কলকাতা, 4 জুন : টোসিলিজুমাব ইঞ্জেকশন চুরির ঘটনায় তদন্ত দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা । করোনার চিকিৎসায় জীবনদায়ী ইঞ্জেকশন হিসেবে এই ওষুধটির ব্যবহার করা হয় ৷ মঙ্গলবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ইঞ্জেকশন চুরির অভিযোগ উঠেছিল ।
পাশাপাশি ইতিমধ্যেই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ওই চুরির ঘটনায় স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশে একটি তিন সদস্যের কমিটি তৈরি হয়েছে । কমিটিতে রয়েছেন মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাস্থেশিয়া, কার্ডিওথোরাসিক ও সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকেরা । সর্বোপরি এর দায়িত্বে রয়েছেন নির্মল মাজি । ফলে মামলাকারীদের তরফে মামলায় পরিষ্কার জানানো হয়েছে, এর তদন্ত কতটা নিরপেক্ষ হবে তাই নিয়ে সন্দেহ আছে ।
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রায় 10 লক্ষ টাকার 26টি টোসিলিজুমাব ইঞ্জেকশন বেআইনিভাবে চুরির অভিযোগ ওঠে এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে । চুরির তথ্য-প্রমাণ সামনে না এলেও, একটি অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয় সমাজ মাধ্যমে । যদিও ওই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা এখনও বিচার হয়নি । স্বাস্থ্য দফতর ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে । কিন্তু সেই তদন্ত আদৌ নিরপেক্ষ হবে কি না সেই প্রশ্ন তুলেই মামলা করা হয়েছে ।
আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে বিকৃত পোস্ট, তদন্তে লালবাজার
এ ব্যাপারে মামলাকারীর তরফে আইনজীবী শামিম আহমেদ জানালেন,"রাজ্য সরকার যে কমিটি গঠন করেছে, সেই কমিটির সদস্যদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে । নির্মল মাজির ভাবমূর্তি মোটেও স্বচ্ছ নয়, তা সকলেই জানেন । পাশাপাশি এই অতিমারি পরিস্থিতিতে হাসপাতালগুলোতে যে ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে, কোথায় কী ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে ,কী পরিমাণে ওষুধ ব্যবহার হচ্ছে, সেটা যাতে প্রকাশ করা হয়, তার জন্য একটি লিখিত নির্দেশিকা জারি করুক রাজ্য সরকার ৷ মামলাতে এই আর্জি জানানো হয়েছে ।"
মামলাকারীর তরফে আইনজীবী তাপস মাইতি আজ কলকাতা হাইকোর্টে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন বিষয়টি নিয়ে । প্রধান বিচারপতি মামলার অনুমতি দিয়েছেন । আগামী 7 জুন মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে ।