কলকাতা, 28 মে : আক্রান্তরা যাতে ঘরে ফিরতে পারেন, সেটা সুনিশ্চিত করতে হবে রাজ্যকেই ৷ ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মন্তব্য কলকাতা হাইকোর্টের ৷ একুশের ভোটের পর রাজ্য়জুড়ে হিংসার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, এই অভিযোগে একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে ৷ মামলার গুরুত্ব বিবেচনা করে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল-সহ পাঁচ বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ গঠিত হয় ৷ সেই মামলারই শুনানি ছিল শুক্রবার ৷
এদিন শুনানি চলাকালীন মামলাকারীদের আইনজীবী তথা বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল বলেন, ‘‘এন্টালি বিধানসভা এলাকায় এখনও 200-র বেশি বিজেপি কর্মী ও সমর্থক ভোট পরবর্তী হিংসার কারণে ঘরে ফিরতে পারেননি ৷ পুলিশ বাড়ির ছবি তুলে এনে দেখাচ্ছে সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে ৷ কিন্তু বাড়িতে শুধুমাত্র মহিলারা রয়েছেন ৷ পুরুষরা এখনও বাড়িতে ফিরতে পারছেন না ৷’’
যদিও রাজ্যের অ্য়াডভোকেট জেনারেল মামলাকারীদের আইনজীবীর এই বক্তব্য সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন ৷ তখনই পাঁচ বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ রাজ্যের উদ্দেশ্যে জানায়, আক্রান্তরা যাতে অবিলম্বে নিজেদের বাড়িতে ফিরতে পারেন, সেটা রাজ্যকেই সুনিশ্চিত করতে হবে।
আগামী সোমবার ফের শুনানি হবে এই মামলার ৷ রাজ্যের তরফে জানানো হয়, আদালতের নির্দেশে ইতিমধ্যেই একটি ই-মেইল আইডি তৈরি করা হয়েছে ৷ সেখানে ইতিমধ্যেই 74 টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷
এর পাশাপাশি অ্য়াডভোকেট জেনারেল প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘‘ওঁকে আগে নিজের অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে ৷’’ তখন প্রধান ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘আপনারা যদি সাধারণ মানুষকে ঘরে ফিরতে সহায়তা না করতে পারেন, তাহলে আমরা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে বলছি সেটা করে দেওয়ার জন্য ৷’’
আরও পড়ুন : বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
প্রসঙ্গত, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া একটি জনস্বার্থ মামলায় কিছুদিন আগেই রাজ্যকে নোটিস দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ রাজ্যকে একটি হলফনামা দিতে বলা হয়েছে শীর্ষ আদালতের তরফে ৷ তাতে ভোট পরবর্তী হিংসায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী, সমর্থকদের মৃত্যুর ব্যাপারে রাজ্যের কী বক্তব্য, তা জানতে চাওয়া হয়েছে ৷