ETV Bharat / state

বন্দিদের শারীরিক শান্তি মিলছে না, সপ্তাহে 2-1 দিন যদি…! বিধানসভায় নওশাদের কথায় অবাক কারামন্ত্রী

সংশোধনাগারে বন্দিদের শারীরিক শান্তি মিলছে না ৷ বিধানসভায় বললেন নওশাদ সিদ্দিকী ৷ তাঁর কথা শুনে অবাক হয়ে যান কারামন্ত্রী ৷

ETV BHARAT
বিধানসভায় নওশাদের কথায় অবাক কারামন্ত্রী (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 9 hours ago

কলকাতা, 4 ডিসেম্বর: বিধানসভায় কোনও বিধায়ক যে বন্দিদের 'শারীরিক শান্তি' নিয়ে এমন প্রশ্ন তুলতে পারেন, তা ভাবতেই পারেননি কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ । আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর প্রশ্ন শুনে রীতিমতো তাঁর চক্ষু চড়কগাছ । কী করবেন কিছুই বুঝতে পারছেন না । ভাবছেন, এমন প্রশ্নও আসতে পারে...! যদিও নিজেকে সামলে নিয়ে তিনি উত্তর দিয়েছেন ৷

বিষয়টা একটু খোলসা করা যাক ৷ বিধানসভায় তখন প্রশ্নোত্তর পর্ব চলছে । আলোচনা হচ্ছে কারা দফতর নিয়ে । বিভিন্ন বিধায়ক প্রশ্ন করছেন, জবাব দিচ্ছেন কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ । এসবের মাঝেই রীতিমতো প্রশ্নবাণ ছুড়ে দিলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী । যা নিয়ে রীতিমতো আলোচনা শুরু হল বিধানসভার অলিন্দে ।

নওশাদ বলেন, "আমাকে অনেকদিন জেলে কাটাতে হয়েছিল । সেই সূত্রে আমার সঙ্গে জেলবন্দিদের কারও কারও কথাও হয় । কাজেই এই প্রশ্নটা আমার প্রশ্ন না । জেলবন্দিদের মনের কথা বলছি । এটা জেলের নিয়ম, সপ্তাহে একদিন আত্মীয়-স্বজনরা তাঁদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান । মূলত তাতে কিছুটা মানসিক শান্তি পান তাঁরা । কিন্তু যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে জেলে আছেন, অথবা যাঁরা সদ্য-বিবাহিত, তাঁদের মানসিক শান্তি হলেও শারীরিক শান্তি মিটছে না । সপ্তাহে দু’একদিন যদি…এই বিষয়ে কারা দফতর কি কিছু ভাবছে ? যখন মুক্ত কারাগার নিয়েও ভাবনাচিন্তা হচ্ছে, সেই জায়গা থেকে এই বিষয়টি কি বিবেচনার মধ্যে আছে ?"

প্রশ্নটা শুনে প্রথমে কারামন্ত্রী হকচকিয়ে যান । তাঁর চোখমুখ দেখে বোঝাই যাচ্ছিল তিনি কী জবাব দেবেন ঠাওড়ে উঠতে পারছেন না । তবে প্রশ্ন যখন উঠেছে, জবাব তো দিতেই হবে । অবশেষে মন্ত্রী বলেন, "আমরা আপনার এই প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখছি ।" কিন্তু মন্ত্রী এই কথা যখন বলছেন তখন রীতিমতো বিধানসভার সদনে হাসির রোল উঠেছে । মহিলা বিধায়কেরাও কেউ কেউ মুখ চেপে হাসছেন ।

কী কারণে এই ধরনের প্রশ্ন, তা অবশ্য পরবর্তীতে খোলসা করে বলেন নওশাদ । মাঝেমধ্যেই জেলের ভিতরে মহিলা বন্দিদের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার খবর পাওয়া যায় । মূলত তাই নিয়ে বলতে গিয়েই এ ধরনের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন তিনি । তিনি মনে করছেন, বিষয়টা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ । সরকারেরও এই বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করা দরকার ।

তিনি এও বলেছেন, জেলে থাকার কারণে বহু ক্ষেত্রে দেখা যায় স্বামী-স্ত্রীদের বিবাহিত জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে । যার কারণে অনেকেই মানসিক অবসাদেও ভোগেন । মূলত সে সব কারণে এই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি । জেল মানে তো সংশোধনাগার । আর সেই জায়গা থেকে এই বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে ভাবা যেতে পারে বলে মনে করছেন তিনি ।

তাঁর কথায়, রাজ্য সরকার দাবি করে তারা অনেক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে । অনেকের স্বামী বা স্ত্রী সংশোধনাগারে আছেন । তাঁদের একান্তে সময় কাটানোর সুযোগ দেওয়া হোক । এই ব্যবস্থা করুক রাজ্য । যদিও পরে বিষয়টি নিয়ে কারামন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলে তিনি বলেন, "এই নিয়ে বাইরে আমি কিছু বলতে চাই না । যা বলার আমি বিধানসভাতেই বলেছি ।" তবে তিনি যে প্রশ্নটি শুনে অবাক হয়েছেন তা তিনি লুকোননি । তিনি কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়েছিলেন বলে জানালেন ৷

কলকাতা, 4 ডিসেম্বর: বিধানসভায় কোনও বিধায়ক যে বন্দিদের 'শারীরিক শান্তি' নিয়ে এমন প্রশ্ন তুলতে পারেন, তা ভাবতেই পারেননি কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ । আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর প্রশ্ন শুনে রীতিমতো তাঁর চক্ষু চড়কগাছ । কী করবেন কিছুই বুঝতে পারছেন না । ভাবছেন, এমন প্রশ্নও আসতে পারে...! যদিও নিজেকে সামলে নিয়ে তিনি উত্তর দিয়েছেন ৷

বিষয়টা একটু খোলসা করা যাক ৷ বিধানসভায় তখন প্রশ্নোত্তর পর্ব চলছে । আলোচনা হচ্ছে কারা দফতর নিয়ে । বিভিন্ন বিধায়ক প্রশ্ন করছেন, জবাব দিচ্ছেন কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ । এসবের মাঝেই রীতিমতো প্রশ্নবাণ ছুড়ে দিলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী । যা নিয়ে রীতিমতো আলোচনা শুরু হল বিধানসভার অলিন্দে ।

নওশাদ বলেন, "আমাকে অনেকদিন জেলে কাটাতে হয়েছিল । সেই সূত্রে আমার সঙ্গে জেলবন্দিদের কারও কারও কথাও হয় । কাজেই এই প্রশ্নটা আমার প্রশ্ন না । জেলবন্দিদের মনের কথা বলছি । এটা জেলের নিয়ম, সপ্তাহে একদিন আত্মীয়-স্বজনরা তাঁদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান । মূলত তাতে কিছুটা মানসিক শান্তি পান তাঁরা । কিন্তু যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে জেলে আছেন, অথবা যাঁরা সদ্য-বিবাহিত, তাঁদের মানসিক শান্তি হলেও শারীরিক শান্তি মিটছে না । সপ্তাহে দু’একদিন যদি…এই বিষয়ে কারা দফতর কি কিছু ভাবছে ? যখন মুক্ত কারাগার নিয়েও ভাবনাচিন্তা হচ্ছে, সেই জায়গা থেকে এই বিষয়টি কি বিবেচনার মধ্যে আছে ?"

প্রশ্নটা শুনে প্রথমে কারামন্ত্রী হকচকিয়ে যান । তাঁর চোখমুখ দেখে বোঝাই যাচ্ছিল তিনি কী জবাব দেবেন ঠাওড়ে উঠতে পারছেন না । তবে প্রশ্ন যখন উঠেছে, জবাব তো দিতেই হবে । অবশেষে মন্ত্রী বলেন, "আমরা আপনার এই প্রস্তাব বিবেচনা করে দেখছি ।" কিন্তু মন্ত্রী এই কথা যখন বলছেন তখন রীতিমতো বিধানসভার সদনে হাসির রোল উঠেছে । মহিলা বিধায়কেরাও কেউ কেউ মুখ চেপে হাসছেন ।

কী কারণে এই ধরনের প্রশ্ন, তা অবশ্য পরবর্তীতে খোলসা করে বলেন নওশাদ । মাঝেমধ্যেই জেলের ভিতরে মহিলা বন্দিদের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার খবর পাওয়া যায় । মূলত তাই নিয়ে বলতে গিয়েই এ ধরনের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন তিনি । তিনি মনে করছেন, বিষয়টা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ । সরকারেরও এই বিষয়টি নিয়ে বিবেচনা করা দরকার ।

তিনি এও বলেছেন, জেলে থাকার কারণে বহু ক্ষেত্রে দেখা যায় স্বামী-স্ত্রীদের বিবাহিত জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে । যার কারণে অনেকেই মানসিক অবসাদেও ভোগেন । মূলত সে সব কারণে এই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি । জেল মানে তো সংশোধনাগার । আর সেই জায়গা থেকে এই বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে ভাবা যেতে পারে বলে মনে করছেন তিনি ।

তাঁর কথায়, রাজ্য সরকার দাবি করে তারা অনেক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে । অনেকের স্বামী বা স্ত্রী সংশোধনাগারে আছেন । তাঁদের একান্তে সময় কাটানোর সুযোগ দেওয়া হোক । এই ব্যবস্থা করুক রাজ্য । যদিও পরে বিষয়টি নিয়ে কারামন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলে তিনি বলেন, "এই নিয়ে বাইরে আমি কিছু বলতে চাই না । যা বলার আমি বিধানসভাতেই বলেছি ।" তবে তিনি যে প্রশ্নটি শুনে অবাক হয়েছেন তা তিনি লুকোননি । তিনি কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়েছিলেন বলে জানালেন ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.