কলকাতা, 1 জানুয়ারি: মুখ্যমন্ত্রীর 'উৎসবে ফিরুন' মন্তব্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল আরজি কর ইস্যুতে ৷ ইংরেজি নববর্ষের প্রথমদিনে সঙ্গীত মেলার উদ্বোধনের মঞ্চ থেকে ফের একবার সেই বিতর্ককে উস্কে দিলেন রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন ৷ তাঁর কথায়, "যে যাই বলুক, বাংলার মানুষের মন উৎসবেই রয়েছে ৷"
বুধবার সঙ্গীত মেলার উদ্বোধন মঞ্চ থেকে 2024 সালের উৎসবের মরশুমে বিশেষত, দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে রাজ্যে বিক্রিবাট্টা কেমন ছিল, তার একটা আভাস তুলে ধরেন ইন্দ্রনীল ৷
সেখানেই তিনি বলেন, "বাংলা উৎসবের পীঠস্থান ৷ যে যাই বলুক বাংলার মানুষের মন উৎসবেই রয়েছে ৷ তার প্রমাণ দুর্গাপুজোয় হওয়া বিক্রিবাট্টা ও রাজ্য সরকারের দেওয়া অনুদান ৷ হ্যাঁ একটা অংশ অনুদানের টাকা ফিরিয়ে দিয়েছে ৷ সেই সংখ্যাটা মাত্র একশো ৷ কিন্তু, গতবছর দুর্গাপুজোর অনুদানের জন্য নতুন আবেদন জমা পড়েছিল পাঁচ হাজার ৷ যার মধ্যে একশো বাদ দিলে, 4 হাজার 900টি ক্লাবকে অনুদানের টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার ৷"
আর রাজ্যের মানুষ যে উৎসবে রয়েছে, নিজের এই বক্তব্যের স্বপক্ষে তিনি বলেন, "অর্থ দফতরের থেকে পাওয়া হিসাব অনুযায়ী, দুর্গাপুজোতে রাজ্যে বেচাকেনা হয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকা ৷ দুর্গাপুজোর সময় যাঁরা দোকান দেন, তাঁদের বছরের প্রায় 90 শতাংশ সঞ্চয় এখান থেকে হয় ৷ ফলে এই বিক্রির পরিমাণ প্রমাণ করছে, মানুষ সার্বিকভাবে দুর্গাপুজোয় সামিল হয়েছে ৷"
ইন্দ্রনীল দাবি করেছেন, অন্যান্যবারের তুলনায় রাজ্যে দুর্গাপুজোর সময় 25 শতাংশ বেশি ব্যবসা হয়েছে ৷ এ দিন সঙ্গীত মেলা নিয়ে ইন্দ্রনীল বলেন, "মানুষ বাংলার উৎসব সংস্কৃতির প্রতি তাঁদের সর্বাত্মক সমর্থন জানিয়েছে ৷ আর এই সঙ্গীত মেলা বাংলার উৎসব সংস্কৃতির একটা জরুরি অঙ্গ ৷ অনেকেই বলেছিলেন এ বছর নাকি সঙ্গীত মেলা হবে না ৷ কিন্তু, সেই সব জল্পনা উড়িয়ে সঙ্গীত মেলা যথারীতি হচ্ছে ৷"
2-9 জানুয়ারি পর্যন্ত মোট 11টি কেন্দ্রে চলবে সঙ্গীত মেলা ৷ রবীন্দ্রসদন ছাড়াও, শিশির মঞ্চ, মহাজাতি সদন, হেদুয়া পার্ক, মধুসূদন মুক্ত মঞ্চ, একতারা মুক্ত মঞ্চ, দেশপ্রিয় পার্ক, ঋষি অরবিন্দ পার্ক নেতাজি নগর, মোহরকুঞ্জ, জাতীয় সঙ্গীত অ্যাকামেডির মুক্তমঞ্চ এবং রবীন্দ্রসদন প্রাঙ্গণে চলবে সঙ্গীত মেলার অনুষ্ঠান ৷ এ বছরের সঙ্গীত মেলাতেও শতবর্ষের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হবে উৎপলা সেন, সুচিত্রা মিত্র, ছবি বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৷