ETV Bharat / city

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে এবার বনকর্মীদের হাতে উঠছে অত্যাধুনিক অস্ত্র

চোরাপাচারকারীদের মোকাবিলায় বনরক্ষী বাহিনী পাচ্ছে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র । শুধু তাই নয়, বনাঞ্চলে নজরদারির জন্য ব্যবহার করা হবে ড্রোন । পাশাপাশি বনরক্ষীদের জন্য থাকছে অত্যাধুনিক মোবাইল ফোন । ধাপে ধাপে রাজ্যের সমস্ত বনরক্ষী বাহিনীর পরিকাঠামো ঢেলে সাজা হবে ।

west bengal forest protection force
west bengal forest protection force
author img

By

Published : Jun 25, 2021, 10:18 PM IST

কলকাতা, 25 জুন : বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এবং কাঠ পাচার রুখতে এবার বড়সড় পদক্ষেপ করতে চলেছে রাজ্য বন দফতর (Forest Department)। রাজ্য বনরক্ষী বাহিনীর হাতে এবার অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র তুলে দিতে চলেছে রাজ্য বন দফতর । সাড়ে 8 কোটি টাকা ব্যয়ে বনরক্ষী বাহিনীর পরিকাঠামো বৃদ্ধিতে অত্যাধুনিক অস্ত্রের পাশাপাশি দেওয়া হচ্ছে গাড়ি, মোটরবাইক, ও অত্যাধুনিক মোবাইল ফোন । উত্তরবঙ্গের জঙ্গল, সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী সম্বলিত এলাকার পাশাপাশি, দক্ষিণবঙ্গের জঙ্গলের ক্ষেত্রেও এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে বন দফতর সূত্রে খবর ।

গভীর জঙ্গলে নজরদারির ক্ষেত্রে ড্রোন (Drone) দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে বন দফতরের । বর্তমানে বনকর্মীদের হাতে থাকে 12 বোর পিস্তল (12 bore Pistol) এবং রাইফেল (Rifle) । এর ফলে অনেক সময়ই অত্যাধুনিক অস্ত্র হাতে থাকা চোরাশিকারিদের আটকাতে বেগ পেতে হয় তাঁদের । সেকারণে পাম্প অ্যাকশন গান (Pump action gun), নাইন এমএম পিস্তল (9mm Pistol), এসএলআরের (SLR) মতো অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র বনকর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন দফতর ।

এর জন্য ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছে প্রয়োজনীয় অনুমতি চাওয়া হয়েছে বলে খবর । রাজ্যের বন দফতরের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick) জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই বন ও কর্মীদের অত্যাধুনিক অস্ত্র সহ আধুনিক পরিকাঠামো সরবরাহ করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছিল । বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই ভাবনা বাস্তবে রূপায়িত করা হচ্ছে । প্রথমে সুন্দরবন, গরুমারা, জলদাপাড়া নেওরাভ্যালি এবং বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে যে সমস্ত বনকর্মীরা কর্তব্যরত আছেন তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হবে অত্যাধুনিক অস্ত্র । এরপরে অন্যান্য জায়গার বনকর্মীদের হাতেও ধাপে ধাপে এগুলি তুলে দেওয়া হবে ।

মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, বিগত কয়েক বছর ধরে হাতির দাঁত, চিতা বাঘের চামড়া, গণ্ডারের শিং-সহ একাধিক বন্যপ্রাণী ও মূল্যবান কাঠ পাচারের খবর শিরোনামে এসেছে । সম্প্রতি সাপের বিষ পাচার সংক্রান্ত একাধিক ঘটনা বন দফতরের নজরে এসেছে । মূলত এই অপরাধ রুখতেই বন দফতরের পরিকাঠামো ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।

মন্ত্রী জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে 2200 মতো বনকর্মী বনাঞ্চল রক্ষার দায়িত্বে আছেন । পাশাপাশি 2000 পদ এখনও ফাঁকা রয়েছে । দফতরের তরফ থেকে প্রথম দফায় পরিকাঠামো উন্নয়নের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে । এরপর ধাপে ধাপে এই শূন্যপদ পূরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী ।

আরও পড়ুন : পরকীয়া ও রাজ্যপাল, আমের আচারের মতো হয়ে গিয়েছে : মদন মিত্র

মন্ত্রীর কথায়, পাহাড়,সমুদ্র এবং বনাঞ্চল এই তিন প্রাকৃতিক সম্পদের ভাণ্ডার হল পশ্চিমবঙ্গ । রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান, যে কোনওভাবেই হোক এই তিন সম্পদকে পূর্ণ রক্ষণাবেক্ষণ করা হোক । মূলত সেই কথা ভেবে এই পরিকাঠামো উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন দফতর । এর ফলে চোরাশিকারিদের আক্রমণ থেকে বন্যপ্রাণ রক্ষা করা সহজ হবে বলে মনে করছেন মন্ত্রী ।

কলকাতা, 25 জুন : বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এবং কাঠ পাচার রুখতে এবার বড়সড় পদক্ষেপ করতে চলেছে রাজ্য বন দফতর (Forest Department)। রাজ্য বনরক্ষী বাহিনীর হাতে এবার অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র তুলে দিতে চলেছে রাজ্য বন দফতর । সাড়ে 8 কোটি টাকা ব্যয়ে বনরক্ষী বাহিনীর পরিকাঠামো বৃদ্ধিতে অত্যাধুনিক অস্ত্রের পাশাপাশি দেওয়া হচ্ছে গাড়ি, মোটরবাইক, ও অত্যাধুনিক মোবাইল ফোন । উত্তরবঙ্গের জঙ্গল, সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী সম্বলিত এলাকার পাশাপাশি, দক্ষিণবঙ্গের জঙ্গলের ক্ষেত্রেও এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে বন দফতর সূত্রে খবর ।

গভীর জঙ্গলে নজরদারির ক্ষেত্রে ড্রোন (Drone) দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে বন দফতরের । বর্তমানে বনকর্মীদের হাতে থাকে 12 বোর পিস্তল (12 bore Pistol) এবং রাইফেল (Rifle) । এর ফলে অনেক সময়ই অত্যাধুনিক অস্ত্র হাতে থাকা চোরাশিকারিদের আটকাতে বেগ পেতে হয় তাঁদের । সেকারণে পাম্প অ্যাকশন গান (Pump action gun), নাইন এমএম পিস্তল (9mm Pistol), এসএলআরের (SLR) মতো অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র বনকর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন দফতর ।

এর জন্য ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্র দফতরের কাছে প্রয়োজনীয় অনুমতি চাওয়া হয়েছে বলে খবর । রাজ্যের বন দফতরের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick) জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই বন ও কর্মীদের অত্যাধুনিক অস্ত্র সহ আধুনিক পরিকাঠামো সরবরাহ করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছিল । বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই ভাবনা বাস্তবে রূপায়িত করা হচ্ছে । প্রথমে সুন্দরবন, গরুমারা, জলদাপাড়া নেওরাভ্যালি এবং বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে যে সমস্ত বনকর্মীরা কর্তব্যরত আছেন তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হবে অত্যাধুনিক অস্ত্র । এরপরে অন্যান্য জায়গার বনকর্মীদের হাতেও ধাপে ধাপে এগুলি তুলে দেওয়া হবে ।

মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, বিগত কয়েক বছর ধরে হাতির দাঁত, চিতা বাঘের চামড়া, গণ্ডারের শিং-সহ একাধিক বন্যপ্রাণী ও মূল্যবান কাঠ পাচারের খবর শিরোনামে এসেছে । সম্প্রতি সাপের বিষ পাচার সংক্রান্ত একাধিক ঘটনা বন দফতরের নজরে এসেছে । মূলত এই অপরাধ রুখতেই বন দফতরের পরিকাঠামো ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।

মন্ত্রী জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে 2200 মতো বনকর্মী বনাঞ্চল রক্ষার দায়িত্বে আছেন । পাশাপাশি 2000 পদ এখনও ফাঁকা রয়েছে । দফতরের তরফ থেকে প্রথম দফায় পরিকাঠামো উন্নয়নের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে । এরপর ধাপে ধাপে এই শূন্যপদ পূরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী ।

আরও পড়ুন : পরকীয়া ও রাজ্যপাল, আমের আচারের মতো হয়ে গিয়েছে : মদন মিত্র

মন্ত্রীর কথায়, পাহাড়,সমুদ্র এবং বনাঞ্চল এই তিন প্রাকৃতিক সম্পদের ভাণ্ডার হল পশ্চিমবঙ্গ । রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান, যে কোনওভাবেই হোক এই তিন সম্পদকে পূর্ণ রক্ষণাবেক্ষণ করা হোক । মূলত সেই কথা ভেবে এই পরিকাঠামো উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন দফতর । এর ফলে চোরাশিকারিদের আক্রমণ থেকে বন্যপ্রাণ রক্ষা করা সহজ হবে বলে মনে করছেন মন্ত্রী ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.