ETV Bharat / state

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে বুড়ো আঙুল ! সাফ ম্যানগ্রোভ, নদীর চর দখল করে আস্ত রিসর্ট

হাসনাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত এই এলাকায় ডাসা নদীর চর দখল করার অভিযোগ উঠেছে ৷ অভিযোগ, ম্যানগ্রোভ কেটে ফেলারও অভিযোগ উঠেছে ৷

RESORT ON RIVER BANKS
ডাসা নদীর চরে ম্যানগ্রোভ কেটে রিসর্ট তৈরির অভিযোগ ৷ (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 27, 2024, 8:12 PM IST

বসিরহাট, 27 নভেম্বর: বেদখল হয়ে যাওয়া সরকারি জমি জবরদখল মুক্ত করতে হবে ৷ প্রশাসনকে বারবার এমনই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ কিন্তু সেই নির্দেশই সার ! উলটে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নদীর চর দখল করে রাতারাতি বেআইনিভাবে গজিয়ে উঠেছে রিসর্ট !

একদিন, দু-দিন নয় ৷ টানা একবছর ধরে প্রশাসনের নাকের ডগায় রমরমিয়ে সেই বেআইনি রিসর্ট চলছে বলে অভিযোগ ৷ ঘটনাটি উত্তর 24 পরগনার হাসনাবাদের মাখালগাছা পঞ্চায়েত এলাকার ৷ অভিযোগ, সবকিছু জেনেও প্রশাসন নীরব রয়েছে ৷ যার জেরে ক্ষুব্ধ নদী তীরবর্তী স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ পরিবেশ রক্ষায় অবিলম্বে নদী চর জবরদখল মুক্ত করার দাবি তুলেছেন তাঁরা ৷

নদী চর দখল করে রিসর্ট (নিজস্ব ভিডিয়ো)

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসনাবাদ ব্লকের মাখালগাছা পঞ্চায়েতের আবাদ কুলিয়াডাঙা এলাকায় ডাসা নদীর চর দখল করে এই রিসর্টটি তৈরি করা হয়েছে ৷ অভিযোগ, যিনি এই রিসর্ট তৈরি করেছেন, তাঁর সঙ্গে শাসকদলের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে ৷ ফলে বিনা বাধায় রিসর্টটি তৈরি করতে পেরেছেন ওই ব্যক্তি ৷ গেস্ট হাউস তৈরি করতে ম্যানগ্রোভ-সহ একাধিক গাছ অবাধে কেটে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ ৷ আর গত একবছর ধরে নদীর চরে গাছ কেটে রিসর্টের কংক্রিটের নির্মাণ কাজ চলছে ৷ তারপরও প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই !

অন‍্যদিকে, নদীর বুকে কংক্রিটের বড়-বড় পিলার তৈরি হওয়ায়, নদীর গতিপথ পরিবর্তনের আশঙ্কা তৈরি রয়েছে ৷ যার সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে পরিবেশেও ৷ এমনটাই বলছেন নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা ৷ এতকিছুর পরেও প্রশাসন চোখ বুজে রয়েছে বলে অভিযোগ ৷ ফলে, বুক ফুলিয়ে নদীর চর দখল করে একের পর এক নির্মাণ করে চলেছেন রিসর্ট মালিক ৷

যার বিরোধিতা করে সরব হয়েছে হাসনাবাদের নাগরিক সমাজ ৷ তাঁরা সরকারের বিভিন্ন দফতরে অভিযোগও করেছেন ৷ কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ ৷ প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এর পিছনে প্রভাবশালী কারও মদত রয়েছে ?

এদিকে, সরকারি জমিতে কীভাবে গেস্ট হাউস তৈরি করা হল, এ নিয়ে রিসর্ট মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি ৷ আর ওই রিসর্টের কর্মী ইন্দ্রজিৎ দাসের বক্তব্য, "ফাঁকা জায়গায় মানুষের সাময়িক বিনোদনের জন্য বসার জায়গা করা হয়েছে ৷ নদীর চর দখল করে কোনও রিসর্ট তৈরি করা হয়নি ৷" ম্যানগ্রোভ কাটার পরিবর্তে সেখানে তাঁরা গাছ লাগিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন ওই ব্যক্তি ৷

যদিও, তাঁর এই দাবির সঙ্গে সহমত নন শোভা মণ্ডল নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা ৷ তাঁর কথায়, "সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে ওই রিসর্টটি তৈরি করা হয়েছে, এটা সকলেই জানে ৷ নদীর চরে এই রিসর্ট তৈরি করার ফলে নদীর স্বাভাবিক গতিপথ বিকৃত হচ্ছে ৷ কমে যাচ্ছে নদীর নাব‍্যতা ৷ এতে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ৷"

বিষয়টি নিয়ে হাসনাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আমিরুল ইসলামের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয় ৷ তিনি বলেন, "আমার বিষয়টি জানা নেই ৷ খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে ৷ ওই জায়গায় কী পরিস্থিতি রয়েছে, তা খোঁজ নিয়ে দেখব ৷ সেই মতো ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলব ৷ যদি বেআইনি কাজ হয়ে থাকে, তাহলে প্রশাসন নিশ্চয়ই হস্তক্ষেপ করবে ৷"

বসিরহাট, 27 নভেম্বর: বেদখল হয়ে যাওয়া সরকারি জমি জবরদখল মুক্ত করতে হবে ৷ প্রশাসনকে বারবার এমনই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ কিন্তু সেই নির্দেশই সার ! উলটে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নদীর চর দখল করে রাতারাতি বেআইনিভাবে গজিয়ে উঠেছে রিসর্ট !

একদিন, দু-দিন নয় ৷ টানা একবছর ধরে প্রশাসনের নাকের ডগায় রমরমিয়ে সেই বেআইনি রিসর্ট চলছে বলে অভিযোগ ৷ ঘটনাটি উত্তর 24 পরগনার হাসনাবাদের মাখালগাছা পঞ্চায়েত এলাকার ৷ অভিযোগ, সবকিছু জেনেও প্রশাসন নীরব রয়েছে ৷ যার জেরে ক্ষুব্ধ নদী তীরবর্তী স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ পরিবেশ রক্ষায় অবিলম্বে নদী চর জবরদখল মুক্ত করার দাবি তুলেছেন তাঁরা ৷

নদী চর দখল করে রিসর্ট (নিজস্ব ভিডিয়ো)

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসনাবাদ ব্লকের মাখালগাছা পঞ্চায়েতের আবাদ কুলিয়াডাঙা এলাকায় ডাসা নদীর চর দখল করে এই রিসর্টটি তৈরি করা হয়েছে ৷ অভিযোগ, যিনি এই রিসর্ট তৈরি করেছেন, তাঁর সঙ্গে শাসকদলের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে ৷ ফলে বিনা বাধায় রিসর্টটি তৈরি করতে পেরেছেন ওই ব্যক্তি ৷ গেস্ট হাউস তৈরি করতে ম্যানগ্রোভ-সহ একাধিক গাছ অবাধে কেটে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ ৷ আর গত একবছর ধরে নদীর চরে গাছ কেটে রিসর্টের কংক্রিটের নির্মাণ কাজ চলছে ৷ তারপরও প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই !

অন‍্যদিকে, নদীর বুকে কংক্রিটের বড়-বড় পিলার তৈরি হওয়ায়, নদীর গতিপথ পরিবর্তনের আশঙ্কা তৈরি রয়েছে ৷ যার সরাসরি প্রভাব পড়তে পারে পরিবেশেও ৷ এমনটাই বলছেন নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা ৷ এতকিছুর পরেও প্রশাসন চোখ বুজে রয়েছে বলে অভিযোগ ৷ ফলে, বুক ফুলিয়ে নদীর চর দখল করে একের পর এক নির্মাণ করে চলেছেন রিসর্ট মালিক ৷

যার বিরোধিতা করে সরব হয়েছে হাসনাবাদের নাগরিক সমাজ ৷ তাঁরা সরকারের বিভিন্ন দফতরে অভিযোগও করেছেন ৷ কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ ৷ প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এর পিছনে প্রভাবশালী কারও মদত রয়েছে ?

এদিকে, সরকারি জমিতে কীভাবে গেস্ট হাউস তৈরি করা হল, এ নিয়ে রিসর্ট মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি ৷ আর ওই রিসর্টের কর্মী ইন্দ্রজিৎ দাসের বক্তব্য, "ফাঁকা জায়গায় মানুষের সাময়িক বিনোদনের জন্য বসার জায়গা করা হয়েছে ৷ নদীর চর দখল করে কোনও রিসর্ট তৈরি করা হয়নি ৷" ম্যানগ্রোভ কাটার পরিবর্তে সেখানে তাঁরা গাছ লাগিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন ওই ব্যক্তি ৷

যদিও, তাঁর এই দাবির সঙ্গে সহমত নন শোভা মণ্ডল নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা ৷ তাঁর কথায়, "সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে ওই রিসর্টটি তৈরি করা হয়েছে, এটা সকলেই জানে ৷ নদীর চরে এই রিসর্ট তৈরি করার ফলে নদীর স্বাভাবিক গতিপথ বিকৃত হচ্ছে ৷ কমে যাচ্ছে নদীর নাব‍্যতা ৷ এতে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ৷"

বিষয়টি নিয়ে হাসনাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আমিরুল ইসলামের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয় ৷ তিনি বলেন, "আমার বিষয়টি জানা নেই ৷ খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে ৷ ওই জায়গায় কী পরিস্থিতি রয়েছে, তা খোঁজ নিয়ে দেখব ৷ সেই মতো ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলব ৷ যদি বেআইনি কাজ হয়ে থাকে, তাহলে প্রশাসন নিশ্চয়ই হস্তক্ষেপ করবে ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.