ETV Bharat / city

বিধানসভায় কাটমানি ও 'দিদিকে বলো' নিয়ে সুর চড়াতে পারে বিরোধীরা

আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে বিধানসভার বাদল অধিবেশন । আপাতত দু'দিন অধিবেশন বসবে বলে জানা যাচ্ছে । মঙ্গলবার বিধানসভার BA কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে অধিবেশন কতদিন চলবে । পৌরনিগম এবং পৌরসভা নির্বাচনের আগে সরকার বেশ কয়েকটি বিল আনতে চাইছে বলে জানিয়েছেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় । অধিবেশনে 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি নিয়ে শাসকদলকে চেপে ধরতে পারে বিরোধীরা ।

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Aug 25, 2019, 7:07 PM IST

কলকাতা, 25 অগাস্ট : আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে বিধানসভার বাদল অধিবেশন । আপাতত দু'দিন অধিবেশন বসবে বলে জানা যাচ্ছে । মঙ্গলবার বিধানসভার BA কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে অধিবেশন কতদিন চলবে । পৌরনিগম এবং পৌরসভা নির্বাচনের আগে সরকার বেশ কয়েকটি বিল আনতে চাইছে বলে জানিয়েছেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ।

অধিবেশনে 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি নিয়ে শাসকদলকে চেপে ধরতে পারে বিরোধীরা । পাশাপাশি আগামীকাল সকালে বাম ও কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে অধ্যক্ষের প্রতি অনাস্থা আনা নিয়ে । তাদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ নিরপেক্ষভাবে বিধানসভা চালাচ্ছেন না । ইচ্ছা অনুযায়ী বিরোধী বিধায়কদের বলার সময় কমিয়ে দিচ্ছেন । সরকার বিরোধী কোনও প্রশ্ন করলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রীরা উত্তর দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান । বিধানসভায় অসত্য তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ তুলেছেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী ।
এবার তাই বিধানসভার অধ্যক্ষের অধিবেশন চালানো নিয়ে প্রশ্ন তুলছে রাজ্যের দুই প্রধান বিরোধী দল ।

বিরোধী বিধায়কদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী সব প্রশ্নের উত্তর কেন দেন? কেনই বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রীকে তাঁর দপ্তরের প্রশ্নের উত্তর দিতে দেন না । তাঁদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী যে তথ্যগুলি দেন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেগুলি অসত্য এবং বিভ্রান্তিমূলক । সব দপ্তরের কাজের খতিয়ান মুখ্যমন্ত্রীর মনে রাখা সম্ভব নয় । তা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রীকে উত্তর দেওয়ার সময় জোর করে বসিয়ে দিয়ে তিনি যে উত্তর বিধানসভায় রেকর্ড করেন, সেগুলি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অসত্য ।

অতীতেও দেখা গেছে বাম এবং কংগ্রেস যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তারা অনাস্থা আনবে । কিন্তু অনাস্থা আনতে গেলে সংশ্লিষ্ট বিধানসভার নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট দিন বিধানসভার অধিবেশন চালাতে হয় অধ্যক্ষকে । কিন্তু অনাস্থা প্রস্তাব আনার জন্য প্রয়োজনীয় দিন অধিবেশন হয়নি । ঠিক সেই কারণে নোটিশ দিলেও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে পারেনি বাম এবং কংগ্রেস ।

সূত্রের খবর, কাটমানি ও 'দিলিকে বলো' কর্মসূচি নিয়ে সরকারকে চেপে ধরতে পারে বাম এবং কংগ্রেস । রাজ্যে নতুন বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান নিয়েও ঝড় তুলতে পারে বিরোধীরা । পাশাপাশি কচুয়া ধামে দুর্ঘটনা নিয়ে সরকারের কাছে জবাব চাইতে পারে তারা । বিরোধীদের বক্তব্য, রাজ্য সরকারের ভূমিকা ঠিক ছিল না ।

কলকাতা, 25 অগাস্ট : আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে বিধানসভার বাদল অধিবেশন । আপাতত দু'দিন অধিবেশন বসবে বলে জানা যাচ্ছে । মঙ্গলবার বিধানসভার BA কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে অধিবেশন কতদিন চলবে । পৌরনিগম এবং পৌরসভা নির্বাচনের আগে সরকার বেশ কয়েকটি বিল আনতে চাইছে বলে জানিয়েছেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ।

অধিবেশনে 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি নিয়ে শাসকদলকে চেপে ধরতে পারে বিরোধীরা । পাশাপাশি আগামীকাল সকালে বাম ও কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে অধ্যক্ষের প্রতি অনাস্থা আনা নিয়ে । তাদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ নিরপেক্ষভাবে বিধানসভা চালাচ্ছেন না । ইচ্ছা অনুযায়ী বিরোধী বিধায়কদের বলার সময় কমিয়ে দিচ্ছেন । সরকার বিরোধী কোনও প্রশ্ন করলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রীরা উত্তর দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান । বিধানসভায় অসত্য তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ তুলেছেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী ।
এবার তাই বিধানসভার অধ্যক্ষের অধিবেশন চালানো নিয়ে প্রশ্ন তুলছে রাজ্যের দুই প্রধান বিরোধী দল ।

বিরোধী বিধায়কদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী সব প্রশ্নের উত্তর কেন দেন? কেনই বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রীকে তাঁর দপ্তরের প্রশ্নের উত্তর দিতে দেন না । তাঁদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী যে তথ্যগুলি দেন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেগুলি অসত্য এবং বিভ্রান্তিমূলক । সব দপ্তরের কাজের খতিয়ান মুখ্যমন্ত্রীর মনে রাখা সম্ভব নয় । তা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রীকে উত্তর দেওয়ার সময় জোর করে বসিয়ে দিয়ে তিনি যে উত্তর বিধানসভায় রেকর্ড করেন, সেগুলি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অসত্য ।

অতীতেও দেখা গেছে বাম এবং কংগ্রেস যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তারা অনাস্থা আনবে । কিন্তু অনাস্থা আনতে গেলে সংশ্লিষ্ট বিধানসভার নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট দিন বিধানসভার অধিবেশন চালাতে হয় অধ্যক্ষকে । কিন্তু অনাস্থা প্রস্তাব আনার জন্য প্রয়োজনীয় দিন অধিবেশন হয়নি । ঠিক সেই কারণে নোটিশ দিলেও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে পারেনি বাম এবং কংগ্রেস ।

সূত্রের খবর, কাটমানি ও 'দিলিকে বলো' কর্মসূচি নিয়ে সরকারকে চেপে ধরতে পারে বাম এবং কংগ্রেস । রাজ্যে নতুন বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান নিয়েও ঝড় তুলতে পারে বিরোধীরা । পাশাপাশি কচুয়া ধামে দুর্ঘটনা নিয়ে সরকারের কাছে জবাব চাইতে পারে তারা । বিরোধীদের বক্তব্য, রাজ্য সরকারের ভূমিকা ঠিক ছিল না ।

Intro:বিধানসভার বর্ষাকালীন অধিবেশনে শুরু হচ্ছে আগামীকাল। লোকসভায় যা বাদল অধিবেশন, এই রাজ্যে তা বর্ষাকালীন অধিবেশনে নামেই পরিচিত। আপাতত দুদিনের বিধানসভা অধিবেশন বসবে বলে জানা গিয়েছে বিধানসভার সূত্রে। মঙ্গলবার বিধানসভার কার্যবিবরণী কমিটির বা বিজনেস এ্যাডভাইজারী বা বি এ কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে বিধানসভার অধিবেশন মোট কত দিন চলবে। কর্পোরেশন এবং পৌরসভা নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি সরকার বেশ কিছু জানতে চাইছে বলে জানিয়েছেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আসন্ন বিধানসভা অধিবেশনে সেই লক্ষ্যেই অটল শাসকদল।


Body:দিদিকে বল কর্মসূচি কতটা ফলপ্রসূ হয়েছে তা জানতে চাইবে বাম এবং কংগ্রেস। আগামীকাল সকালে বিধানসভায় পৃথক দুটি বিরোধী রাজনৈতিক দল তারা পরিষদীয় দলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেবে অধ্যক্ষের প্রতি অনাস্থা কিভাবে আনা যায়।
অধ্যক্ষ নিরপেক্ষভাবে বিধানসভা চালাচ্ছেন না। তিনি তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী বিরোধীদের বক্তৃতার সময় কমিয়ে দিচ্ছেন। সরকারবিরোধী কোনো প্রশ্ন করলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রীরা উত্তর দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। বিধানসভায় অসত্য তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ তুলেছেন বামপরিষদীয় দল নেতা সুজন চক্রবর্তী।
এবার তাই বিধানসভার অধ্যক্ষের অধিবেশন চালানো নিয়ে প্রশ্ন তুলছে রাজ্যের দুই বিরোধীদল। মুখ্যমন্ত্রী সব প্রশ্নের উত্তর কেন দেন? কেনই বা সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রীকে তাঁর দপ্তরের প্রশ্নের উত্তর দিতে দেন না তিনি, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বাম এবং কংগ্রেস দলের বিধায়কেরা। তাদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী যে তথ্যগুলি দেন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেগুলি অসত্য এবং বিভ্রান্তিমূলক। সব দপ্তরের কাজের খতিয়ান মুখ্যমন্ত্রীর পুঙ্খানুপুঙ্খ মনে রাখা সম্ভব নয়। তা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রীকে উত্তর দেওয়ার সময় জোর করে বসিয়ে দিয়ে তিনি যে উত্তর বিধানসভায় রেকর্ড করেন, সেগুলি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অসত্য বলে অভিযোগ করেছেন সুজন চক্রবর্তী।
অতীতেও একাধিক অধিবেশনে বাম এবং কংগ্রেস যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তারা অনাস্থা আনবে। কিন্তু অনাস্থা আনতে গেলে সংশ্লিষ্ট বিধানসভার নিয়মাবলী মেনে নির্দিষ্ট দিন বিধানসভার অধিবেশন চালাতে হয় অধ্যক্ষকে। কিন্তু অনাস্থা প্রস্তাব আনার জন্য প্রয়োজনীয় দিন অধিবেশন হয়নি রাজ্য বিধানসভায়। ঠিক সেই কারণেই অতীতেও বাম এবং কংগ্রেস নোটিশ দিলেও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে পারেননি।
মুখ্যমন্ত্রী কাটমানি প্রসঙ্গে অসন্তুষ্ট তারই দলের মন্ত্রী বিধায়কদের প্রতি। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রী শুরু করেছেন দিদিকে বলো কর্মসূচি। বেশ কিছুদিন হয়ে গেল সেই কর্মসূচি থেকে সাধারণ মানুষ কতটা সাহায্য পেলেন, বা তাদের সমস্যার কতটাই বা সুরাহা হল, তা জানতে চাইবে বাম এবং কংগ্রেস একযোগে শাসক দলের কাছে।
রাজ্যে নতুন কোনো বিনিয়োগ নেই, কর্মসংস্থান ভাটা, এসব প্রসঙ্গ অতীতেও বিরোধীরা তুলেছিল। আসন্ন বিধানসভা অধিবেশনে এই ইস্যু গুলির পাশাপাশি বিরোধীরা জানতে চাইবে, অপরিকল্পিতভাবে মন্দির চত্বর এবং তার আশেপাশে কারা বসিয়েছিল হকার? কেনই বা এমন দুর্ঘটনা ঘটলো?
উত্তর ২৪ পরগনার কচুয়ায় পদপৃষ্ট হয়ে প্রাণহানির ঘটনায় রাজ্য সরকার সন্তোষজনক ভূমিকা পালন করতে পারেনি। অভিযোগ বামেদের।



Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.