ETV Bharat / bharat

সরকার উদাসীন, উপত্যকায় ফিরতে হাউজিং সোসাইটি গড়লেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা - KASHMIRI PANDITS COME BACK

স্বভূমে প্রত্যাবর্তনে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ৷ নিজের শিকড়, আচার, রীতিনীতির কাছে ফিরতে হাউজিং সোসাইটি গড়ে তা সরকারিভাবে নথিভুক্ত করলেন তাঁরা ৷

Kashmir residents wants to come back in valley
শিকড়ের কাছে ফিরতে চান কাশ্মীর ছেড়ে যাওয়া বাসিন্দারা (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 26, 2024, 9:43 PM IST

শ্রীনগর, 26 নভেম্বর: বিশেষ মর্যাদার তকমা হারিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর ৷ এরপর বহু রাজনৈতিক ওঠাপড়ার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে ভূ-স্বর্গ ৷ কিন্তু বহু কাশ্মীরি পণ্ডিত স্বভূমে ফিরে আসতে পারেননি ৷ সম্প্রতি বিধানসভা নির্বাচন হয় উপত্যকায় ৷ 16 অক্টোবর জম্মু-কাশ্মীরে মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে ন্যাশনাল কনফারেন্স ৷ এর একমাস 10 দিনের মাথায় এখানে বসবাস করা নিয়ে বড় পদক্ষেপ করলেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা ৷

তিন দশকেরও বেশি সময় পেরিয়ে এই প্রথম তাঁরা নিজেদের নামে একটি হাউজিং সোসাইটি গঠন করলেন শ্রীনগরে ৷ জম্মু-কাশ্মীরে এবার পাকাপাকি থাকতে চান তাঁরা ৷ দীর্ঘদিন ধরে সরকার তাঁদের ফেরানো এবং পুনর্বাসন নিয়ে নানারকম পরিকল্পনা করলেও তা বাস্তবায়িত হয়ে ওঠেনি ৷ স্বভাবত এমন হতাশার মাঝে এই হাউজিং সোসাইটি গড়ে তোলার ইঙ্গিত এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া ৷

এই সোসাইটি সরকারের কাছে কম দামে বাসযোগ্য জমি চাইবে ৷ কাশ্মীরি পণ্ডিতরা জম্মু-কাশ্মীরের কোঅপারেটিভ সোসাইটির রেজিস্ট্রারে 'দ্য ডিসপ্লেসড কাশ্মীরি রেসিডেন্টস হাউজিং কমপ্লেক্স, শ্রীনগর' নামে নথিভুক্ত করিয়েছেন ৷

Kashmiri Family once lived here
অতীতে কোনও এক সময় এখানেই থাকত কোনও কাশ্মীরি পণ্ডিতের পরিবার (ইটিভি ভারত)

এই সোসাইটির সচিব সতীশ মহলদার বলেন, "অন্য জায়গা থেকে আসা লোকজন যাতে এখানকার মুসলিম জনসাধারণের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পারেন, তার জন্য এই উদ্যোগ ৷ মফস্বল এলাকায় আলাদা করে থাকার দরকার নেই ৷" এই সোসাইটিতে 11 জন কাশ্মীরি পণ্ডিত এবং দু'জন শিখ রয়েছেন ৷ 1989 সালের পর থেকে উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ শুরু হয় ৷ নির্দিষ্ট কয়েকটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে হত্যার ঘটনা ঘটতে থাকে ৷ সেই সময়ে এই কাশ্মীরি পণ্ডিত ও শিখরা উপত্যকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন ৷

কাশ্মীরি পণ্ডিতদের পুনর্বাসন রাজনৈতিক স্বার্থের অঙ্গ

ইটিভি ভারতকে মহলদার জানান যে তিনি বিশ্বাস করেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকায় ফিরিয়ে আনাটা ভোটের স্বার্থে ৷ এর নেপথ্যে রাজনীতি রয়েছে ৷ কিন্তু সেসব নিয়ে বাস্তবে কোনও সরকারি উদ্যোগ দেখা যায়নি ৷ 2019 সালে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কাশ্মীরে ফিরতে চাওয়া 419টি পরিবারের একটি তালিকা জমা পড়েছিল ৷

হাউজিং সোসাইটির সচিব বলেন, "এই আজ পর্যন্ত তার কিছু হয়নি ৷ গত 4-5 বছর ধরে সরকার দাবি করে আসছে যে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরেছে এবং তাহলে আমরা আমাদের শিকড়ের কাছে ফিরতে পারব ৷ কিন্তু বেশ কয়েক বছর হল, আমাদের মধ্যে অনেকে তাঁদের জমি-বাড়ি বিক্রি করে দিয়েছেন ৷ তাই এবার সরকারের কাছ থেকে অল্প দামে জমি চাইতে এই হাউজিং সোসাইটি গড়ে তুলেছি ৷"

মহলদার আরও বলেন, "গত সপ্তাহে এই সোসাইটিতে নাম নথিভুক্ত করার জন্য কথা জানানো হয় ৷ একবার সেই তালিকা সম্পূর্ণ হলে আমরা সরকারকে জানাব শ্রীনগরের যে কোনও জায়গায় আমাদের স্বল্প মূল্যে জমি দেওয়া হোক ৷"

উদাহরণ দিয়ে তিনি বিষয়টি বুঝিয়ে দেন ৷ সতীশ মহলদার বলতে থাকেন, "যেমন ধরুন, আমরা 100 কানালস (জমি পরিমাপের একক) জমি চাইলাম ৷ সেখানে প্রতি পরিবার পিছু প্লটে ভাগ করা যেতে পারে এবং একটি কমিউনিটি সেন্টারও গড়া যায় ৷ আমরা প্রথমে শ্রীনগর থেকেই শুরু করতে চাই এবং পরে গ্রামের দিকে যেতে পারি ৷ কিন্তু যে কোনও সম্প্রদায়ের কাশ্মীরি পরিযায়ী ব্যক্তি যেন সেখানে বসবাস করতে পারেন ৷"

কাশ্মীরি পণ্ডিতদের একটা বিশাল অংশই তাঁর এই পরিকল্পনার বিরোধী ৷ তাঁদের আশঙ্কা এতে নিশানা করে হত্যার ঘটনা আরও বাড়বে বই কমবে না ৷ যেমনটা হয়েছে গত পাঁচ বছরে ৷ এতদসত্ত্বেও মহলদার আশাবাদী ৷

তাঁর কথায়, "এই জন্যই তো একে প্রত্যাবর্তন বলছি আমরা ৷ আমার শিকড়, আচার সব সেখানে ৷ আমি যদি শঙ্করাচার্যের মন্দিরে যাই, তাহলে মাকদুম সাহিবের সমাধিতেও যাব ৷"

সরকারের প্রতিক্রিয়া

2010 সালে তৎকালীন সরকার জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভায় দাবি করেছিল, জঙ্গি হামলায় উপত্যকায় 219 জন কাশ্মীরি পণ্ডিতের মৃত্যু হয়েছিল ৷ এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার কথা ভেবে 62 হাজার কাশ্মীরি পণ্ডিত বাধ্য হয়ে নিজেদের ভিটেমাটি ছেড়ে মূলত জম্মু ও নয়াদিল্লি এবং দেশের অন্য জায়গায় চলে যান ৷

কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায়ের দাবি, তাঁদের বাড়িঘর সব ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হয়েছে, দখল করা হয়েছে ৷ এমন অবস্থায় বাধ্য হয়ে তাঁরা তাঁদের সম্পত্তি বিক্রি করে দেন ৷ এই কারণে 2021 সালের অগস্টে সরকার একটি অনলাইন পোর্টালও চালু করে ৷ যেখানে কাশ্মীর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়া মানুষরা তাঁদের জমি দখল বা চাপে পড়ে জমি বিক্রি নিয়ে রিপোর্ট জানাতে পারেন ৷

1997 সালে দ্য জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর মাইগ্র্যান্ট ইমমুভেবল প্রপার্টি (প্রিজার্ভেশন, প্রোটেকশন অ্যান্ড রেসট্রেন্ট অন ডিসট্রেস সেলস) অ্যাক্ট-এ এই ধরনের কাশ্মীরিদের 'পরিযায়ী' বলে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ তাঁদের উপত্যকায় ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ 2015 সালের পিএম'স ডেভেলপমেন্ট প্যাকেজ এবং 2008 সালের পিএম'স রিকনস্ট্রাকশন প্ল্যানের আওতায় কাশ্মীরি পণ্ডিতদের জন্য উপত্যকায় 6 হাজার চাকরির বন্দোবস্ত হয়েছে ৷

2024 সালের অগস্টের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এর মধ্যে 5 হাজার 724 জন পরিযায়ীকে সরকারি চাকরিতে নিযুক্ত করা হয়েছে ৷ এছাড়া 6 হাজার কর্মীর থাকার জন্য উত্তর, মধ্য এবং দক্ষিণ কাশ্মীরে বাসস্থান নির্মাণের কাজও চলছে ৷

শ্রীনগর, 26 নভেম্বর: বিশেষ মর্যাদার তকমা হারিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর ৷ এরপর বহু রাজনৈতিক ওঠাপড়ার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে ভূ-স্বর্গ ৷ কিন্তু বহু কাশ্মীরি পণ্ডিত স্বভূমে ফিরে আসতে পারেননি ৷ সম্প্রতি বিধানসভা নির্বাচন হয় উপত্যকায় ৷ 16 অক্টোবর জম্মু-কাশ্মীরে মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে ন্যাশনাল কনফারেন্স ৷ এর একমাস 10 দিনের মাথায় এখানে বসবাস করা নিয়ে বড় পদক্ষেপ করলেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা ৷

তিন দশকেরও বেশি সময় পেরিয়ে এই প্রথম তাঁরা নিজেদের নামে একটি হাউজিং সোসাইটি গঠন করলেন শ্রীনগরে ৷ জম্মু-কাশ্মীরে এবার পাকাপাকি থাকতে চান তাঁরা ৷ দীর্ঘদিন ধরে সরকার তাঁদের ফেরানো এবং পুনর্বাসন নিয়ে নানারকম পরিকল্পনা করলেও তা বাস্তবায়িত হয়ে ওঠেনি ৷ স্বভাবত এমন হতাশার মাঝে এই হাউজিং সোসাইটি গড়ে তোলার ইঙ্গিত এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া ৷

এই সোসাইটি সরকারের কাছে কম দামে বাসযোগ্য জমি চাইবে ৷ কাশ্মীরি পণ্ডিতরা জম্মু-কাশ্মীরের কোঅপারেটিভ সোসাইটির রেজিস্ট্রারে 'দ্য ডিসপ্লেসড কাশ্মীরি রেসিডেন্টস হাউজিং কমপ্লেক্স, শ্রীনগর' নামে নথিভুক্ত করিয়েছেন ৷

Kashmiri Family once lived here
অতীতে কোনও এক সময় এখানেই থাকত কোনও কাশ্মীরি পণ্ডিতের পরিবার (ইটিভি ভারত)

এই সোসাইটির সচিব সতীশ মহলদার বলেন, "অন্য জায়গা থেকে আসা লোকজন যাতে এখানকার মুসলিম জনসাধারণের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পারেন, তার জন্য এই উদ্যোগ ৷ মফস্বল এলাকায় আলাদা করে থাকার দরকার নেই ৷" এই সোসাইটিতে 11 জন কাশ্মীরি পণ্ডিত এবং দু'জন শিখ রয়েছেন ৷ 1989 সালের পর থেকে উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ শুরু হয় ৷ নির্দিষ্ট কয়েকটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে হত্যার ঘটনা ঘটতে থাকে ৷ সেই সময়ে এই কাশ্মীরি পণ্ডিত ও শিখরা উপত্যকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন ৷

কাশ্মীরি পণ্ডিতদের পুনর্বাসন রাজনৈতিক স্বার্থের অঙ্গ

ইটিভি ভারতকে মহলদার জানান যে তিনি বিশ্বাস করেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকায় ফিরিয়ে আনাটা ভোটের স্বার্থে ৷ এর নেপথ্যে রাজনীতি রয়েছে ৷ কিন্তু সেসব নিয়ে বাস্তবে কোনও সরকারি উদ্যোগ দেখা যায়নি ৷ 2019 সালে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কাশ্মীরে ফিরতে চাওয়া 419টি পরিবারের একটি তালিকা জমা পড়েছিল ৷

হাউজিং সোসাইটির সচিব বলেন, "এই আজ পর্যন্ত তার কিছু হয়নি ৷ গত 4-5 বছর ধরে সরকার দাবি করে আসছে যে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরেছে এবং তাহলে আমরা আমাদের শিকড়ের কাছে ফিরতে পারব ৷ কিন্তু বেশ কয়েক বছর হল, আমাদের মধ্যে অনেকে তাঁদের জমি-বাড়ি বিক্রি করে দিয়েছেন ৷ তাই এবার সরকারের কাছ থেকে অল্প দামে জমি চাইতে এই হাউজিং সোসাইটি গড়ে তুলেছি ৷"

মহলদার আরও বলেন, "গত সপ্তাহে এই সোসাইটিতে নাম নথিভুক্ত করার জন্য কথা জানানো হয় ৷ একবার সেই তালিকা সম্পূর্ণ হলে আমরা সরকারকে জানাব শ্রীনগরের যে কোনও জায়গায় আমাদের স্বল্প মূল্যে জমি দেওয়া হোক ৷"

উদাহরণ দিয়ে তিনি বিষয়টি বুঝিয়ে দেন ৷ সতীশ মহলদার বলতে থাকেন, "যেমন ধরুন, আমরা 100 কানালস (জমি পরিমাপের একক) জমি চাইলাম ৷ সেখানে প্রতি পরিবার পিছু প্লটে ভাগ করা যেতে পারে এবং একটি কমিউনিটি সেন্টারও গড়া যায় ৷ আমরা প্রথমে শ্রীনগর থেকেই শুরু করতে চাই এবং পরে গ্রামের দিকে যেতে পারি ৷ কিন্তু যে কোনও সম্প্রদায়ের কাশ্মীরি পরিযায়ী ব্যক্তি যেন সেখানে বসবাস করতে পারেন ৷"

কাশ্মীরি পণ্ডিতদের একটা বিশাল অংশই তাঁর এই পরিকল্পনার বিরোধী ৷ তাঁদের আশঙ্কা এতে নিশানা করে হত্যার ঘটনা আরও বাড়বে বই কমবে না ৷ যেমনটা হয়েছে গত পাঁচ বছরে ৷ এতদসত্ত্বেও মহলদার আশাবাদী ৷

তাঁর কথায়, "এই জন্যই তো একে প্রত্যাবর্তন বলছি আমরা ৷ আমার শিকড়, আচার সব সেখানে ৷ আমি যদি শঙ্করাচার্যের মন্দিরে যাই, তাহলে মাকদুম সাহিবের সমাধিতেও যাব ৷"

সরকারের প্রতিক্রিয়া

2010 সালে তৎকালীন সরকার জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভায় দাবি করেছিল, জঙ্গি হামলায় উপত্যকায় 219 জন কাশ্মীরি পণ্ডিতের মৃত্যু হয়েছিল ৷ এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার কথা ভেবে 62 হাজার কাশ্মীরি পণ্ডিত বাধ্য হয়ে নিজেদের ভিটেমাটি ছেড়ে মূলত জম্মু ও নয়াদিল্লি এবং দেশের অন্য জায়গায় চলে যান ৷

কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায়ের দাবি, তাঁদের বাড়িঘর সব ভেঙে চুরমার করে দেওয়া হয়েছে, দখল করা হয়েছে ৷ এমন অবস্থায় বাধ্য হয়ে তাঁরা তাঁদের সম্পত্তি বিক্রি করে দেন ৷ এই কারণে 2021 সালের অগস্টে সরকার একটি অনলাইন পোর্টালও চালু করে ৷ যেখানে কাশ্মীর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়া মানুষরা তাঁদের জমি দখল বা চাপে পড়ে জমি বিক্রি নিয়ে রিপোর্ট জানাতে পারেন ৷

1997 সালে দ্য জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর মাইগ্র্যান্ট ইমমুভেবল প্রপার্টি (প্রিজার্ভেশন, প্রোটেকশন অ্যান্ড রেসট্রেন্ট অন ডিসট্রেস সেলস) অ্যাক্ট-এ এই ধরনের কাশ্মীরিদের 'পরিযায়ী' বলে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ তাঁদের উপত্যকায় ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ 2015 সালের পিএম'স ডেভেলপমেন্ট প্যাকেজ এবং 2008 সালের পিএম'স রিকনস্ট্রাকশন প্ল্যানের আওতায় কাশ্মীরি পণ্ডিতদের জন্য উপত্যকায় 6 হাজার চাকরির বন্দোবস্ত হয়েছে ৷

2024 সালের অগস্টের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এর মধ্যে 5 হাজার 724 জন পরিযায়ীকে সরকারি চাকরিতে নিযুক্ত করা হয়েছে ৷ এছাড়া 6 হাজার কর্মীর থাকার জন্য উত্তর, মধ্য এবং দক্ষিণ কাশ্মীরে বাসস্থান নির্মাণের কাজও চলছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.