কলকাতা, 25 জানুয়ারি: তিন মাস পরে রাজ্যে পৌর নির্বাচন, ঘর গোছাতে নেমে পড়ল CPI । দলের রাজ্য দপ্তর ভূপেশ ভবনে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন রাজ্য নেতারা ।
শনিবার ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আসন্ন নির্বাচনের কৌশল নিয়ে পুরোদস্তুর আলোচনা হয় । পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যখন ফের বাম-কংগ্রেস জোটের প্রসঙ্গ উঠছে, তখন তাদের ছাড়া এককভাবে লড়তেও প্রস্তুত হচ্ছে CPI ৷ নেতৃত্বের বিশ্বাস, রাজ্যের কোনও কোনও অঞ্চলে দল এককভাবেও BJP ও তৃণমূলকে শায়েস্তা করতে পারে ৷ পূর্ব মেদিনীপুরের মতো শক্ত ঘাঁটিকে প্রাক নির্বাচন পর্বে জোর দেওয়া হচ্ছে৷ এছাড়া উত্তর 24 পরগনার বসিরহাট, মধ্যমগ্রামের মতো CPI প্রভাবিত জায়গাগুলিতে সক্রিয় রণকৌশলের সিদ্ধান্ত হয়েছে আজকের বৈঠকে।
বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে CPI আদর্শগতভাবে মানুষের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্য তা নিয়েও এদিন আলোচনা হয়। ওঠে আর্থিক সংকটের প্রসঙ্গ। দলীয় মুখপত্র 'দৈনিক কালান্তর' পত্রিকা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দলের প্রচারে বেগ পেতে হচ্ছে বলে বৈঠকে মন্তব্য করেন CPI রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য মঞ্জুকুমার মজুমদার। কর্মীদের কাছে উচ্চনেতৃত্বের বার্তা পৌঁছানোর মাধ্যম ছিল দলীয় মুখপত্র । যা বর্তমানে সম্ভব হচ্ছে না বলে মনে করেন অনেকেই ।
কর্মীদের মনোবল বাড়াতে ও সংগঠনকে চাঙ্গা করতে সম্প্রতি কানাইয়া কুমারকে শহরে এনেছিল CPI। শনিবার রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি দলকে বেশ কিছুটা চাঙ্গা করেছে।" তিনি মন্তব্য করেন, "দেশজোড়া লংমার্চ প্রমাণ দেয় শ্রমজীবী মানুষের কথা বলার জন্য এখনও বামপন্থীরা আছেন৷ ''