ইসলামাবাদ, 23 অগাস্ট : সন্ত্রাসবাদ দমনের ক্ষেত্রে পাকিস্তানের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ ৷ বিভিন্ন মহলের দাবি, তারা সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছে । এই বিষয়টিকে মাথায় রেখে পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করার চিন্তাভাবনা চলছে । আলোচনা চলছে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের শাখা সংগঠন এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপে ৷ পাকিস্তান কালো তালিকাভুক্ত হলে তাদের উপর আন্তর্জাতিক সংগঠনের নানান বিধি-নিষেধ জারি হবে ৷
ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (FATF) তদন্ত করে দেখেছে, দেশে আর্থিক তছরুপ ও সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগানে 40টি'র মধ্যে প্রায় 32টি কেসের কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি পাকিস্তান ৷ শুধু তাই নয়, FATF-র কয়েকজন সদস্য জানিয়েছেন, জঙ্গিনেতা হাফিজ় সইদ ও আজ়হার মাসুদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি ৷ যদিও ইসলামাবাদের দাবি, লস্কর-ই-তইবা, জামাত-উদ্-দাওয়া, জইশ-ই-মহম্মদের প্রায় 700র বেশি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে তারা ৷
আরও পড়ুন : কাশ্মীর দ্বিপাক্ষিক বিষয়, পাকিস্তানের দাবি উড়িয়ে ফের জানাল অ্যামেরিকা
রাষ্ট্রসংঘ যখন জ়ইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজ়হারকে বিশ্বের অন্যতম সন্ত্রাসবাদীর তকমা দেয় তখনই ভারতের পক্ষ থেকে FATF-র কাছে আর্জি জানানো হয়, পাকিস্তানকেও কালো তালিকাভুক্ত দেশগুলোর আওতায় আনা হোক ৷ কারণ তারা সন্ত্রাসবাদে আর্থিক সহায়তা করে সন্ত্রাস দমনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান পূরণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ ৷
2018-র জুনেই FATF পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাভুক্ত করে ৷ এর পরবর্তী ধাপই হল কালো তালিকা ৷ এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপের 11টি প্যারামিটারের মধ্যে 10টি প্য়ারামিটার পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে ইসলামাবাদ ৷ চলতি বছরের জুনে FATF পাকিস্তানকে নির্দেশ দেয়, অক্টোবরের মধ্যে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া বন্ধ করতে হবে । জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান করে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ দমন করতে হবে । FATF তদন্ত করে দেখেছে, একটা শর্তও পাকিস্তান মানেনি ।
পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে কি না তা আগামী সপ্তাহের মধ্যেই জানিয়ে দেবে FATF ।