ETV Bharat / health

শরীরের জন্য কতটা উপকারী রায়তা ? ভিন্ন স্বাদের রায়তার রেসিপি দেখে নিন - RAITA RECIPES AND BENEFITS

রায়তা শুধুমাত্র শুস্বাদুই নয় এটি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ৷ তবে ডায়েটিশিয়ানরা জানান অবশ্যই এটি সঠিক নিয়মে ও সঠিক সময় খাওয়া প্রয়োজন ৷

RAITA RECIPES
রায়তার উপকারিতা (Freepik)
author img

By ETV Bharat Health Team

Published : Jan 2, 2025, 10:34 AM IST

ভারতীয় খাবারে রায়তার নাম এলেই দইয়ের ঠান্ডা স্বাদ আর মশলার সুগন্ধ মনকে বিমোহিত করে । এটি শুধু স্বাদের জন্যই নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী । রায়তা প্রতিটি বাড়িতেই বিভিন্নভাবে তৈরি করা হয় এবং খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি এটি আমাদের পরিপাকতন্ত্রকেও শক্তিশালী করে । কিন্তু আপনি কি জানেন যে রায়তার সঠিক সংমিশ্রণ আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে ৷

বিভিন্ন ধরনের রায়তা ও উপকারিতা:

ডায়েটিশিয়ানরা জানান, সঠিক কম্বিনেশনে তৈরি রায়তা স্বাস্থ্যকে নানাভাবে উপকার করে । আমাদের দেশে প্রচলিত কিছু বিশেষ ধরনের রায়তা এবং এর স্বাস্থ্য উপকারিতা নিম্নরূপ ।

শসা রায়তা: শসার রায়তা গরমে শরীর ঠান্ডা রাখে । এটি হজমশক্তি উন্নত করে এবং ডিটক্সে সাহায্য করে ।

কীভাবে বানাবেন: শসা কুঁচি করে তাতে দই, ভাজা জিরে গুঁড়ো এবং বিট নুন দিয়ে মিশিয়ে নিলেই তৈরি শসার রায়তা ৷

পুদিনা রায়তা: পুদিনায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ৷ যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে । এটি পেটের গ্যাস ও অ্যাসিডিটি কমায় ৷

কীভাবে বানাবেন: পুদিনা পাতা পেষ্ট করে দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে উপরে কিছু ভাজা মশলা দিন ।

বুন্দি রায়তা: এটি খাবারের পর খেলে শরীরকে হালকা করে ৷ এর স্বাদও সুস্বাদু ৷ এতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, যা তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায় ।

কীভাবে বানাবেন: বুন্দি হালকাভাবে ভিজিয়ে দইয়ে মিশিয়ে নিন এবং তাতে কিছুটা পরিমাণ গোলমরিচ গুঁড়ো ও জিরে মিশিয়ে নিলেই তৈরি বুন্দি রায়তা ৷

ফ্রুট রায়তা: এই রায়তা শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য পুষ্টিতে সমৃদ্ধ । এটিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং ফাইবার থাকে যা সুপারফুড হিসাবে ধরা হয় ৷

কীভাবে তৈরি করবেন: দইয়ে কাটা ফল (যেমন- আপেল, কলা, ডালিম) মিশিয়ে উপরে মধু দিন ।

বিট রায়তা: বিটে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে । এটি রক্তশূন্যতা দূর করে এবং ত্বকের উন্নতি ঘটায় ।

যেভাবে বানাবেন: সিদ্ধ বা কাঁচা বিট একটু নেড়ে দইয়ে মেশান এবং বিট নুন, ভাজা জিরে ও ধনেপাতা দিয়ে মিশিয়ে নিলেই তৈরি বিট রায়তা ৷

আলু রায়তা: আলু কার্বোহাইড্রেটের একটি ভালো উৎস এবং উপবাসের সময় আলু রায়তাকে একটি আদর্শ খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয় ।

যেভাবে তৈরি করবেন: দইয়ে সেদ্ধ আলুর ছোট ছোট টুকরো মেশান । উপরে বিট নুন, ভাজা জিরে এবং গোল মরিচ গুড়ো যোগ করে মিশিয়ে নিলেই তৈরি আলু রায়তা ৷

পালং শাক রায়তা: পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে । রক্তস্বল্পতা রোগীদের জন্য এটি খুবই উপকারী ।

যেভাবে বানাবেন: পালং শাক হালকা ভেজে বা ফুটিয়ে পেষ্ট করে দইয়ে মিশিয়ে মশলা দিয়ে পরিবেশন করুন ।

ডায়েট অ্যান্ড নিউট্রিশন বিশেষজ্ঞ ডাঃ দিব্যা শর্মা বলেন, "এমন কিছু খাবার আছে যা দইয়ের সঙ্গে খাওয়া বা রাইতার আকারে ব্যবহার করলে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে । সেই সঙ্গে নির্দিষ্ট ঋতু ও সময়ে দই বা রায়তা খাওয়া এড়িয়ে চলাই ভালো ।"

দই ও মাছের সংমিশ্রণ: দই ও মাছ একসঙ্গে খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে ।

দই এবং টক ফল: টক ফল দইয়ে মিশিয়ে খেলে পেটে অ্যাসিডিটি হতে পারে ।

রাতে রাইতা খাওয়া: দই ঠান্ডা হয়, তাই রাতে খেলে গলা ও বুকে কফ হতে পারে ।

রায়তা খাওয়ার সঠিক উপায়

বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি যদি নিয়মিত দই খান তাহলে কিছু বিষয় মাথায় রাখলে উপকার পাওয়া যায় ।

সর্বদা ফ্রেশ দই ব্যবহার করুন । রায়তা প্রধান খাবারের সঙ্গে খান, এতে হজমশক্তি ভালো হয় ।

ভাজা খাবার বা অতিরিক্ত মশলা দিয়ে তৈরি রাইতা খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত । রায়তা শুধু সুস্বাদুই নয় পুষ্টিকরও বটে । কিন্তু অতিরিক্ত মশলা বা ভাজা খাবার ব্যবহারে রাইতার পুষ্টি কমে যেতে পারে ।

(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷)

ভারতীয় খাবারে রায়তার নাম এলেই দইয়ের ঠান্ডা স্বাদ আর মশলার সুগন্ধ মনকে বিমোহিত করে । এটি শুধু স্বাদের জন্যই নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী । রায়তা প্রতিটি বাড়িতেই বিভিন্নভাবে তৈরি করা হয় এবং খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি এটি আমাদের পরিপাকতন্ত্রকেও শক্তিশালী করে । কিন্তু আপনি কি জানেন যে রায়তার সঠিক সংমিশ্রণ আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে ৷

বিভিন্ন ধরনের রায়তা ও উপকারিতা:

ডায়েটিশিয়ানরা জানান, সঠিক কম্বিনেশনে তৈরি রায়তা স্বাস্থ্যকে নানাভাবে উপকার করে । আমাদের দেশে প্রচলিত কিছু বিশেষ ধরনের রায়তা এবং এর স্বাস্থ্য উপকারিতা নিম্নরূপ ।

শসা রায়তা: শসার রায়তা গরমে শরীর ঠান্ডা রাখে । এটি হজমশক্তি উন্নত করে এবং ডিটক্সে সাহায্য করে ।

কীভাবে বানাবেন: শসা কুঁচি করে তাতে দই, ভাজা জিরে গুঁড়ো এবং বিট নুন দিয়ে মিশিয়ে নিলেই তৈরি শসার রায়তা ৷

পুদিনা রায়তা: পুদিনায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ৷ যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে । এটি পেটের গ্যাস ও অ্যাসিডিটি কমায় ৷

কীভাবে বানাবেন: পুদিনা পাতা পেষ্ট করে দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে উপরে কিছু ভাজা মশলা দিন ।

বুন্দি রায়তা: এটি খাবারের পর খেলে শরীরকে হালকা করে ৷ এর স্বাদও সুস্বাদু ৷ এতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট, যা তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায় ।

কীভাবে বানাবেন: বুন্দি হালকাভাবে ভিজিয়ে দইয়ে মিশিয়ে নিন এবং তাতে কিছুটা পরিমাণ গোলমরিচ গুঁড়ো ও জিরে মিশিয়ে নিলেই তৈরি বুন্দি রায়তা ৷

ফ্রুট রায়তা: এই রায়তা শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য পুষ্টিতে সমৃদ্ধ । এটিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং ফাইবার থাকে যা সুপারফুড হিসাবে ধরা হয় ৷

কীভাবে তৈরি করবেন: দইয়ে কাটা ফল (যেমন- আপেল, কলা, ডালিম) মিশিয়ে উপরে মধু দিন ।

বিট রায়তা: বিটে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে । এটি রক্তশূন্যতা দূর করে এবং ত্বকের উন্নতি ঘটায় ।

যেভাবে বানাবেন: সিদ্ধ বা কাঁচা বিট একটু নেড়ে দইয়ে মেশান এবং বিট নুন, ভাজা জিরে ও ধনেপাতা দিয়ে মিশিয়ে নিলেই তৈরি বিট রায়তা ৷

আলু রায়তা: আলু কার্বোহাইড্রেটের একটি ভালো উৎস এবং উপবাসের সময় আলু রায়তাকে একটি আদর্শ খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয় ।

যেভাবে তৈরি করবেন: দইয়ে সেদ্ধ আলুর ছোট ছোট টুকরো মেশান । উপরে বিট নুন, ভাজা জিরে এবং গোল মরিচ গুড়ো যোগ করে মিশিয়ে নিলেই তৈরি আলু রায়তা ৷

পালং শাক রায়তা: পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ক্যালসিয়াম রয়েছে । রক্তস্বল্পতা রোগীদের জন্য এটি খুবই উপকারী ।

যেভাবে বানাবেন: পালং শাক হালকা ভেজে বা ফুটিয়ে পেষ্ট করে দইয়ে মিশিয়ে মশলা দিয়ে পরিবেশন করুন ।

ডায়েট অ্যান্ড নিউট্রিশন বিশেষজ্ঞ ডাঃ দিব্যা শর্মা বলেন, "এমন কিছু খাবার আছে যা দইয়ের সঙ্গে খাওয়া বা রাইতার আকারে ব্যবহার করলে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে । সেই সঙ্গে নির্দিষ্ট ঋতু ও সময়ে দই বা রায়তা খাওয়া এড়িয়ে চলাই ভালো ।"

দই ও মাছের সংমিশ্রণ: দই ও মাছ একসঙ্গে খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে ।

দই এবং টক ফল: টক ফল দইয়ে মিশিয়ে খেলে পেটে অ্যাসিডিটি হতে পারে ।

রাতে রাইতা খাওয়া: দই ঠান্ডা হয়, তাই রাতে খেলে গলা ও বুকে কফ হতে পারে ।

রায়তা খাওয়ার সঠিক উপায়

বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি যদি নিয়মিত দই খান তাহলে কিছু বিষয় মাথায় রাখলে উপকার পাওয়া যায় ।

সর্বদা ফ্রেশ দই ব্যবহার করুন । রায়তা প্রধান খাবারের সঙ্গে খান, এতে হজমশক্তি ভালো হয় ।

ভাজা খাবার বা অতিরিক্ত মশলা দিয়ে তৈরি রাইতা খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত । রায়তা শুধু সুস্বাদুই নয় পুষ্টিকরও বটে । কিন্তু অতিরিক্ত মশলা বা ভাজা খাবার ব্যবহারে রাইতার পুষ্টি কমে যেতে পারে ।

(বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷)

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.