নিউ ইয়র্ক, 5 এপ্রিল: আত্মসমর্পনের আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৷ পর্ন তারকে স্টর্নি ড্য়ানিয়েলকে ঘুষ দেওয়ার পাশাপাশি মোট 34টি অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে ৷ যদিও শুনানি শেষে আদালতের তরফে জানানো হয়েছে আগামী বছর জানুয়ারি থেকে ট্রাম্পের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে ৷ আদালত থেকে বেরিয়ে পালটা বাইডেন সরকারের বিরুদ্ধে এবার সুর চড়ালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ৷ এমনকি বাইডেন প্রশাসনের আমলে দেশ রসাতলে যাচ্ছে বলেও বিস্ফোরক মন্তব্য় করেন তিনি ৷ পাশাপাশি আগামী বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যাতে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করতে পারেন সে কারণেই এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলেও ট্রাম্পের অভিযোগ ৷
আদালতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুনানি চলাকালীন বাইরে ভীড় জমান রিপাবলিকান দলের সদস্য়রা ৷ কড়াকড়ি করা হয় নিরাপত্তা ব্য়বস্থাও ৷ ট্রাম্প অনুগামীরা যে রাস্তায় নামবে বা আদালত চত্বরে জমায়েত হবে, তার আগাম আন্দাজ করেছিল পুলিশ ৷ আর তার জেরেই, লিরাপত্তার ঘেরাটোপা মুড়ে ফেলা হয়েছিল গোটা নিউ ইয়র্ক শহর ৷ পরে অনুগামীদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, "আমাদের দেশকে বাঁচাতে হবে। আমি কখনই ভাবিনি যে আমেরিকাতে এরকম কিছু ঘটতে পারে ! আমাদের জাতিকে যারা ধ্বংস করতে চায়, তাদের হাত থেকে আমেরিকাকে রক্ষা করতে চাওয়াই আমার একমাত্র অপরাধ ৷"
উল্লেখ্য়, 2016 সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রচারের সময় পর্ন তারকে স্টর্মি ড্য়ানিয়েলের মুখ বন্ধ করতে ঘুষ দেওয়ার ঘটনায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা শুরু হয়েছে। এর প্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের একটি আদালতে এসে আত্মসমর্পণ করেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। সেই মামলার শুনানি শেষে ট্রাম্প অভিযোগ করেন, "এই ভুয়ো মামলাটি 2024 সালের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করার জন্যই আনা হয়েছে। তাই অবিলম্বে এই মামলা খারিজ করে দেওয়া উচিত।"
প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বিপুল পরিমাণ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলকে ৷ পুলিশের দাবি, কোনও বড় ঘটনাকে চাপা দিতেই এই ঘুষ দিয়েছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ৷ সোমবারই আদালতে একজন সাক্ষী জানিয়েছিলেন, স্টর্মিকে টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন ট্রাম্প ৷ পাশাপাশি স্টর্মি নিজেও জানিয়েছেন, আইনজীবী মারফৎ ট্রাম্প তাঁকে এক লক্ষ 30 হাজার ডলার দিয়েছিলেন ৷ অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগ দাবি করেছেন, স্টর্মির সঙ্গে যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ট্রাম্প ৷ এরপরই সেই তথ্য় গোপন করতে এবং স্টর্মির মুখ বন্ধ করতে তাঁকে ঘুষ দেন তিনি ৷ এই আর্থিক লেনদেনের তথ্য় গোপন করার অপরাধেই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয় ৷ যদিও এই সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান ৷ তাঁর অনুগামীরা ইতিমধ্য়েই গোটা ঘটনাকে 'রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র' হিসাবে দেগে দিতে চেয়েছেন ৷