কলকাতা, 23 সেপ্টেম্বর: করোনা আবহে গত বছরের মতো এ বছরও পুজোয় বিধিনিষেধ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা।
গত বছর করোনা পরিস্থিতিতে পুজোর উপর বিধিনিষেধ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন হাওড়ার বাসিন্দা অজয়কুমার দে। সেই মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীবকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ গত বছর 19 অক্টোবর ও 21 অক্টোবর পরপর দুটি নির্দেশ দেয়। 19 অক্টোবরের নির্দেশে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ছোট পুজো মণ্ডপের 5 মিটার পর্যন্ত এবং বড় পুজো মণ্ডপের 10 মিটার পর্যন্ত ব্যারিকেড করা থাকবে ৷ তার বাইরে থেকেই প্রতিমা ও পুজো মণ্ডপ দর্শন করতে হবে দর্শনার্থীদের। পাশাপাশি, বড় মণ্ডপের ক্ষেত্রে সারাদিনে উদ্যোক্তাদের সর্বোচ্চ 60 জন পর্যন্ত প্রবেশের অনুমতি দেয় কলকাতা হাইকোর্ট । ছোট মণ্ডপের ক্ষেত্রে উদ্যোক্তাদের 15 জনের বেশি প্রবেশ করতে পারবেন না বলেও জানায় আদালত। উদ্যোক্তাদের যে সমস্ত সদস্য মণ্ডপে প্রবেশ করবেন তাদের নামের তালিকা সকাল আটটার মধ্যে মণ্ডপের বাইরে টাঙিয়ে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিলেন বিচারপতিরা ৷ তবে এই নামের তালিকা প্রতিদিন পরিবর্তন করা যাবে। গত বছরের নির্দেশে হাইকোর্ট আরও নির্দেশ দিয়েছিল, মণ্ডপের বাইরে সুরক্ষা বিধি মানতে হবে ৷ পাশাপাশি অঞ্জলি দেওয়া, সিঁদুর খেলা যাবে না।
চলতি বছরের পুজোতেও ওই সমস্ত বিধি-নিষেধ আরোপ করুক কলকাতা হাইকোর্ট, এবারের আবেদনে এই আর্জি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, চলতি বছরেও রাজ্যের পুজোগুলিকে 50 হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার যে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন সেই ব্যাপারেও আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন আইনজীবী শামিম আহমেদ। গতবছর সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, রাজ্য সরকার যে টাকা অনুদান হিসেবে ক্লাবগুলোকে দেবে তার কিছু টাকা জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় অর্থাৎ মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার কেনার জন্য এবং কিছু টাকা জনস্বাস্থ্যমূলক সচেতনতার প্রচারে খরচ করতে হবে ৷ যদিও এবছর রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় আদালতে জানিয়েছেন, ক্লাবগুলোকে রাজ্য সরকার এখনও কোনও টাকা দেয়নি।