ETV Bharat / city

বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে COVID-19 চিকিৎসার খরচে রাশ টানতে নির্দেশিকা - স্বাস্থ্য কমিশনের অ্যাডভাইজরি

বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকে COVID-19 নির্ণয় এবং COVID-19 রোগীদের চিকিৎসা নিয়ে আরও ছয় দফা অ্যাডভাইজ়রি ইশু করল WBCERC । অ্যাডভাইজ়রি অনুযায়ী, কোনও COVID-19 রোগীকে ভরতির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তব্যরত চিকিৎসক-ই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন । যদি দেখা যায়, ফাঁকা বেডের নিরিখে অনেক রোগী রয়েছেন, তবে কোনও সুপারিশ না মেনে কর্তব্যরত চিকিৎসক সিদ্ধান্ত নেবেন সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের ফাঁকা বেড অনুযায়ী কোন কোন রোগীকে ভরতি নেওয়া হবে ।

WBCERC
বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে COVID-19 চিকিৎসার খরচে রাশ টানতে নির্দেশিকা
author img

By

Published : Aug 3, 2020, 5:57 AM IST

কলকাতা, 3 অগাস্ট : বেসরকারি হাসপাতালে COVID-19-র চিকিৎসার জন্য ইতিমধ্যেই কিছু ক্ষেত্রে খরচ বেঁধে দিয়েছে রাজ‍্য সরকার । এ বার বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকে COVID-19-এর চিকিৎসা এবং রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে খরচে রাশ টানতে একগুচ্ছ অ্যাডভাইজ়রি ইশু করল ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিকাল এস্টাব্লিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশন (WBCERC) অর্থাৎ, রাজ‍্য সরকারের স্বাস্থ্য কমিশন । তবে, এই প্রথম নয় । প্রসবের জন্য বেসরকারি হাসপাতাল থেকে COVID-19-এ আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বাকে ফেরানো যাবে না বলে কয়েক দিন আগেই অ্যাডভাইজ়রি ইশু করেছে কমিশন ।

COVID-19 রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা কীভাবে আরও ভালোভাবে দেওয়া যায়, তার জন্য সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের জন্য নিয়মিত অ্যাডভাইজ়রি ইশু করে চলেছে রাজ‍্যের স্বাস্থ্য দপ্তর । এ দিকে, বেসরকারি হাসপাতালে COVID-19 নির্ণয় এবং চিকিৎসার ক্ষেত্রে অনেক বেশি খরচের অভিযোগ উঠছিল । যার জেরে, COVID-19 নির্ণয়, বেসরকারি হাসপাতালে COVID-19 রোগীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রতিদিনের জন্য চিকিৎসকের ফি এবং চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় PPE (পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট) সহ প্রয়োজনীয় অন‍্যান‍্য ব‍্যবস্থা নেওয়ার জন‍্য খরচ বেঁধে দিয়েছে রাজ্য সরকার । বেঁধে দেওয়া এই খরচ অনুযায়ী, বেসরকারি হাসপাতালে রোগীর সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার মাধ‍্যমে COVID-19 নির্ণয়ের জন্য ২,২৫০ টাকা, হাসপাতালে ভরতি COVID-19 রোগীর চিকিৎসার সময় চিকিৎসকের ফি বাবদ প্রতিদিন এক হাজার টাকা এবং PPE কিট সহ চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট রোগীর সুরক্ষায় অন্য যে সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তার জন্য প্রতিদিন এক হাজার টাকা নেওয়া যাবে । এই নির্দেশ ভঙ্গ করা হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের সংস্থান রাখা হয়েছে বলেও রাজ‍্য সরকারের নির্দেশে জানানো হয়েছে ।

অথচ, এরপরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠছে । কোথাও দেখা যাচ্ছে, COVID-19 নির্ণয়ের জন্য ২,২৫০ টাকা নেওয়া হলেও এর সঙ্গে রোগীর বাড়ি থেকে সোয়াবের নমুনা সংগ্রহের জন্য খরচ হিসাবে অনেক বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে । কোথাও যেমন আউটডোরের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, চিকিৎসকের ফি বাদে স‍্যানিটাইজ়ার এবং মাস্কের জন্য অনেক বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে । তেমনই, কোথাও আবার চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার ক্ষেত্রে মাস্ক, গ্লাভস, স্যানিটাইজ়ারের জন্য নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত খরচ । এই ধরনের বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে জানতে পেরেছে স্বাস্থ্য কমিশন । যার জেরে, বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকে COVID-19 নির্ণয় এবং COVID-19 রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে খরচে রাশ টানতে আরও ছয় দফা অ্যাডভাইজ়রি ইশু করল WBCERC ।

বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকের জন্য কমিশনের ইশু করা এই সব অ্যাডভাইজ়রি অনুযায়ী, আউটডোরে কোনও রোগীর ক্ষেত্রে "COVID প্রোটেকশন চার্জ" হিসাবে অতিরিক্ত ৫০ টাকা নেওয়া যাবে । রোগীর সঙ্গে একজন পরিজনের থাকার কথা । এ ক্ষেত্রে ওই পরিজনের জন্য "COVID প্রোটেকশন চার্জ" হিসাবে অতিরিক্ত আরও ৫০ টাকা নেওয়া যাবে । আউটডোরে চিকিৎসক যদি ফুল PPE পরে রোগীর চিকিৎসা করেন, তা হলে অতিরিক্ত আরও ৫০ টাকা নিতে পারবে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি হাসপাতাল অথবা, ক্লিনিক । বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি রোগীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রতিদিন "COVID প্রোটেকশন চার্জ" হিসাবে এক হাজার টাকা নেওয়া যাবে বলে খরচ বেঁধে দিয়েছে রাজ্য সরকার ।

অভিযোগ উঠছে, COVID-19 প্রতিরোধের জন্য স্যানিটাইজ়ার, অতিরিক্ত গ্লাভস সহ অন‍্যান‍্য ব‍্যবস্থা গ্রহণের জন্য অতিরিক্ত খরচ ধার্য করা হচ্ছে । কমিশন জানিয়েছে, এ ক্ষেত্রে এক হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না । কমিশনের এই অ্যাডভাইজ়রি অনুযায়ী, COVID-19 নির্ণয়ের জন্য ২,২৫০ নিতে হবে । তবে, রোগীর বাড়ি থেকে সোয়াবের নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে, রোগীর বাড়ির কাছে সংশ্লিষ্ট ল্যাবরেটরির যে সেন্টার থাকবে, সেই সেন্টার থেকে রোগীর বাড়ির দূরত্ব যা হবে, তাতে প্রতি কিলোমিটারে ক্ষেত্রে ১০ টাকা করে কনভেনিয়েন্স চার্জ নিতে পারবে সংশ্লিষ্ট ল্যাবরেটরি । যে স্থান থেকে সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করা হবে, সেখান থেকে যদি একাধিক রোগীর সোয়াবের নমুনা একসঙ্গে সংগ্রহ করা হয়, তা হলে কনভেনিয়েন্স চার্জ প্রতি কিলোমিটার ১০ টাকা হিসাবে প্রতি রোগী পিছু নেওয়া যাবে না । এক্ষেত্রে রোগীর সংখ্যা যতজন হবে, প্রতি কিলোমিটারের হিসাবে ওই ১০ টাকা ততজন রোগী হিসাবে ভাগ করে নিতে হবে । অর্থাৎ, একই স্থান থেকে একই সঙ্গে দুইজন রোগীর সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করা হলে, কনভেনিয়েন্স চার্জ প্রতি রোগীর ক্ষেত্রে পাঁচ টাকা করে নিতে হবে ।

সরকারি গাইডলাইন অনুযায়ী হাসপাতালের বেড যাতে ফাঁকা রাখা যায় অন্য COVID-19 রোগীর জন্য, তাও জানানো হয়েছে এই অ্যাডভাইজ়রিতে । কমিশনের ইশু করা এই অ্যাডভাইজ়রি অনুযায়ী, কোনও COVID-19 রোগীকে যদি সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ছুটি দেন এবং তারপরও যদি ওই রোগী হাসপাতালে থেকে যেতে চান, তা হলে ওই রোগীকে ওই হাসপাতালের সেফ হোম অথবা স্যাটেলাইট সেন্টারে স্থানান্তর করতে হবে । কোনও COVID-19 রোগীকে ভরতির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তব্যরত চিকিৎসক-ই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন । যদি দেখা যায়, ফাঁকা বেডের নিরিখে অনেক রোগী রয়েছেন, তবে কোনও সুপারিশ না মেনে কর্তব্যরত চিকিৎসক সিদ্ধান্ত নেবেন সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের ফাঁকা বেড অনুযায়ী কোন কোন রোগীকে ভরতি নেওয়া হবে । হাসপাতালে ভরতি কোনও COVID-19 রোগীকে নর্মাল বেড থেকে ICU বা ITU-তে স্থানান্তরের ক্ষেত্রেও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে বলেও অ্যাডভাইজ়রিতে জানিয়েছে কমিশন ।

অনেক সময় দেখা যাচ্ছে, ওষুধের দামের জন্যেও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার খরচ অনেক বেশি হয়ে যাচ্ছে ৷ বিশেষ করে ICU বা ITU-তে চিকিৎসাধীন COVID-19 রোগীর অ্যান্টিবায়োটিকের ক্ষেত্রে এমন দেখা যাচ্ছে । কমিশনের অ্যাডভাইজ়রিতে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট বেসরকারি হাসপাতালের ফার্মাসিতে একই অ্যান্টিবায়োটিক তিন-চারটি ব্র্যান্ডের রাখতে হবে । সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক যদি কোনও ব্র্যান্ড উল্লেখ করে না দেন, তা হলে অ্যান্টিবায়োটিকের ওই তিন-চারটি ব্র্যান্ডের মধ্যে তুলনামূলক সব থেকে কম দামের ব্র্যান্ডের অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হবে । এ ভাবেও চিকিৎসার খরচ কমানো যাবে ।

এ দিকে, এই ধরনের অ্যাডভাইজ়রি কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে চিকিৎসকদের বিভিন্ন অংশে সন্দেহ দেখা দিয়েছে । চিকিৎসকদের বিভিন্ন অংশের তরফে দাবি জানানো হয়েছে, বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকে COVID-19 নির্ণয়, চিকিৎসার ক্ষেত্রে যাতে খরচ লাগামছাড়া হয়ে না যায়, তার জন্য আইন প্রয়োজন । এবং কোনও ক্ষেত্রে দোষ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব‍্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন ।

কলকাতা, 3 অগাস্ট : বেসরকারি হাসপাতালে COVID-19-র চিকিৎসার জন্য ইতিমধ্যেই কিছু ক্ষেত্রে খরচ বেঁধে দিয়েছে রাজ‍্য সরকার । এ বার বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকে COVID-19-এর চিকিৎসা এবং রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে খরচে রাশ টানতে একগুচ্ছ অ্যাডভাইজ়রি ইশু করল ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিকাল এস্টাব্লিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশন (WBCERC) অর্থাৎ, রাজ‍্য সরকারের স্বাস্থ্য কমিশন । তবে, এই প্রথম নয় । প্রসবের জন্য বেসরকারি হাসপাতাল থেকে COVID-19-এ আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বাকে ফেরানো যাবে না বলে কয়েক দিন আগেই অ্যাডভাইজ়রি ইশু করেছে কমিশন ।

COVID-19 রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা কীভাবে আরও ভালোভাবে দেওয়া যায়, তার জন্য সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের জন্য নিয়মিত অ্যাডভাইজ়রি ইশু করে চলেছে রাজ‍্যের স্বাস্থ্য দপ্তর । এ দিকে, বেসরকারি হাসপাতালে COVID-19 নির্ণয় এবং চিকিৎসার ক্ষেত্রে অনেক বেশি খরচের অভিযোগ উঠছিল । যার জেরে, COVID-19 নির্ণয়, বেসরকারি হাসপাতালে COVID-19 রোগীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রতিদিনের জন্য চিকিৎসকের ফি এবং চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় PPE (পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট) সহ প্রয়োজনীয় অন‍্যান‍্য ব‍্যবস্থা নেওয়ার জন‍্য খরচ বেঁধে দিয়েছে রাজ্য সরকার । বেঁধে দেওয়া এই খরচ অনুযায়ী, বেসরকারি হাসপাতালে রোগীর সোয়াবের নমুনা পরীক্ষার মাধ‍্যমে COVID-19 নির্ণয়ের জন্য ২,২৫০ টাকা, হাসপাতালে ভরতি COVID-19 রোগীর চিকিৎসার সময় চিকিৎসকের ফি বাবদ প্রতিদিন এক হাজার টাকা এবং PPE কিট সহ চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট রোগীর সুরক্ষায় অন্য যে সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তার জন্য প্রতিদিন এক হাজার টাকা নেওয়া যাবে । এই নির্দেশ ভঙ্গ করা হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের সংস্থান রাখা হয়েছে বলেও রাজ‍্য সরকারের নির্দেশে জানানো হয়েছে ।

অথচ, এরপরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠছে । কোথাও দেখা যাচ্ছে, COVID-19 নির্ণয়ের জন্য ২,২৫০ টাকা নেওয়া হলেও এর সঙ্গে রোগীর বাড়ি থেকে সোয়াবের নমুনা সংগ্রহের জন্য খরচ হিসাবে অনেক বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে । কোথাও যেমন আউটডোরের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, চিকিৎসকের ফি বাদে স‍্যানিটাইজ়ার এবং মাস্কের জন্য অনেক বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে । তেমনই, কোথাও আবার চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার ক্ষেত্রে মাস্ক, গ্লাভস, স্যানিটাইজ়ারের জন্য নেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত খরচ । এই ধরনের বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে জানতে পেরেছে স্বাস্থ্য কমিশন । যার জেরে, বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকে COVID-19 নির্ণয় এবং COVID-19 রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে খরচে রাশ টানতে আরও ছয় দফা অ্যাডভাইজ়রি ইশু করল WBCERC ।

বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকের জন্য কমিশনের ইশু করা এই সব অ্যাডভাইজ়রি অনুযায়ী, আউটডোরে কোনও রোগীর ক্ষেত্রে "COVID প্রোটেকশন চার্জ" হিসাবে অতিরিক্ত ৫০ টাকা নেওয়া যাবে । রোগীর সঙ্গে একজন পরিজনের থাকার কথা । এ ক্ষেত্রে ওই পরিজনের জন্য "COVID প্রোটেকশন চার্জ" হিসাবে অতিরিক্ত আরও ৫০ টাকা নেওয়া যাবে । আউটডোরে চিকিৎসক যদি ফুল PPE পরে রোগীর চিকিৎসা করেন, তা হলে অতিরিক্ত আরও ৫০ টাকা নিতে পারবে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি হাসপাতাল অথবা, ক্লিনিক । বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি রোগীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রতিদিন "COVID প্রোটেকশন চার্জ" হিসাবে এক হাজার টাকা নেওয়া যাবে বলে খরচ বেঁধে দিয়েছে রাজ্য সরকার ।

অভিযোগ উঠছে, COVID-19 প্রতিরোধের জন্য স্যানিটাইজ়ার, অতিরিক্ত গ্লাভস সহ অন‍্যান‍্য ব‍্যবস্থা গ্রহণের জন্য অতিরিক্ত খরচ ধার্য করা হচ্ছে । কমিশন জানিয়েছে, এ ক্ষেত্রে এক হাজার টাকার বেশি নেওয়া যাবে না । কমিশনের এই অ্যাডভাইজ়রি অনুযায়ী, COVID-19 নির্ণয়ের জন্য ২,২৫০ নিতে হবে । তবে, রোগীর বাড়ি থেকে সোয়াবের নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে, রোগীর বাড়ির কাছে সংশ্লিষ্ট ল্যাবরেটরির যে সেন্টার থাকবে, সেই সেন্টার থেকে রোগীর বাড়ির দূরত্ব যা হবে, তাতে প্রতি কিলোমিটারে ক্ষেত্রে ১০ টাকা করে কনভেনিয়েন্স চার্জ নিতে পারবে সংশ্লিষ্ট ল্যাবরেটরি । যে স্থান থেকে সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করা হবে, সেখান থেকে যদি একাধিক রোগীর সোয়াবের নমুনা একসঙ্গে সংগ্রহ করা হয়, তা হলে কনভেনিয়েন্স চার্জ প্রতি কিলোমিটার ১০ টাকা হিসাবে প্রতি রোগী পিছু নেওয়া যাবে না । এক্ষেত্রে রোগীর সংখ্যা যতজন হবে, প্রতি কিলোমিটারের হিসাবে ওই ১০ টাকা ততজন রোগী হিসাবে ভাগ করে নিতে হবে । অর্থাৎ, একই স্থান থেকে একই সঙ্গে দুইজন রোগীর সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করা হলে, কনভেনিয়েন্স চার্জ প্রতি রোগীর ক্ষেত্রে পাঁচ টাকা করে নিতে হবে ।

সরকারি গাইডলাইন অনুযায়ী হাসপাতালের বেড যাতে ফাঁকা রাখা যায় অন্য COVID-19 রোগীর জন্য, তাও জানানো হয়েছে এই অ্যাডভাইজ়রিতে । কমিশনের ইশু করা এই অ্যাডভাইজ়রি অনুযায়ী, কোনও COVID-19 রোগীকে যদি সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ছুটি দেন এবং তারপরও যদি ওই রোগী হাসপাতালে থেকে যেতে চান, তা হলে ওই রোগীকে ওই হাসপাতালের সেফ হোম অথবা স্যাটেলাইট সেন্টারে স্থানান্তর করতে হবে । কোনও COVID-19 রোগীকে ভরতির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তব্যরত চিকিৎসক-ই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন । যদি দেখা যায়, ফাঁকা বেডের নিরিখে অনেক রোগী রয়েছেন, তবে কোনও সুপারিশ না মেনে কর্তব্যরত চিকিৎসক সিদ্ধান্ত নেবেন সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের ফাঁকা বেড অনুযায়ী কোন কোন রোগীকে ভরতি নেওয়া হবে । হাসপাতালে ভরতি কোনও COVID-19 রোগীকে নর্মাল বেড থেকে ICU বা ITU-তে স্থানান্তরের ক্ষেত্রেও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে বলেও অ্যাডভাইজ়রিতে জানিয়েছে কমিশন ।

অনেক সময় দেখা যাচ্ছে, ওষুধের দামের জন্যেও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার খরচ অনেক বেশি হয়ে যাচ্ছে ৷ বিশেষ করে ICU বা ITU-তে চিকিৎসাধীন COVID-19 রোগীর অ্যান্টিবায়োটিকের ক্ষেত্রে এমন দেখা যাচ্ছে । কমিশনের অ্যাডভাইজ়রিতে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট বেসরকারি হাসপাতালের ফার্মাসিতে একই অ্যান্টিবায়োটিক তিন-চারটি ব্র্যান্ডের রাখতে হবে । সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক যদি কোনও ব্র্যান্ড উল্লেখ করে না দেন, তা হলে অ্যান্টিবায়োটিকের ওই তিন-চারটি ব্র্যান্ডের মধ্যে তুলনামূলক সব থেকে কম দামের ব্র্যান্ডের অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হবে । এ ভাবেও চিকিৎসার খরচ কমানো যাবে ।

এ দিকে, এই ধরনের অ্যাডভাইজ়রি কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে চিকিৎসকদের বিভিন্ন অংশে সন্দেহ দেখা দিয়েছে । চিকিৎসকদের বিভিন্ন অংশের তরফে দাবি জানানো হয়েছে, বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকে COVID-19 নির্ণয়, চিকিৎসার ক্ষেত্রে যাতে খরচ লাগামছাড়া হয়ে না যায়, তার জন্য আইন প্রয়োজন । এবং কোনও ক্ষেত্রে দোষ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব‍্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.