ETV Bharat / jagte-raho

"বাবাকে খুন করেছি", থানায় এসে বললেন ব্যক্তি - বাবাকে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ

বাবাকে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ করলেন ছেলে ৷ চাঁদু চট্টোপাধ্যায় নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে বাগুইআটি থানার পুলিশ ৷

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Oct 30, 2019, 8:12 AM IST

বিধাননগর, 30 অক্টোবর : তখন দুপুর গড়িয়েছে ৷ হন্তদন্ত হয়ে থানায় ঢুকলেন এক ব্যক্তি ৷ এসেই এক পুলিশকর্মীকে বললেন, "আমি বাবাকে খুন করেছি ৷ আমাকে আপনারা গ্রেপ্তার করুন ৷" কোনও সিনেমার চিত্রনাট্য নয় ৷ বাস্তবে এমনই ঘটেছে বাগুইআটি থানায় ৷ গতকাল দুপুরে এসে চাঁদু চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি বলেন, তিনি বাবাকে খুন করেছেন ৷

চাঁদু চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি বাগুইআটি থানার অশ্বিনীনগরে ৷ তাঁকে নিয়ে তাঁর বাড়িতে যায় পুলিশ ৷ দেখা যায়, এক বৃদ্ধের মৃতদেহ একটি সোফাতে বসানো রয়েছে । তাঁর গলায় শ্বাস রোধ করে খুনের সবরকমের চিহ্ন পাওয়া গেছে । তার সঙ্গে একটি দড়িও উদ্ধার করেছে পুলিশ । যেটিতে রক্ত লাগানো ছিল । এরপরই বাগুইআটি থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে বছর তিপান্নর চাঁদু চট্টোপাধ্যায়কে ।

মৃতের নাম শ্যাম চট্টোপাধ্যায় (83) ৷ বায়ুসেনার প্রাক্তন কর্মী ৷ জানা গেছে, গতকাল সকালে বাবা-ছেলের বচসা বাধে ৷ সেইসময় বাবাকে খুন করেন চাঁদুবাবু ৷

বাবা-ছেলের মধ্যে কী নিয়ে বচসা ?

স্থানীয়রা বলেন, চাঁদুবাবু বিদেশে চাকরি করতেন ৷ শ্যামলবাবু তাঁকে দেশে চলে আসতে বলেন । শ্যামলবাবুর স্ত্রী অনেকদিন আগে মারা গেছেন ৷ বাড়িতে তিনি একা থাকতেন ৷ বাবার কথা মতো চাঁদুবাবু বিদেশের চাকরি ছেড়ে কলকাতায় ফিরে আসেন ৷ কিন্তু, এখনও কোনও চাকরি পাননি ৷ এদিকে তাঁর স্ত্রী কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরুতে ছেলেকে নিয়ে থাকেন ৷ কলকাতা ছেড়ে বেঙ্গালুরু চলে যেতে চাইছিলেন চাঁদুবাবু । কিন্তু শ্যামলবাবুর শারীরিক অবস্থার কারণে তিনি যেতে পারছিলেন না ৷ এই নিয়েই বাবা এবং ছেলের মধ্যে একটি চাপা উত্তেজনা ছিল ৷ তার জেরেই এই খুন কি না তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ । শ্যামলবাবুর মৃত্যুর ঘটনায় বাগুইআটি থানার পুলিশ মামলা নথিবদ্ধ করে তদন্তে নেমেছে । গ্রেপ্তার করা হয়েছে চাঁদু চট্টোপাধ্যায়কে ৷

বিধাননগর, 30 অক্টোবর : তখন দুপুর গড়িয়েছে ৷ হন্তদন্ত হয়ে থানায় ঢুকলেন এক ব্যক্তি ৷ এসেই এক পুলিশকর্মীকে বললেন, "আমি বাবাকে খুন করেছি ৷ আমাকে আপনারা গ্রেপ্তার করুন ৷" কোনও সিনেমার চিত্রনাট্য নয় ৷ বাস্তবে এমনই ঘটেছে বাগুইআটি থানায় ৷ গতকাল দুপুরে এসে চাঁদু চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি বলেন, তিনি বাবাকে খুন করেছেন ৷

চাঁদু চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি বাগুইআটি থানার অশ্বিনীনগরে ৷ তাঁকে নিয়ে তাঁর বাড়িতে যায় পুলিশ ৷ দেখা যায়, এক বৃদ্ধের মৃতদেহ একটি সোফাতে বসানো রয়েছে । তাঁর গলায় শ্বাস রোধ করে খুনের সবরকমের চিহ্ন পাওয়া গেছে । তার সঙ্গে একটি দড়িও উদ্ধার করেছে পুলিশ । যেটিতে রক্ত লাগানো ছিল । এরপরই বাগুইআটি থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে বছর তিপান্নর চাঁদু চট্টোপাধ্যায়কে ।

মৃতের নাম শ্যাম চট্টোপাধ্যায় (83) ৷ বায়ুসেনার প্রাক্তন কর্মী ৷ জানা গেছে, গতকাল সকালে বাবা-ছেলের বচসা বাধে ৷ সেইসময় বাবাকে খুন করেন চাঁদুবাবু ৷

বাবা-ছেলের মধ্যে কী নিয়ে বচসা ?

স্থানীয়রা বলেন, চাঁদুবাবু বিদেশে চাকরি করতেন ৷ শ্যামলবাবু তাঁকে দেশে চলে আসতে বলেন । শ্যামলবাবুর স্ত্রী অনেকদিন আগে মারা গেছেন ৷ বাড়িতে তিনি একা থাকতেন ৷ বাবার কথা মতো চাঁদুবাবু বিদেশের চাকরি ছেড়ে কলকাতায় ফিরে আসেন ৷ কিন্তু, এখনও কোনও চাকরি পাননি ৷ এদিকে তাঁর স্ত্রী কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরুতে ছেলেকে নিয়ে থাকেন ৷ কলকাতা ছেড়ে বেঙ্গালুরু চলে যেতে চাইছিলেন চাঁদুবাবু । কিন্তু শ্যামলবাবুর শারীরিক অবস্থার কারণে তিনি যেতে পারছিলেন না ৷ এই নিয়েই বাবা এবং ছেলের মধ্যে একটি চাপা উত্তেজনা ছিল ৷ তার জেরেই এই খুন কি না তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ । শ্যামলবাবুর মৃত্যুর ঘটনায় বাগুইআটি থানার পুলিশ মামলা নথিবদ্ধ করে তদন্তে নেমেছে । গ্রেপ্তার করা হয়েছে চাঁদু চট্টোপাধ্যায়কে ৷

Intro:
নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর, ২৯ অক্টোবর: বাগুইআটিতে বাবাকে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ করল ছেলে। জানা গিয়েছে প্রাক্তন বায়ুসেনা কর্মী শ্যামল চট্টোপাধ্যায়কে খুন করেছে বলে দাবী করে তার ছেলে চাঁদু চট্টোপাধ্যায়।


বাগুইআটি থানা সূত্রে জানা গেছে মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদু চট্টোপাধ্যায় (৫৭) থানায় গিয়ে এক পুলিশ কর্মীকে বলেন, "আমার বাবা মারা গিয়েছেন। আমাকে আপনারা অ্যারেস্ট করুন। তার মৃত্যুর জন্য আমিই দায়ী।" এই কথা শুনে কার্যত চক্ষু চড়ক গাছ হয়ে গিয়েছিল ডিউটি অফিসারের। পরে তারা চাঁদুর বাড়িতে গিয়ে পুলিশ দেখে ঘটনাটি সত্যি। এরপরেই ছেলেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বাগুইআটি থানা এলাকার অশ্বিনীনগরে।

Body:এদিন সকাল থেকেই চন্দুর বাবা শ্যামল চ্যাটার্জীর (৮৩) সঙ্গে বচসা শুরু হয়। জানা গিয়েছে শ্যামলবাবু একজন প্রাক্তন বায়ু সেনা কর্মী। ছেলে চাঁদু এত দিন বিদেশে টিসিএসের মতন কম্পানির একটি প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু দেশে ফেরার পর থেকে এখনও পর্যন্ত তিনি কোথাও কাজে যোগ দিতে পারেননি। আর সেই কারণেই তিনি মানষিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তার উপরে শ্যামলবাবুও বয়সকালীন নানান সমস্যাতে জর্জরিত ছিলেন। এদিকে শ্যামলবাবুর স্ত্রীও মারা গিয়েছেন দীর্ঘ দিন আগেই। কিন্তু চাঁদুর স্ত্রী ব্যাঙ্গালোরে কর্মসূত্রে ছেলে নিয়েই থাকেন। তবে এদিন পুলিশ যখন শ্যামলবাবুর বাড়িতে যায় সেখানে দেখা যায় তার দেহটি একটি সোফাতে বসানো ছিল। তার গলায় শ্বাস রোধ করা সব রকমের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। তার সঙ্গে একটি দড়িও উদ্ধার করেছে পুলিশ। যেটিতে রক্ত লাগানো ছিল। এরপরেই বাগুইআটি থানার পুলিশ আটক করে চন্দুবাবুকে।

এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, শ্যামলবাবু বয়সকালে চাঁদুকে বিদেশের চাকরি ছেড়ে দেশে চলে আসতে বলে।সেই কারণেই চাঁদুকে বিদেশের চাকরি ছেড়ে কলকাতায় ফিরতে হয়েছিল। সেই বিষয়টিও বিবাদের কারন কি না পুলিশ জানার চেষ্টা করছে। এদিকে চাঁদুও স্ত্রী ব্যাঙ্গালোরে থাকার কারণে কলকাতা ছেড়ে ওইরাজ্যেই চলে যেতে চাইছিলেন। কিন্তু শ্যামলবাবুর শারিরিক অবস্থার কারণে তিনি যেতে পারছিলেন না বলেই দাবি করেছেন প্রতিবেশীরা। এই নিয়েই বাবা এবং ছেলের মধ্যে একটি চাপা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল অনেক দিন ধরেই। তার থেকেই এই খুন কিনা সেই বিষয়টিও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে এদিনের ঘটনার আকস্মিকতায় কার্যত থতমত হয়ে গিয়েছে বাগুইআটি থানার পুলিশ কর্মিরাও। এদিনও বিধাননগর সিটি পুলিশের এয়ারপোর্ট ডিভিশনের ডিসি এবং এয়ারপোর্ট ডিভিশনের এসিপি জোন দুই নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সেখানে তারা ঘটনার বিষয়টি আরও ভাল করে বুঝে দেখার চেষ্টা করেন। শ্যামলবাবুর মৃত্যুর ঘটনায় বাগুইআটি থানার পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা নথিবদ্ধ করে তদন্ত নেমেছে।Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.