ETV Bharat / city

50 লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন, কালিম্পং থেকে গ্রেপ্তার মাসি

কিশোরকে অপহরণ করে প্রথমে মুক্তিপণ হিসেবে 50 লাখ টাকা চাওয়া হয়েছিল ৷ এর পর অংকটা 28 লাখে নামে । সমস্ত অভিযোগ পেতেই তদন্ত শুরু হয় ।

ছবি
author img

By

Published : Sep 16, 2019, 3:19 AM IST

Updated : Sep 16, 2019, 3:30 PM IST

শিলিগুড়ি, 16 সেপ্টেম্বর: 10 বছরের নাবালককে অপহরণ করে মোটা টাকা হাতানোর ছক ছিল মাসি শম্পা সাহার । কিন্তু, অপহরণের 18 ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশের জালে ধড়া পড়লেন তিনি । পুলিশের জালে আরও এক যুবক । ধৃতের নাম সুজিত দেবনাথ । আজ তাদের জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে তোলা হবে । ধৃত ওই মহিলার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি প্রেস কার্ড । পুলিশের অনুমান ওই মহিলা প্রেস কার্ডকে কাজে লাগিয়ে একাধিক অপরাধমূলক কাজ করেছেন অতীতেও ।

শুক্রবার দুপুরের পর থেকেই আচমকা নিখোঁজ হয়ে যায় উত্তর শান্তিনগরের 10 বছরের দিলীপ সাহা । অনেক খোঁজাখুঁজি করেও ছেলের সন্ধান না পেয়ে সন্দেহ হয় পরিবারের লোকেদের । অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয় আশিঘর থানায় । অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে 18 ঘণ্টার মধ্যেই সাফল্য পেল পুলিশ । ফোন কলের সূত্র ধরে কালিম্পঙের একটি হোটেল থেকে অপহৃতকে উদ্ধার করা হয় । গ্রেপ্তার করা হয় অপহরণের সঙ্গে যুক্ত দু'জনকে ।

শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের DCP (ইস্ট) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেন, ওই কিশোরকে অপহরণ করে প্রথমে মুক্তিপণ হিসেবে 50 লাখ টাকা চাওয়া হয়েছিল ৷ এর পর অংকটা 28 লাখে নামে । সমস্ত অভিযোগ পেতেই তদন্ত শুরু করা হয় । তদন্তের শুরুতেই মাটিগাড়া এলাকায় ধৃত ওই মহিলার এক আত্মীয়ার বাড়িতে হানা দিয়ে কালিম্পঙের হোটেলের ঠিকানা পাওয়া যায় । সেই সঙ্গে অভিযুক্তের ফোনের অবস্থানের উপর নজর রাখা হচ্ছিল ৷

অপহৃত কিশোরের মা শেফালি সাহা বলেন, গতকাল সকাল থেকে আমার বোন বেশ কয়েক বার ফোন করে ছেলে-মেয়ের খোঁজ নিচ্ছিল ৷ আমি বাইরে থাকায় বাড়িতে থাকা আর একটি মোবাইলেও ফোন করে । আমার ছেলেকে বাড়ির বাইরে ডাকে খাওয়ানোর কথা বলে ৷ এরপর থেকেই আমার ছেলের খোঁজ ছিল না । তখন থেকেই সন্দেহ হয় ।" এখন ছেলেকে ফিরে পেয়ে খুশি তিনি । অন্যদিকে, ওই কিশোরের বাবা বকুল সাহা বলেন, "আত্মীয় স্বজনের উপর ভরসা থাকছে না । দু'জনেরই কঠোর শাস্তি চাই ৷

শিলিগুড়ি, 16 সেপ্টেম্বর: 10 বছরের নাবালককে অপহরণ করে মোটা টাকা হাতানোর ছক ছিল মাসি শম্পা সাহার । কিন্তু, অপহরণের 18 ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশের জালে ধড়া পড়লেন তিনি । পুলিশের জালে আরও এক যুবক । ধৃতের নাম সুজিত দেবনাথ । আজ তাদের জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে তোলা হবে । ধৃত ওই মহিলার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি প্রেস কার্ড । পুলিশের অনুমান ওই মহিলা প্রেস কার্ডকে কাজে লাগিয়ে একাধিক অপরাধমূলক কাজ করেছেন অতীতেও ।

শুক্রবার দুপুরের পর থেকেই আচমকা নিখোঁজ হয়ে যায় উত্তর শান্তিনগরের 10 বছরের দিলীপ সাহা । অনেক খোঁজাখুঁজি করেও ছেলের সন্ধান না পেয়ে সন্দেহ হয় পরিবারের লোকেদের । অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয় আশিঘর থানায় । অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে 18 ঘণ্টার মধ্যেই সাফল্য পেল পুলিশ । ফোন কলের সূত্র ধরে কালিম্পঙের একটি হোটেল থেকে অপহৃতকে উদ্ধার করা হয় । গ্রেপ্তার করা হয় অপহরণের সঙ্গে যুক্ত দু'জনকে ।

শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের DCP (ইস্ট) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেন, ওই কিশোরকে অপহরণ করে প্রথমে মুক্তিপণ হিসেবে 50 লাখ টাকা চাওয়া হয়েছিল ৷ এর পর অংকটা 28 লাখে নামে । সমস্ত অভিযোগ পেতেই তদন্ত শুরু করা হয় । তদন্তের শুরুতেই মাটিগাড়া এলাকায় ধৃত ওই মহিলার এক আত্মীয়ার বাড়িতে হানা দিয়ে কালিম্পঙের হোটেলের ঠিকানা পাওয়া যায় । সেই সঙ্গে অভিযুক্তের ফোনের অবস্থানের উপর নজর রাখা হচ্ছিল ৷

অপহৃত কিশোরের মা শেফালি সাহা বলেন, গতকাল সকাল থেকে আমার বোন বেশ কয়েক বার ফোন করে ছেলে-মেয়ের খোঁজ নিচ্ছিল ৷ আমি বাইরে থাকায় বাড়িতে থাকা আর একটি মোবাইলেও ফোন করে । আমার ছেলেকে বাড়ির বাইরে ডাকে খাওয়ানোর কথা বলে ৷ এরপর থেকেই আমার ছেলের খোঁজ ছিল না । তখন থেকেই সন্দেহ হয় ।" এখন ছেলেকে ফিরে পেয়ে খুশি তিনি । অন্যদিকে, ওই কিশোরের বাবা বকুল সাহা বলেন, "আত্মীয় স্বজনের উপর ভরসা থাকছে না । দু'জনেরই কঠোর শাস্তি চাই ৷

Intro:৫০ লক্ষ টাকা মুক্তি পন চেয়ে হুমকি ফোন, কালিংপঙ থেকে গ্রেপ্তার অপহৃত কিশোরের মাসী সহ এক

শিলিগুড়ি, ১৫ সেপ্টেম্বরঃ বছর দশেকের ভাগ্নেকে অপহরণ করে মোটা টাকা হাতানোর ছক কষেছিল মাসী সম্পা সাহা। যদিও অপহরণের ঘন্টা কয়েকের মধ্যেই পুলিশের জালে ধড়া পড়লেন তিনি। সহযোগী হিসেবে পুলিশের জালে আরও এক যুবক। ধৃতের নাম সুজিৎ দেবনাথ। আগামীকাল তাদের জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে তোলা হবে। ধৃত ওই মহিলার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি প্রেস কার্ড। সেক্ষেত্রে পুলিশের অনুমান ওই মহিলা প্রেসকার্ডকে হাতিয়ার করে একাধিক অপরাধমূলক কাজ করেছেন অতীতেও। সেক্ষেত্রে তদন্ত শুরু হয়েছে জোর কদমে।
Body:
গতকাল দুপুরের পর থেকেই আচমকা নিখোঁজ হয়ে যায় উত্তর শান্তিনগরের বাসিন্দা দিলীপ সাহা। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও ছেলের হদিশ না পেয়ে সন্দেহ হয় পরিবারের লোকেদের। এরপরেই তারা অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয় ভক্তিনগর থানার অধীন আশিঘর থানায়। অপহরণের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে ১৮ ঘন্টার মধ্যেই সাফল্য পেল পুলিশ। ফোন কলের সূত্র ধরে কালিংপঙের একটি হোটেল থেকে ওই কিশোরকে উদ্ধার করা হয়। একইসঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় অপহরণের সঙ্গে যুক্ত দুজনকে।

শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসিপি ইস্ট ইন্দিরা মুখার্জী বলেন, ওই কিশোরকে অপহরণ করেই প্রথমে মুক্তিপণ হিসেবে ৫০ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছিল ওই কিশোরের পরিবারের কাছে। এরপর মুক্তিপণ ২৮ লাখে নামে। সমস্ত অভিযোগ পেতেই তদন্ত শুরু করা হয়। তদন্তের শুরুতেই মাটিগাড়া এলাকায় ধৃত ওই মহিলার এক আত্মীয়ার বাড়িতে হানা দিয়ে কালিংপঙের একটি হোটেলের ঠিকানা পাওয়া যায়। সেই ঠিকানায় খোঁজ খবরের পাশাপাশি ফোন কলের সূত্র ধরেই অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে ওই কিশোরকে।

Conclusion:অপহৃত কিশোরের মা শেফালী সাহা বলেন, আমার গতকাল সকাল থেকে আমার বোন বারকয় আমাকে ফোন করে ছেলে মেয়ের খোঁজ খবর নেয়৷ আমি বাড়ির বাইরে থাকায় বাড়ির মোবাইলেও ফোন করে। আমার ছেলেকে বাড়ির বাইরে ডেকে কুরকুরে খাওয়ার কথা বলে তাকে বাড়ির বাইরে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকেই আমার ছেলের খোঁজ ছিল না। তখন থেকেই সন্দেহ হয়। তবে ছেলেকে ফিরে পেয়ে খুশি। অন্যদিকে, ওই কিশোরের বাবা বকুল সাহা বলেন, আত্মীয় স্বজনের ওপর আর ভরসা থাকছে না। আমরা দুজনেরই কঠোর শাস্তি চাই৷


Last Updated : Sep 16, 2019, 3:30 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.