দিল্লি, 26 অগাস্ট : ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে সুদ মকুব করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের । এই সংক্রান্ত একটি মামলায় আজ শীর্ষ আদালত বলে, RBI-এর পিছনে থেকে নিজেদের আড়াল করতে পারে না সরকার । সুপ্রিম কোর্টের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের তরফে বলা হয়, সুদ মকুবের দিকে এগোলে ব্যবসা এবং ব্যাঙ্কগুলি ক্ষতির মুখে পড়তে পারে ৷ তখন সুপ্রিম কোর্ট বলে, দেশজুড়ে লকডাউনের কারণেই এই পরিস্থিতি, যার দায় কেন্দ্রীয় সরকার এড়াতে পারে না।
কোরোনা ভাইরাসের জেরে দেশজুড়ে লকডাউন চলাকালীন ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে সুদ মকুবের আবেদন জানিয়ে মামলা করা হয় সুপ্রিম কোর্টে । এ'বিষয়ে সরকারকে 1 সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলে শীর্ষ আদালত । আজ এই মামলার শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্ট বলে, “বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের অধীনে ‘পর্যাপ্ত ক্ষমতা’ থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্র তার অবস্থান স্পষ্ট করেনি ।” এই আইনের আওতায় সরকার সুদ মকুব করতে পারে কি না, সে'বিষয়ে জানতে চায় আদালত । সলিসিটার জেনেরাল তুষার মেহতা বলেন, "একই আইনের আওতায় সবকিছুর সমাধান হতে পারে না ।" তখন কেন্দ্রকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ বলে, “আপনি পুরো দেশে লকডাউন করেছেন বলেই এটি ঘটেছে । বিপর্যয় মোকাবিলা আইন এবং সুদ মকুব করা যায় কিনা তা বিবেচিত হবে ৷ তবে আপনাকে দু'টি বিষয় সম্পর্কে অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে ।” বেঞ্চের অন্য বিচারপতি এম আর শাহ বলেন, "এখন কেবল ব্যবসা নিয়ে ভাবার সময় নয়।"
প্রসঙ্গত, আবেদনকারীরা চেয়েছিলেন যে 27 মার্চ প্রকাশিত RBI-এর নোটিশের কিছু অংশ বাতিল করা হোক যাতে সুদ মকুব করা যায় । তাঁরা বলেছিলেন, এই সুদ সংবিধানের আওতায় স্বাভাবিক জীবনযাপনের অধিকারকে লঙ্ঘন, বাধা ও খর্ব করে । এর আগে RBI শীর্ষ আদালতে জানায়, “মেয়াদি ঋণ পরিশোধে লকডাউনের সময়ে সুদ মকুব হতে পারে না । কারণ, এই পদক্ষেপ ব্যাঙ্কগুলিকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে ।” এরপরই আদালত মন্তব্য করে, “RBI-এর পিছনে আড়াল করার চেষ্টা করছে কেন্দ্র ।” তুষার মেহতা বলেন, "আমরা RBI-এর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছি ।"
আবেদনকারীর পক্ষে প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিবাল বলেন, “এই স্থগিতাদেশ 31 অগাস্ট শেষ হবে এবং এর মেয়াদ বাড়ানো হোক ।” তিনি বলেন, "এই আবেদনগুলির সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো উচিত।"