কলকাতা, ১ মার্চ : দু'দিন আগেই ভুবনেশ্বরে তাঁর সঙ্গে এক টেবিলে বসে বৈঠক করেছেন । মুখোমুখি বসে মধ্যাহ্নভোজনও সেরেছেন । আর আজ কলকাতায় এসে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন অমিত শাহ । বললেন, ''মমতাদির নেতৃত্বে সোনার বাংলা তৈরি হবে না ।''
সভাটা ছিল CAA-র সমর্থনে । কিন্তু, পৌরভোটের আগে শহিদ মিনারের সেই সভাই কার্যত পরিণত হল নির্বাচনী প্রচারসভায় । এই সভা থেকেই BJP পৌরভোটের প্রচার শুরু করে দিল বলে মনে করছেন অনেকে । কারণ বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে রাজ্যে BJP-কে ক্ষমতায় আনার জন্য বারবার আবেদন করলেন অমিত শাহ । বললেন, "কমিউনিস্টদের সুযোগ দিয়েছেন । মমতাদিকেও ১০ বছর দিয়েছেন । পাঁচ বছর ভারতীয় জনতা পার্টিকে দিন বাংলাকে সোনার বাংলা বানাব ।"
রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, মমতাদির শাসনে রাজ্য অনেক পিছিয়ে গেছে । রাজ্যে ৭০ শতাংশ কৃষক ঋণে জর্জরিত । উলটে মোদিজি কিষান যোজনার মাধ্যমে কৃষকদের সাহায্য করতে চাইলেও বর্তমান রাজ্য সরকার তা কৃষকদের পর্যন্ত পৌঁছাতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি ।
তোলাবাজি ও সিন্ডিকেটরাজের প্রসঙ্গ তুলে অমিত শাহ বলেন, "আমি নিশ্চিত করছি যে আমাদের জিতিয়ে ক্ষমতায় আনলে তোলাবাজি যারা করছে বা যারা সিন্ডিকেটরাজ চালাচ্ছে তাদের চিহ্নিত করে জেলে পাঠাব । মানুষকে যারা সমস্যায় ফেলে তাদের কী করে সোজা করতে হয় আমরা জানি ।"
CAA-র সমর্থনে কথা বলতে গিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন তিনি । বলেন, শরণার্থীদের ভয় দেখাচ্ছে তৃণমূল । অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষা করতেই CAA-র বিরোধিতা করছে তারা । তাঁর বক্তব্যে বারবার মতুয়াদের উল্লেখ করেছেন তিনি । তাঁর প্রশ্ন, "মমতা দিদিকে প্রশ্ন করছি মতুয়া ভাইরা আপনার কী ক্ষতি করেছে?" সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে বলেন, "আপনি যখন CAA-র বিরোধিতা করছেন তখন একইসঙ্গে গুরুচাঁদ ঠাকুরের বিরোধিতা করছেন, বড়মার ত্যাগের বিরোধিতা করছেন । "
CAA নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়, নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য, আজ ফের সেই কথা বলেন অমিত শাহ । বলেন, হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ সবাইকে ভারতীয় জনতা পার্টির কেন্দ্রীয় সরকার নাগরিত্ব দেবে । মমতাদি থামাতে পারবে না ।