মস্কো, 25 জুন: রাশিয়ার সর্ব শক্তিমান খোদ ভ্লাদিমির পুতিনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন তিনি ৷ রুশ ওয়াগনার বাহিনী গোষ্ঠীর মাথা সেই ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন অবশেষে ক্রেমলিনের সঙ্গে একটি সমঝোতায় এসেছেন বলে জানা গিয়েছে ৷ একদিন আগে তিনিই ওয়াগনার বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন মস্কো অভিমুখে রওনা হওয়ায় ৷ তাঁর মূল লক্ষ্য ছিল রাশিয়ায় সামরিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে পুতিনকে ক্ষমতাচ্যুত করার ৷ আপাতত ক্রেমলিন ইয়েভগেনি প্রিগোঝিনের সঙ্গে সমঝোতায় এসে তাঁকে নিরস্ত্র করেছে বলে খবর ৷
দু'পক্ষের মধ্যে এই সমঝোতা সূত্রটি কী? এই প্রসঙ্গে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ জানিয়েছেন, ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন রাশিয়ার প্রতিবেশী দেশ বেলারুশে চলে যাবেন ৷ তাঁকে বাধা দেওয়া হবে না ৷ তাঁর বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহের অভিযোগও তুলে নেওয়া হবে ৷ এর পাশাপাশি ভ্লাদিমির পুতিন প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে, এই বিদ্রোহে ওয়াগনার বাহিনীর যে সদস্যরা অংশ নিয়েছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না ৷ এবং বাহিনীর যে সদস্যরা এই বিদ্রোহে অংশ নেননি তাদের রুশ সেনা বাহিনীতে যোগ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে ৷ জানা গিয়েছে, এই সমঝোতায় আসার পরেই ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন তাঁর ওয়াগনার বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন ইউক্রেনে তাদের ফিল্ড ক্যাম্পে ফিরে যেতে ৷ উল্লেখ্য, ইউক্রেন সেনার বিরুদ্ধে সে দেশে রুশ সেনার পাশে দাঁড়িয়ে লড়াই করছে এই ওয়াগনার গোষ্ঠীও ৷
তবে বিদ্রোহী ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন বেলারুশে চলে গিয়েছেন কি না সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয় ৷ ভবিষ্যতে তাঁর ভূমিকাও বা কী হবে সেই বিষয়টিও জানা যায়নি ৷ ক্রেমলিনের সঙ্গে তাঁর সমঝোতা ঘোষণা হওয়ার পর থেকে কোনও অডিয়ো বা ভিডিয়ো বার্তাও তিনি দেননি ৷
আরও পড়ুন: বেলারুসে পারমাণবিক অস্ত্র মজুত করা হয়েছে, বিস্ফোরক মন্তব্য পুতিনের
উল্লেখ্য, এই রুশ ওয়াগনার বাহিনী ইউক্রেন যুদ্ধে বড় ভূমিকা পালন করেছে ৷ ইউক্রেনের পূর্বে অবস্থিত শহর বাখমুট দখল করেছে এই বাহিনী ৷ তবে রুশ সেনার বিরুদ্ধে তাঁর ক্ষোভের কথা আগেই জানিয়েছেন ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন ৷