কলকাতা : সামনে এসেছে কেরালার একটি নৃসংশ ঘটনা । যেখানে আনারসের মধ্যে বাজি ভরে তা খাইয়ে হত্যা করা হয়েছে গর্ভবতী হাতিকে । এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে সোশাল মিডিয়ায় । এই ঘটনাকে ধিক্কার জানিয়েছেন অনেকেই । সরব হয়েছে একাধিক টলি তারকা ।
এই প্রসঙ্গে পরিচালক মনোজ মিশিগান বলেন, "কয়েকদিন আগে আমি একটা ডকুমেন্টারি দেখছিলাম । সেখানে দেখানো হচ্ছিল, মানুষ কীভাবে এই পৃথিবীকে ধ্বংস করছে । আমরা সত্যিই জানি না এটা হাতিকেই খাওয়ানো হয়েছিল কি না, না কি এটা বন্য শুকরের জন্য ছিল । যার জন্যই হোক না কেন, খাবারের মাধ্যমে শরীরে বিস্ফোরক ঢুকিয়ে দেওয়ার বিষয়টা খুবই নিন্দার । খরবটা জানার পর থেকে আমার শরীর কেঁপে উঠছে । আমি শুধু মানসিকতাটা ভাবছি । কতখানি হিংস্র হলে, এটা করা যায় । তাও একটা গর্ভবতী প্রাণীর সঙ্গে । খিদে মেটাতে একটা আনারস খেতে এসেছিল । মানুষই সেই প্রাণী, যারা অন্য প্রাণীকে কষ্ট দিয়ে আনন্দ উপভোগ করে । আমাদের উপর এই যে কোরোনার প্রভাব পড়েছে, আমি বলব খুব ভালো হয়েছে । এরকমভাবে শাস্তি পাওয়া দরকার । হাতির মৃত্যু খবরটা সকাল সকাল আমার মাথা খারাপ করে দিয়েছে । মাথাটাই কাজ করছে না ঠিক করে ।"
এই ঘটনায় সোশাল মিডিয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী ও তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী । তিনি লেখেন, "হাতিকে হত্যা করার জন্য ফলের মধ্যে বিষ ও বারুদ পুড়ে রাখা হয়েছিল । যা খেয়ে মৃত্যু হয়েছে গর্ভবতী হাতির । এর ফল ভুগতে হবে ।"
-
In May 2020, the @KeralaForest dept removed all safeguards for killing wild boar. Now poison and crackers r being planted in fruits used by locals to and left in the wild. It is this policy which is responsible for the horrible death of the pregnant elephant. Must be rolled back.
— Mimssi (@mimichakraborty) June 3, 2020 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="
">In May 2020, the @KeralaForest dept removed all safeguards for killing wild boar. Now poison and crackers r being planted in fruits used by locals to and left in the wild. It is this policy which is responsible for the horrible death of the pregnant elephant. Must be rolled back.
— Mimssi (@mimichakraborty) June 3, 2020In May 2020, the @KeralaForest dept removed all safeguards for killing wild boar. Now poison and crackers r being planted in fruits used by locals to and left in the wild. It is this policy which is responsible for the horrible death of the pregnant elephant. Must be rolled back.
— Mimssi (@mimichakraborty) June 3, 2020
এ প্রসঙ্গে শ্রীলেখা মিত্র বলেন, "এতে রেগে যাওয়ারই কথা । এগুলো আমি সহ্য করতে পারি না । এই পোস্টটা অনেকে শেয়ার করেছিল । আমার বারবার মনে হয়, আমাকে মানুষের বাচ্চা বললে গালাগালি দেওয়া হয় । আমাকে কুকুর কিংবা জন্তু জানোয়ারের সঙ্গে তুলনা করলে বেশি খুশি হব । মানুষই ভায়োলেন্স ছড়ায়, ধর্ষণ করে খুন করে । এগুলো অনেকদিন ধরেই চলছে । মানুষ এটা একেবারেই বোঝে না, যে পশুপাখিদেরও বেঁচে থাকার সমান অধিকার আছে । সুতরাং এটা খুবই কষ্টের। আমার মনে হয় আমার মত প্রত্যেক মানুষই এটা নিয়ে কষ্ট পেয়েছে । আজ আমার বাড়ির কুকুরগুলোর সঙ্গে যেটা হয়, সেটাও তো ক্রুয়েলটি । মানুষ পশুদের কষ্ট দিয়ে আনন্দ পায় । এটা একধরনের বর্বরতা, অসভ্যতা । আমার বক্তব্য হল, এটা যারা করেছে তাদের উপযুক্ত শাস্তি হওয়া দরকার । সম্প্রতি একটা হনুমানকে মারা হয়েছে । ক্ষমা চাওয়ার পর ছেড়ে দেওয়া হল, সেটা না করে নিদর্শন মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত । যাতে কেউ ঢিল ছোড়ার আগেও চারবার ভাবে । পুলিশের সমান প্রাধান্য দেওয়া উচিত, মানুষকে খুন করলে সেটাও যেমন শাস্তিযোগ্য অপরাধ । মানুষ যদি পশুকে খুন করে সেটাও তাই । টাকা দিয়ে বেল পেয়ে গেল, সেটা যেন না হয় । এটার জন্য সই কালেক্ট করা দরকার । এরকম একটা পিটিশন হচ্ছে, আমি সই করেছি ।"