ETV Bharat / international

WHO-এর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছে অ্যামেরিকা, ঘোষণা ট্রাম্পের - Donald Trump

14 এপ্রিল WHO-র জন্য অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করে দেয় অ্যামেরিকা । এরপর WHO-এর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছে অ্যামেরিকা । গতকাল একথা জানান অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনান্ড ট্রাম্প ।

ছবি
ছবি
author img

By

Published : May 30, 2020, 11:44 AM IST

Updated : May 30, 2020, 12:24 PM IST

ওয়াশিংটন, 30 মে : কোরোনা পরিস্থিতিতে WHO-এর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছে অ্যামেরিকা । কী কী কারণে এই সিদ্ধান্ত তা জানিয়ে WHO-কে একটি চিঠি দিয়েছেন অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প । গতকাল বিষয়টি জানিয়েছেন ট্রাম্প নিজেই । তিনি বলেন, "WHO-কে প্রয়োজনীয় যে সব বিষয়ে পরিবর্তন ও সংস্কার করতে বলা হয়েছিল, তা তারা করতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। তাই আজ আমরা তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চলেছি। অ্যামেরিকা WHO-র জন্য যে অর্থ বরাদ্দ করে, জনস্বাস্থ্যে জরুরি পরিষেবার জন্য তা বিশ্বের অন্য স্বাস্থ্য সংস্থাগুলিকে দেওয়া হবে ।"

WHO-এর ডিরেক্টর জেনেরাল টেড্রস অ্যাডানম গ্যাব্রিয়েসসকে গত সপ্তাহে একটি চার পাতার চিঠি পাঠান ট্রাম্প । যেখানে ওই স্বাস্থ্য সংস্থার প্রয়োজনীয় সংস্কারের লম্বা তালিকা দেওয়া হয় । চিঠিতে জানানো হয়, WHO-এর জন্য একটি মাত্র পথ খোলা রয়েছে, এই সংস্থা যদি চায়, চিন থেকে স্বতন্ত্রভাবে কাজ চালাতে পারে ।

ট্রাম্পের দেওয়া ওই চার পাতার চিঠিতে লেখা হয়, এবছরের 14 এপ্রিল WHO-র জন্য অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করে দেয় অ্যামেরিকা । তাতে আরও লেখা হয়-

  • সেই দেশের এক তদন্ত কমিটি বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করেছে । দেখা গেছে, চিন থেকে কোথাও যেন স্বতন্ত্র হয়ে কাজ করতে পারছে না WHO । 2019 - এর ডিসেম্বর বা তার আগে থেকে ইউহানে ছড়িয়ে পড়া কোরোনা সংক্রমণের বহু বিশ্বাসযোগ্য তথ্য ও রিপোর্টকে এড়িয়ে গেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা । চিন সরকারের তথ্যের সঙ্গে যখনই কোনও তথ্যের পার্থক্য দেখা গেছে বা এই নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, তা স্বতন্ত্রভাবে খতিয়ে দেখতে এবং নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে ব্যর্থ হয়েছে স্বাস্থ্য সংস্থা ।
  • গতবছরের 26 থেকে 30 ডিসেম্বরের মধ্যে বেজিংয়ের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অফিস জানত, ইউহানে একটি নতুন ভাইরাসের অস্তিত্ব রয়েছে । চিনের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমও ভাইরাসটির কথা জানিয়েছিল । পাশাপাশি চিনের হুবেই প্রদেশের এক চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, কোরোনা নামক এক নতুন ভাইরাসে প্রায় 180 জন আক্রান্ত । কিন্তু এই বিষয়টিকে গুরুত্বই দেয়নি বেজিংয়ের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অফিস ।
  • পরের দিনই তাইওয়ানের প্রশাসন WHO-কে জানায়, একটি নতুন ভাইরাসের খোঁজ পাওয়া গেছে, যা মানুষের মধ্যে ছড়াতে শুরু করেছে । কিন্তু তারপরও বিশ্বের বাকি দেশগুলিকে এবিষয়ে কোনওরকম তথ্য বা সতর্কবার্তা দেয়নি WHO ।
  • আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যবিধির নিয়ম অনুযায়ী এমন কোনও নতুন ভাইরাসের খোঁজ পাওয়ার 24 ঘণ্টার মধ্যেই এবিষয়ে অন্যান্য দেশগুলিকে জানানো উচিত ছিল WHO-র । কারণ এটি জরুরিকালীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত । পাশাপাশি 31 ডিসেম্বর, 2019 পর্যন্ত চিন সরকারও স্বতঃস্ফূর্তভাবে WHO-কে কিছুই জানায়নি ।
  • এতকিছুর পরও কোরোনা সংক্রমণ সম্পর্কে WHO বারবার যে দাবি করেছে বা তথ্য দিয়েছে, তা হয় সম্পূর্ণভাবে সঠিক ছিল না, নয়ত বিভ্রান্তিকর ছিল ।

গতবছর শেষের দিকে চিনের ইউহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে কোরোনা । যার পিছনে চিনের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করে অ্যামেরিকা । চিন আবার পালটা দাবি করে, এতে হাত থাকতে পারে অ্যামেরিকারই । কোরোনা সংক্রমণ যত বাড়তে থাকে অ্যামেরিকা- চিনের সম্পর্ক ততই খারাপ হতে থাকে । এই পরিস্থিতিতে WHO-এর ডিরেক্টর জেনেরালের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে অ্যামেরিকার । অ্যামেরিকার অভিযোগ, চিনের হয়ে কাজ করছেন তিনি । কোরোনা সংক্রান্ত নানা তথ্যও গোপন করেছেন । WHO-কে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ অর্থ দেয় অ্যামেরিকা । অ্যামেরিকা প্রশাসন সূত্রে খবর, এর মাঝে এই অর্থ বরাদ্দও বন্ধ হয়ে যায়। অ্যামেরিকার হাউজ় অফ রিপ্রেজ়েন্টেটিভের রিপাবলিকান সদস্যরাও টেড্রসের ইস্তফার দাবি তুলেছেন ।

এই ঘটনার দিনকয়েকের মধ্যেই টেড্রসের ইস্তফার জল্পনা তৈরি হয় । কিন্তু তিনি নিজেই ইস্তফার জল্পনা উড়িয়ে দেন । বলেন, "আমি আশা করি, অর্থ বন্ধের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে অ্যামেরিকা। অ্যামেরিকা WHO-কে যে অর্থ দেয় তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ। এই বিনিয়োগ শুধু অন্য দেশ বা অন্যের উপকারের জন্য নয়, কোরোনা জর্জরিত অ্যামেরিকাকেও সুরক্ষিত ও নিরাপদ রাখবে ।"

এই টানাপোড়েনের মাঝে গতকাল অ্যামেরিকা জানিয়ে দেয় WHO-এর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছে তারা ।

ওয়াশিংটন, 30 মে : কোরোনা পরিস্থিতিতে WHO-এর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছে অ্যামেরিকা । কী কী কারণে এই সিদ্ধান্ত তা জানিয়ে WHO-কে একটি চিঠি দিয়েছেন অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প । গতকাল বিষয়টি জানিয়েছেন ট্রাম্প নিজেই । তিনি বলেন, "WHO-কে প্রয়োজনীয় যে সব বিষয়ে পরিবর্তন ও সংস্কার করতে বলা হয়েছিল, তা তারা করতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। তাই আজ আমরা তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চলেছি। অ্যামেরিকা WHO-র জন্য যে অর্থ বরাদ্দ করে, জনস্বাস্থ্যে জরুরি পরিষেবার জন্য তা বিশ্বের অন্য স্বাস্থ্য সংস্থাগুলিকে দেওয়া হবে ।"

WHO-এর ডিরেক্টর জেনেরাল টেড্রস অ্যাডানম গ্যাব্রিয়েসসকে গত সপ্তাহে একটি চার পাতার চিঠি পাঠান ট্রাম্প । যেখানে ওই স্বাস্থ্য সংস্থার প্রয়োজনীয় সংস্কারের লম্বা তালিকা দেওয়া হয় । চিঠিতে জানানো হয়, WHO-এর জন্য একটি মাত্র পথ খোলা রয়েছে, এই সংস্থা যদি চায়, চিন থেকে স্বতন্ত্রভাবে কাজ চালাতে পারে ।

ট্রাম্পের দেওয়া ওই চার পাতার চিঠিতে লেখা হয়, এবছরের 14 এপ্রিল WHO-র জন্য অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করে দেয় অ্যামেরিকা । তাতে আরও লেখা হয়-

  • সেই দেশের এক তদন্ত কমিটি বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করেছে । দেখা গেছে, চিন থেকে কোথাও যেন স্বতন্ত্র হয়ে কাজ করতে পারছে না WHO । 2019 - এর ডিসেম্বর বা তার আগে থেকে ইউহানে ছড়িয়ে পড়া কোরোনা সংক্রমণের বহু বিশ্বাসযোগ্য তথ্য ও রিপোর্টকে এড়িয়ে গেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা । চিন সরকারের তথ্যের সঙ্গে যখনই কোনও তথ্যের পার্থক্য দেখা গেছে বা এই নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে, তা স্বতন্ত্রভাবে খতিয়ে দেখতে এবং নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে ব্যর্থ হয়েছে স্বাস্থ্য সংস্থা ।
  • গতবছরের 26 থেকে 30 ডিসেম্বরের মধ্যে বেজিংয়ের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অফিস জানত, ইউহানে একটি নতুন ভাইরাসের অস্তিত্ব রয়েছে । চিনের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমও ভাইরাসটির কথা জানিয়েছিল । পাশাপাশি চিনের হুবেই প্রদেশের এক চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, কোরোনা নামক এক নতুন ভাইরাসে প্রায় 180 জন আক্রান্ত । কিন্তু এই বিষয়টিকে গুরুত্বই দেয়নি বেজিংয়ের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অফিস ।
  • পরের দিনই তাইওয়ানের প্রশাসন WHO-কে জানায়, একটি নতুন ভাইরাসের খোঁজ পাওয়া গেছে, যা মানুষের মধ্যে ছড়াতে শুরু করেছে । কিন্তু তারপরও বিশ্বের বাকি দেশগুলিকে এবিষয়ে কোনওরকম তথ্য বা সতর্কবার্তা দেয়নি WHO ।
  • আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্যবিধির নিয়ম অনুযায়ী এমন কোনও নতুন ভাইরাসের খোঁজ পাওয়ার 24 ঘণ্টার মধ্যেই এবিষয়ে অন্যান্য দেশগুলিকে জানানো উচিত ছিল WHO-র । কারণ এটি জরুরিকালীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত । পাশাপাশি 31 ডিসেম্বর, 2019 পর্যন্ত চিন সরকারও স্বতঃস্ফূর্তভাবে WHO-কে কিছুই জানায়নি ।
  • এতকিছুর পরও কোরোনা সংক্রমণ সম্পর্কে WHO বারবার যে দাবি করেছে বা তথ্য দিয়েছে, তা হয় সম্পূর্ণভাবে সঠিক ছিল না, নয়ত বিভ্রান্তিকর ছিল ।

গতবছর শেষের দিকে চিনের ইউহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে কোরোনা । যার পিছনে চিনের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করে অ্যামেরিকা । চিন আবার পালটা দাবি করে, এতে হাত থাকতে পারে অ্যামেরিকারই । কোরোনা সংক্রমণ যত বাড়তে থাকে অ্যামেরিকা- চিনের সম্পর্ক ততই খারাপ হতে থাকে । এই পরিস্থিতিতে WHO-এর ডিরেক্টর জেনেরালের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে অ্যামেরিকার । অ্যামেরিকার অভিযোগ, চিনের হয়ে কাজ করছেন তিনি । কোরোনা সংক্রান্ত নানা তথ্যও গোপন করেছেন । WHO-কে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ অর্থ দেয় অ্যামেরিকা । অ্যামেরিকা প্রশাসন সূত্রে খবর, এর মাঝে এই অর্থ বরাদ্দও বন্ধ হয়ে যায়। অ্যামেরিকার হাউজ় অফ রিপ্রেজ়েন্টেটিভের রিপাবলিকান সদস্যরাও টেড্রসের ইস্তফার দাবি তুলেছেন ।

এই ঘটনার দিনকয়েকের মধ্যেই টেড্রসের ইস্তফার জল্পনা তৈরি হয় । কিন্তু তিনি নিজেই ইস্তফার জল্পনা উড়িয়ে দেন । বলেন, "আমি আশা করি, অর্থ বন্ধের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে অ্যামেরিকা। অ্যামেরিকা WHO-কে যে অর্থ দেয় তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ। এই বিনিয়োগ শুধু অন্য দেশ বা অন্যের উপকারের জন্য নয়, কোরোনা জর্জরিত অ্যামেরিকাকেও সুরক্ষিত ও নিরাপদ রাখবে ।"

এই টানাপোড়েনের মাঝে গতকাল অ্যামেরিকা জানিয়ে দেয় WHO-এর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছে তারা ।

Last Updated : May 30, 2020, 12:24 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.