কলকাতা, 28 ফেব্রুয়ারি : 2011 সালে বাংলার মসনদ খোয়ানোর পর প্রতিটি ভোটেই ক্ষয়িষ্ণু হয়েছে বামেরা ৷ আর প্রতিবার দাবি উঠেছে যে তরুণ প্রজন্মকে সামনে এগিয়ে দেওয়ার ৷ কিন্তু ব্রিগেড কেন, কোনও সভা-সমাবেশেই সেভাবে তরুণ প্রজন্মকে বক্তৃতা দিতে দেখা যায়নি ৷ কিন্তু আজ, রবিবারের ব্রিগেড দেখল সম্পূর্ণ অন্য ছবি ৷ বাম দলগুলির সিনিয়র নেতারা বক্তৃতা করলেও সারক্ষণ ব্যবস্থাপনায় দেখা গেল তরুণ নেতা-নেত্রীদের ৷ তাঁরা কার্যত এদিন হয়ে উঠলেন এই সভার সূত্রধর ৷
রবিবার বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের ডাকে ব্রিগেড সমাবেশ আয়োজন করা হয়েছিল ৷ সেই সমাবেশে হাজির ছিল আইএসএফও ৷ এই তিন দল এবার বিধানসভা নির্বাচনে এক হয়ে লড়াই করবে ৷ এদিন আইএসএফের তরফে দলের নেতা আব্বাস সিদ্দিকি, কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী-সহ একাধিক নেতা বক্তৃতা করেন ৷ বাম দলগুলিরও একাধিক নেতা মঞ্চ থেকে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন ৷
আর সেই ভাষণগুলির মাঝে সূত্রধর হিসেবে দেখা গেল ঐশী ঘোষের মতো বামেদের তরুণ প্রজন্মকে ৷ তাঁরা শুধু পরবর্তী বক্তার নাম ঘোষণা করেই থেমে গেলেন না ৷ বরং জনতার উদ্দেশ্যে কয়েক মুহূর্তের জন্য বুঝিয়ে দিলেন নিজেদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব ৷ কেউ স্লোগান দিলেন, কেউ রাজনৈতিক বার্তা দিলেন৷ তরুণ প্রজন্মের ওই নেতা-নেত্রীরা মঞ্চ থেকে কাজের দাবি তুললেন ৷ যা শুনে জনতাও পালটা প্রত্যুত্তর দিলেন ৷ ঐশী ঘোষ যেমন সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যুর প্রসঙ্গ তুললেন ৷ সেই সঙ্গে বললেন মইদুল ইসলাম মিদ্যার কথা ৷ তিনি ছাত্র-যুবদের মাথা উঁচু করে বাঁচার কথা বলে জোটের পক্ষে ভোট চাইলেন ৷ তাছাড়া সারাক্ষণ সঞ্চালনার কাজ করে গিয়েছেন অভিনেতা বাদশা মৈত্র ৷
আরও পড়ুন : ঝড় উঠেছে, এটাকে ধরে রাখতে হবে; ব্রিগেড থেকে বার্তা দেবলীনা হেমব্রমের
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ব্যাখ্যা, বামেদের প্রতি মানুষের সমর্থন যে তলানিতে তা 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে বোঝা গিয়েছে ৷ সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে গেলে তরুণ প্রজন্মের ভোটারদের কাছে টানা প্রয়োজন ৷ এটা বাম নেতারা বুঝেছেন ৷ সেই কারণেই এবার তরুণ নেতা-নেত্রীদের আরও বেশি করে এগিয়ে দেওয়া হল ৷