্শকদের ছবি বয়কটের আবেদন - gumnami supreme court

"সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত 'গুমনামী' ছবিতে ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে । এছাড়া নেতাজি সুভাষচন্দ্রকে পরদার অন্তরালে গুমনামী বাবা নামধারী সাধু বা ভগবানজি বলে প্রমাণ করার অপচেষ্টা হয়েছে । ফরওয়ার্ড ব্লক তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছে ।"

ছবি
author img

By

Published : Oct 3, 2019, 7:35 PM IST

কলকাতা : দর্শককে 'গুমনামী' ছবিটি বয়কট করার আবেদন জানিয়েছে সর্বভারতীয় ফরওয়ার্ড ব্লক । পুজোর পরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন তাঁরা । তাঁদের অভিযোগ, 'গুমনামী' ছবিটি নেতাজিকে অপমান করেছে । ইতিহাসকে বিকৃত ও মিথ্যাচার করেছে ছবিটি ।

'গুমনামী' ছবি নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক চলছিল । প্রতিবাদ এসেছিল বিভিন্ন মহল থেকে। কেউ পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন । কেউ দূরে সরে গেছে । তবে আজ ছবি নিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্তর কথা জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় এবং সর্বভারতীয় সেক্রেটারি জি দেবরাজন ।

তাঁদের বক্তব্য, "সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত 'গুমনামী' ছবিতে ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে । এছাড়া নেতাজি সুভাষচন্দ্রকে পরদার অন্তরালে গুমনামী বাবা নামধারী সাধু বা ভগবানজি বলে প্রমাণ করার অপচেষ্টা হয়েছে । ফরওয়ার্ড ব্লক তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি ।"

তাঁরা আরও বলেন, "পরিচালকের তরফে বলা হয়েছিল ছবিটি মুখার্জি কমিশনের শুনানির উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে । আসলে এই ছবি মুখার্জি কমিশনের রায়কে ভিত্তি করে আদৌ তৈরি হয়নি । বরং কমিশনের শুনানির উপরই বেশি জোর দেওয়া হয়েছে । ফলে বহু মনগড়া কাহিনিকে টেনে আনা হয়েছে । দিল্লিভিত্তিক কিছু তথাকথিত গবেষকের নেতাজিকে 'গুমনামী বাবা' হিসেবে প্রমাণিত করার দুরভিসন্ধিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ।" এর জন্য দর্শককে ছবিটি বয়কট করার আরজি জানিয়েছেন তাঁরা । ছবিতে ফরওয়ার্ড ব্লকের সহায়তার জন্য যে স্বীকৃতির কথা জানানো হয়েছে, তাও সত্য নয় বলে জানিয়েছেন তাঁরা । আর এর জন্য তাঁরা সৃজিত মুখার্জিকে চিঠিও পাঠাবেন ।

জি দেবরাজন বলেন, "পরিচালক যথেষ্ট পড়াশোনা করে ছবিটি তৈরি করেননি । বরং ইতিহাসকে বিকৃত করেছেন । ছবির লেখক এবং পরিচালক অনেক জায়গায় প্রমাণ করতে চেষ্টা করেছেন ফাইজাবাদের গুমনামী বাবাই আসলে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস । আমরা এর তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ করছি । নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস ফরওয়ার্ড ব্লক তৈরি করেছেন । ছবি বানানোর সময় আমাদের সঙ্গে একবারও আলোচনা করার প্রয়োজন মনে করেনি সৃজিত মুখার্জি । তবে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছেন, যা আমরা অস্বীকার করেছি । ছবির প্রিমিয়ারে গিয়েছিলাম আমরা ১৫ জন । ছবিতে দেখানো অসঙ্গতি এবং বিকৃত ইতিহাসকে প্রতিবাদও করি প্রেক্ষাগৃহে । সৃজিত আমাদের সঙ্গে কথা বলে । বিষয়টি প্রেক্ষাগৃহেই থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে । আমাদের অফিসে এসে ট্রেলার দেখিয়ে যায় পরিচালক । তখন আমরা বলেছিলাম ছবি না দেখে কোনও মন্তব্য করব না । এরপর আমরা ছবিটি দেখি । আমাদের সন্দেহ এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক চক্রান্ত রয়েছে । সৃজিতবাবুকে কেউ-না-কেউ পরিচালনা করেছেন । আমরা আইনি পদক্ষেপ নেব । ছবি জুড়ে শুধু মিথ্যাচার দেখানো হয়েছে । এখন পুজোর সময় । মামলা হবে পুজোর পর । ছবিতে সাংবাদিকের পরিবারের কিছু অশালীন দৃশ্যও রাখা হয়েছে । যা আমাদের পক্ষে গ্রহণযোগ্য নয় ।"

দেখুন ভিডিয়ো

কলকাতা : দর্শককে 'গুমনামী' ছবিটি বয়কট করার আবেদন জানিয়েছে সর্বভারতীয় ফরওয়ার্ড ব্লক । পুজোর পরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন তাঁরা । তাঁদের অভিযোগ, 'গুমনামী' ছবিটি নেতাজিকে অপমান করেছে । ইতিহাসকে বিকৃত ও মিথ্যাচার করেছে ছবিটি ।

'গুমনামী' ছবি নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক চলছিল । প্রতিবাদ এসেছিল বিভিন্ন মহল থেকে। কেউ পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন । কেউ দূরে সরে গেছে । তবে আজ ছবি নিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্তর কথা জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় এবং সর্বভারতীয় সেক্রেটারি জি দেবরাজন ।

তাঁদের বক্তব্য, "সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত 'গুমনামী' ছবিতে ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে । এছাড়া নেতাজি সুভাষচন্দ্রকে পরদার অন্তরালে গুমনামী বাবা নামধারী সাধু বা ভগবানজি বলে প্রমাণ করার অপচেষ্টা হয়েছে । ফরওয়ার্ড ব্লক তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি ।"

তাঁরা আরও বলেন, "পরিচালকের তরফে বলা হয়েছিল ছবিটি মুখার্জি কমিশনের শুনানির উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে । আসলে এই ছবি মুখার্জি কমিশনের রায়কে ভিত্তি করে আদৌ তৈরি হয়নি । বরং কমিশনের শুনানির উপরই বেশি জোর দেওয়া হয়েছে । ফলে বহু মনগড়া কাহিনিকে টেনে আনা হয়েছে । দিল্লিভিত্তিক কিছু তথাকথিত গবেষকের নেতাজিকে 'গুমনামী বাবা' হিসেবে প্রমাণিত করার দুরভিসন্ধিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ।" এর জন্য দর্শককে ছবিটি বয়কট করার আরজি জানিয়েছেন তাঁরা । ছবিতে ফরওয়ার্ড ব্লকের সহায়তার জন্য যে স্বীকৃতির কথা জানানো হয়েছে, তাও সত্য নয় বলে জানিয়েছেন তাঁরা । আর এর জন্য তাঁরা সৃজিত মুখার্জিকে চিঠিও পাঠাবেন ।

জি দেবরাজন বলেন, "পরিচালক যথেষ্ট পড়াশোনা করে ছবিটি তৈরি করেননি । বরং ইতিহাসকে বিকৃত করেছেন । ছবির লেখক এবং পরিচালক অনেক জায়গায় প্রমাণ করতে চেষ্টা করেছেন ফাইজাবাদের গুমনামী বাবাই আসলে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস । আমরা এর তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ করছি । নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস ফরওয়ার্ড ব্লক তৈরি করেছেন । ছবি বানানোর সময় আমাদের সঙ্গে একবারও আলোচনা করার প্রয়োজন মনে করেনি সৃজিত মুখার্জি । তবে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছেন, যা আমরা অস্বীকার করেছি । ছবির প্রিমিয়ারে গিয়েছিলাম আমরা ১৫ জন । ছবিতে দেখানো অসঙ্গতি এবং বিকৃত ইতিহাসকে প্রতিবাদও করি প্রেক্ষাগৃহে । সৃজিত আমাদের সঙ্গে কথা বলে । বিষয়টি প্রেক্ষাগৃহেই থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে । আমাদের অফিসে এসে ট্রেলার দেখিয়ে যায় পরিচালক । তখন আমরা বলেছিলাম ছবি না দেখে কোনও মন্তব্য করব না । এরপর আমরা ছবিটি দেখি । আমাদের সন্দেহ এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক চক্রান্ত রয়েছে । সৃজিতবাবুকে কেউ-না-কেউ পরিচালনা করেছেন । আমরা আইনি পদক্ষেপ নেব । ছবি জুড়ে শুধু মিথ্যাচার দেখানো হয়েছে । এখন পুজোর সময় । মামলা হবে পুজোর পর । ছবিতে সাংবাদিকের পরিবারের কিছু অশালীন দৃশ্যও রাখা হয়েছে । যা আমাদের পক্ষে গ্রহণযোগ্য নয় ।"

দেখুন ভিডিয়ো
Intro:দর্শককে 'গুমনামী' ছবিটি বয়কট করার আর্জি জানিয়েছে সর্বভারতীয় ফরওয়ার্ড ব্লক দল। পুজোর পরে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হবে তারা। ফরওয়ার্ড ব্লকের অভিযোগ, 'গুমনামী' ছবিটি নেতাজিকে অপমান করেছে, ইতিহাসকে বিকৃত করেছে এবং মিথ্যাচার করেছে।


Body:এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে সর্বভারতীয় ফরওয়ার্ড ব্লকের পক্ষ থেকে। 'গুমনামী' ছবি নিয়ে শুরু থেকেই চাপানউতোর চলছিল। প্রতিবাদ এসেছিল বিভিন্ন মহল থেকে। কেউ পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। কেউ দূরে সরে গেছে। কিন্তু আজ চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর তৈরি ফরওয়ার্ড ব্লক। তাদের পক্ষ থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় এবং সর্বভারতীয় সেক্রেটারি জি দেবরাজনের বক্তব্য অনুযায়ী, "সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত 'গুমনামী' ছবিতে যেভাবে ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছে এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্রের মত সর্বকালের সর্ব দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিপ্লবী ও মহান দেশ প্রেমিককে একজন পর্দার অন্তরালে নিভৃতবাসী গুমনামী বাবা নামধারী সাধু বা ভগবানজি বলে প্রমাণ করার অপচেষ্টা হয়েছে, ফরওয়ার্ড ব্লক তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছে। ছবির এই উদ্দেশ্য নেতাজির প্রতি অবমাননা বা তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যকে সম্যক উপলব্ধি করার ব্যর্থতার নামান্তর। বলা হয়েছিল, ছবিটি মুখার্জি কমিশনের শুনানির উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে। এই ছবি মুখার্জি কমিশনের রায়কে ভিত্তি করে আদৌ নির্মিত হয়নি। বরং কমিশনের শুনানির উপরই বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। ফলে বহু কষ্টকল্পিত মনগড়া কাহিনিকে টেনে আনা হয়েছে। দিল্লিভিত্তিক কিছু তথাকথিত গবেষকের নেতাজীকে গুমনামী বাবা হিসেবে প্রমাণিত করার দুরভিসন্ধিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রথিতযশা এক পরিচালকের পক্ষে তা যেমন লজ্জার, তেমনই ঐতিহাসিক নিরপেক্ষতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে তাঁর ব্যর্থতা।


Conclusion:এইজন্য ফরওয়ার্ড ব্লক এর বিরোধিতা করে ছবিটি বয়কট করার জন্য দেশপ্রেমিক জনগণের কাছে আবেদন জানাচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কেন্দ্রে পূর্বতন মন্ত্রীর সরকার মুখার্জি কমিশনের রিপোর্টকে যেমন নাকচ করেছে, বর্তমান মোদি সরকারও নেতাজির নানা স্তুতি করলেও, এখনও এই রিপোর্টকে স্বীকৃতি দেয়নি। উভয় সরকারের এই অপচেষ্টার আমরা বিরোধিতা করছি। আমাদের বরাবরের দাবি, নেতাজি কমিশনের রিপোর্টকে গ্রহণ করতে হবে। নেতাজি সংক্রান্ত সকল ফাইল ডিক্ল্যাসিফাই করতে হবে। এবং আন্তর্জাতিক স্তরে এক প্রতিনিধিস্থানীয় এনকোয়ারি কমিশন গঠন করে নেতাজি অন্তর্ধান রহস্যের সমাধান করতে হবে। ছবিতে ফরওয়ার্ড ব্লকের সহায়তার জন্য যে স্বীকৃতির কথা জানান হয়েছে, তা আদৌ সত্য নয়। এর প্রতিবাদ করে আমরা শ্রী মুখোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠাচ্ছি।" জি দেবরাজন ETV ভারত সিতারাকে বলেন, "পরিচালক যথেষ্ট পড়াশোনা করে ছবিটি তৈরি করেননি। বরং ইতিহাসকে বিকৃত করেছেন। ছবির লেখক এবং পরিচালক অনেক জায়গায় প্রমাণ করতে চেষ্টা করেছেন ফাইজাবাদের গুমনামী বাবাই আসলে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস। আমরা এর তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ করছি। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস ফরওয়ার্ড ব্লক তৈরি করেছেন। ছবি বানানোর সময় আমাদের সঙ্গে একবারও আলোচনা করার প্রয়োজন মনে করেনি সৃজিৎ মুখার্জি। তবে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছেন, যা আমরা অস্বীকার করেছি। ২ অক্টোবর ছবির প্রিমিয়ারে গিয়েছিলাম আমরা ১৫ জন ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে। ছবিতে দেখান অসঙ্গতি এবং বিকৃত ইতিহাসকে প্রতিবাদও করি প্রেক্ষাগৃহে। সৃজিত আমাদের সঙ্গে কথা বলে। বিষয়টি প্রেক্ষাগৃহেই থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। আমাদের অফিসে এসে ট্রেলার দেখিয়ে যায় পরিচালক। তখন আমরা বলেছিলাম ছবি না দেখে কোনও মন্তব্য করব না। ২ অক্টোবর আমরা ছবিটি দেখেছি। মন্তব্যের সঙ্গে তীব্র প্রতিবাদ করছি। আমাদের সন্দেহ এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক চক্রান্ত রয়েছে। সৃজিতবাবুকে কেউ-না-কেউ পরিচালনা করেছেন। আমরা আইনি পদক্ষেপ নেব। ছবি জুড়ে শুধু মিথ্যাচার দেখান হয়েছে। এখন পুজোর সময়। আইনি মামলা হবে পুজোর পর। ছবিতে সাংবাদিকের পরিবারের কিছু অশালীন দৃশ্যও রাখা হয়েছে। যা আমাদের পক্ষে গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা ভারতবর্ষের নেতাজি প্রেমীদের, দেশ ভক্তদের কাছে আরজি জানাচ্ছি এই ছবিকে বয়কট করা হোক। শুধু ইতিহাসকে বিকৃত করা, মিথ্যা তথ্য দেওয়াই নয়, নেতাজীকে বদনাম করা হয়েছে এই ছবিতে। নেতাজি আমাদের গৌরব। তাঁর এই অপমান আমরা সহ্য করব না।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.