ETV Bharat / state

জেএনএম মেডিক্যালের 41 জন ট্রেনি চিকিৎসকের সাসপেনশনে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের - CALCUTTA HIGH COURT

আপাতত স্বস্তি ৷ সাসপেন্ড হওয়া 41 জন ট্রেনি চিকিৎসকের উপর থেকে সাসপেনশনে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷

Calcutta High Court on JNM Hospital
জেএনএম মেডিক্যাল কলেজের 41 জন চিকিৎসক পড়ুয়ার উপর থেকে সাসপেনশন তুলল হাইকোর্ট (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 26, 2024, 9:35 PM IST

কলকাতা, 26 নভেম্বর: জেএনএম মেডিক্যাল কলেজের সাসপেন্ড হওয়া 41 জন ট্রেনি চিকিৎসকদের ক্লাসে বসতে দেওয়ার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের ৷ মঙ্গলবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এই নির্দেশ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত । এছাড়াও বলা হয়েছে, তাঁদের পড়াশোনায় কোনওরকম বাধা সৃষ্টি করা যাবে না । নিয়মিত ক্লাস করতে ও পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেম তাঁরা । তবে হস্টেলে ঢোকা ও অন্যান্য কোনও অনুষ্ঠানে যোগদান করতে পারবে না এই 41 জন ট্রেনি । 8 জানুয়ারি ফের এই মামলার শুনানি ।

17 সেপ্টেম্বর কল্যাণীর জেএনএম মেডিক্যাল কলেজে র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানানো হয় । তাতে শতাধিক ছাত্রছাত্রী স্বাক্ষর করেন । অভিযোগে বলা হয়, রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত একাধিক ট্রেনি চিকিৎসক হুমকি ও র‍্যাগিংয়ের সঙ্গে যুক্ত ৷ তাঁদেরকে অবিলম্বে বরখাস্ত করার জন্য কলেজের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার কমিটির উপর চাপ সৃষ্টি করেন ছাত্রছাত্রীরা । সেই মতো কলেজ কাউন্সিল 19 সেপ্টেম্বর মোট 41 জনকে সাসপেন্ড করে । তখন থেকেই ক্লাসে ঢোকা বন্ধ করে দেওয়া হয় এই 41 জন ট্রেনি চিকিৎসকের ।

মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মামলাকারীরা জেএনএম হাসপাতালের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি ৷ র‍্যাগিং ও হুমকির অভিযোগে তাঁদের 41 জনকে গত 19 সেপ্টেম্বর বরখাস্ত করা করা হয় । দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা ক্লাসে যোগ দিতে পারছেন না । এই ভাবে চলতে থাকলে তাঁরা স্টাইপেন্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন না । নিয়ম অনুযায়ী তিন মাস ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলে স্টাইপেন্ডের জন্য আবেদন করা যায় না । পরীক্ষায় বসতে পারবেন না ।

এই বিষয়ে জেএনএম হাসপাতালের তরফে আইনজীবী সুমন সেনগুপ্তের বক্তব্য, এই ধরনের অভিযোগে সাধারণত অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটি তিন মাসের জন্য হস্টেলে ঢোকার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে । কলেজ ওয়েলফেয়ার কমিটির অভিযোগের পর কাউন্সিল সুপারিশ করেছে এদের বরখাস্তের । তবে এই বিষয় রিপোর্ট দেওয়ার জন্য সময় দিতে হবে ৷

ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ ইউনিভার্সিটির তরফে আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী জানান, 19 সেপ্টেম্বর জানা যায় অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটি অভিযুক্তদের বক্তব্য শোনার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছে । গুরুতর অভিযোগ । মামলাকারীদের পরিবারের লোকজনকে কলেজে ডেকে জানানো হয়েছে । এমনকি অনেকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে । 8 জানুয়ারি কলেজ কতৃপক্ষের রিপোর্ট তলব করেছেন বিচারপতি ।

থ্রেট কালচার সংক্রান্ত মামলায় যুক্ত হতে আবেদন করা হয়েছে রাজ্যের একাধিক ডাক্তারদের সংগঠনগুলিকে । এই সংগঠনের তরফে আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় আদালতে জানান, থ্রেট কালচার রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলোতে মহামারির আকার নিয়েছে । এই পরিস্থিতিতে তাঁদের বক্তব্য শোনা হোক । এই বিষয়ে অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত ।

উল্লেখ্য আরজি কর, বর্ধমান ও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে থ্রেট কালচারের অভিযোগে আগেই মামলা দায়ের হয়েছিল আদালতে । সেই সব মামলার আগামী শুক্রবার একসঙ্গে শুনানি রয়েছে বিচারপতি সেনগুপ্তের বেঞ্চে । সেখানে মামলায় এবার যুক্ত হল রাজ্যের ডাক্তারদের একাধিক সংগঠন ।

কলকাতা, 26 নভেম্বর: জেএনএম মেডিক্যাল কলেজের সাসপেন্ড হওয়া 41 জন ট্রেনি চিকিৎসকদের ক্লাসে বসতে দেওয়ার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের ৷ মঙ্গলবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এই নির্দেশ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত । এছাড়াও বলা হয়েছে, তাঁদের পড়াশোনায় কোনওরকম বাধা সৃষ্টি করা যাবে না । নিয়মিত ক্লাস করতে ও পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেম তাঁরা । তবে হস্টেলে ঢোকা ও অন্যান্য কোনও অনুষ্ঠানে যোগদান করতে পারবে না এই 41 জন ট্রেনি । 8 জানুয়ারি ফের এই মামলার শুনানি ।

17 সেপ্টেম্বর কল্যাণীর জেএনএম মেডিক্যাল কলেজে র‍্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানানো হয় । তাতে শতাধিক ছাত্রছাত্রী স্বাক্ষর করেন । অভিযোগে বলা হয়, রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত একাধিক ট্রেনি চিকিৎসক হুমকি ও র‍্যাগিংয়ের সঙ্গে যুক্ত ৷ তাঁদেরকে অবিলম্বে বরখাস্ত করার জন্য কলেজের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার কমিটির উপর চাপ সৃষ্টি করেন ছাত্রছাত্রীরা । সেই মতো কলেজ কাউন্সিল 19 সেপ্টেম্বর মোট 41 জনকে সাসপেন্ড করে । তখন থেকেই ক্লাসে ঢোকা বন্ধ করে দেওয়া হয় এই 41 জন ট্রেনি চিকিৎসকের ।

মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মামলাকারীরা জেএনএম হাসপাতালের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি ৷ র‍্যাগিং ও হুমকির অভিযোগে তাঁদের 41 জনকে গত 19 সেপ্টেম্বর বরখাস্ত করা করা হয় । দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা ক্লাসে যোগ দিতে পারছেন না । এই ভাবে চলতে থাকলে তাঁরা স্টাইপেন্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন না । নিয়ম অনুযায়ী তিন মাস ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলে স্টাইপেন্ডের জন্য আবেদন করা যায় না । পরীক্ষায় বসতে পারবেন না ।

এই বিষয়ে জেএনএম হাসপাতালের তরফে আইনজীবী সুমন সেনগুপ্তের বক্তব্য, এই ধরনের অভিযোগে সাধারণত অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটি তিন মাসের জন্য হস্টেলে ঢোকার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে । কলেজ ওয়েলফেয়ার কমিটির অভিযোগের পর কাউন্সিল সুপারিশ করেছে এদের বরখাস্তের । তবে এই বিষয় রিপোর্ট দেওয়ার জন্য সময় দিতে হবে ৷

ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ ইউনিভার্সিটির তরফে আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী জানান, 19 সেপ্টেম্বর জানা যায় অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটি অভিযুক্তদের বক্তব্য শোনার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছে । গুরুতর অভিযোগ । মামলাকারীদের পরিবারের লোকজনকে কলেজে ডেকে জানানো হয়েছে । এমনকি অনেকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে । 8 জানুয়ারি কলেজ কতৃপক্ষের রিপোর্ট তলব করেছেন বিচারপতি ।

থ্রেট কালচার সংক্রান্ত মামলায় যুক্ত হতে আবেদন করা হয়েছে রাজ্যের একাধিক ডাক্তারদের সংগঠনগুলিকে । এই সংগঠনের তরফে আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায় আদালতে জানান, থ্রেট কালচার রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলোতে মহামারির আকার নিয়েছে । এই পরিস্থিতিতে তাঁদের বক্তব্য শোনা হোক । এই বিষয়ে অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত ।

উল্লেখ্য আরজি কর, বর্ধমান ও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে থ্রেট কালচারের অভিযোগে আগেই মামলা দায়ের হয়েছিল আদালতে । সেই সব মামলার আগামী শুক্রবার একসঙ্গে শুনানি রয়েছে বিচারপতি সেনগুপ্তের বেঞ্চে । সেখানে মামলায় এবার যুক্ত হল রাজ্যের ডাক্তারদের একাধিক সংগঠন ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.