বিধাননগর, 30 অক্টোবর : তখন দুপুর গড়িয়েছে ৷ হন্তদন্ত হয়ে থানায় ঢুকলেন এক ব্যক্তি ৷ এসেই এক পুলিশকর্মীকে বললেন, "আমি বাবাকে খুন করেছি ৷ আমাকে আপনারা গ্রেপ্তার করুন ৷" কোনও সিনেমার চিত্রনাট্য নয় ৷ বাস্তবে এমনই ঘটেছে বাগুইআটি থানায় ৷ গতকাল দুপুরে এসে চাঁদু চট্টোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি বলেন, তিনি বাবাকে খুন করেছেন ৷
চাঁদু চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি বাগুইআটি থানার অশ্বিনীনগরে ৷ তাঁকে নিয়ে তাঁর বাড়িতে যায় পুলিশ ৷ দেখা যায়, এক বৃদ্ধের মৃতদেহ একটি সোফাতে বসানো রয়েছে । তাঁর গলায় শ্বাস রোধ করে খুনের সবরকমের চিহ্ন পাওয়া গেছে । তার সঙ্গে একটি দড়িও উদ্ধার করেছে পুলিশ । যেটিতে রক্ত লাগানো ছিল । এরপরই বাগুইআটি থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে বছর তিপান্নর চাঁদু চট্টোপাধ্যায়কে ।
মৃতের নাম শ্যাম চট্টোপাধ্যায় (83) ৷ বায়ুসেনার প্রাক্তন কর্মী ৷ জানা গেছে, গতকাল সকালে বাবা-ছেলের বচসা বাধে ৷ সেইসময় বাবাকে খুন করেন চাঁদুবাবু ৷
বাবা-ছেলের মধ্যে কী নিয়ে বচসা ?
স্থানীয়রা বলেন, চাঁদুবাবু বিদেশে চাকরি করতেন ৷ শ্যামলবাবু তাঁকে দেশে চলে আসতে বলেন । শ্যামলবাবুর স্ত্রী অনেকদিন আগে মারা গেছেন ৷ বাড়িতে তিনি একা থাকতেন ৷ বাবার কথা মতো চাঁদুবাবু বিদেশের চাকরি ছেড়ে কলকাতায় ফিরে আসেন ৷ কিন্তু, এখনও কোনও চাকরি পাননি ৷ এদিকে তাঁর স্ত্রী কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরুতে ছেলেকে নিয়ে থাকেন ৷ কলকাতা ছেড়ে বেঙ্গালুরু চলে যেতে চাইছিলেন চাঁদুবাবু । কিন্তু শ্যামলবাবুর শারীরিক অবস্থার কারণে তিনি যেতে পারছিলেন না ৷ এই নিয়েই বাবা এবং ছেলের মধ্যে একটি চাপা উত্তেজনা ছিল ৷ তার জেরেই এই খুন কি না তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ । শ্যামলবাবুর মৃত্যুর ঘটনায় বাগুইআটি থানার পুলিশ মামলা নথিবদ্ধ করে তদন্তে নেমেছে । গ্রেপ্তার করা হয়েছে চাঁদু চট্টোপাধ্যায়কে ৷