ETV Bharat / city

ডাকা হোক বিধানসভার অধিবেশন, দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি বিরোধীদের

বিধানসভার অধিবেশন ডাকার দাবিতে গত 24 সেপ্টেম্বর এবং 2 নভেম্বর দুবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেয় বিরোধী দলের নেতারা । কী কারণে বিধানসভার অধিবেশন বসাতে আপত্তি রয়েছে সরকারের জানতে চান তাঁরা ।

opposition_party_of_west_bengal_has_write_a_letter_to_chief_minister_mamata_banerjee_to_call_assembly_session
ডাকা হোক বিধানসভার অধিবেশন, দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি বিরোধীদের
author img

By

Published : Dec 3, 2020, 5:38 PM IST

কলকাতা, 3 ডিসেম্বর : বিধানসভার অধিবেশন ডাকা জরুরি । সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যার কথা তুলে ধরার জন্য বিধানসভার অধিবেশন বসার দরকার। এই দাবিতে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে চিঠি দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান এবং বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী ৷ তবে এটাই প্রথম নয় ৷ এর আগেও একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীকে অধিবেশন ডাকার আবেদন জানিয়ে চিঠি দিয়েছে বিরোধী বাম ও কংগ্রেস ।

বিধানসভার অধিবেশন ডাকার দাবিতে গত 24 সেপ্টেম্বর এবং 2 নভেম্বর দুবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেয় বিরোধী দলের নেতারা । কী কারণে বিধানসভার অধিবেশন বসাতে আপত্তি রয়েছে সরকারের জানতে চান তাঁরা । সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের সর্বনাশা কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে । কৃষকরা দিল্লিতে মোদি সরকারের চোখে চোখ রেখে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন । কেন্দ্রীয় কৃষি আইন বাতিল করার দাবি অবশ্যই সঙ্গত । রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন ডেকে কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী কৃষি আইন ও শ্রম আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনার দাবি আগেই জানিয়েছিল বিরোধীরা । কেরালা, পঞ্জাব, ছত্রিশগড়, রাজস্থানের মত রাজ্যগুলি কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ মূলক যে সকল বন্দোবস্ত নেওয়া হয়েছে, তা যথেষ্ট প্রশংসনীয় । তারা বিধানসভা অধিবেশন ডেকে বিকল্প আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারলে, আমরা তা পারব না কেন ?’’ রাজ্যের কৃষিজীবী মানুষের স্বার্থ রক্ষায় এই বিকল্প আইনি ব্যবস্থা অত্যন্ত জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি ।

অন্য়দিকে, মুখ্য়মন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান জানিয়েছেন, ‘‘দৈনন্দিন জিনিসের দাম ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী । কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির পাশাপাশি রাজ্য সরকারের চূড়ান্ত অব্যবস্থা এবং লুট ও দালালরাজ মানুষকে বিপদে ফেলেছে । 2011 সালে ক্ষমতায় আসার আগে আলুর দাম প্রতি কেজি ছিল 8 টাকা । মিনিকেট চাল 20 টাকা প্রতি কেজির দাম ছিল । এখন তা বাড়তে বাড়তে যথাক্রমে 42 এবং 48 টাকা প্রতি কেজি হয়েছে । কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়ে সবজিসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কার্যত ধরাছোঁয়ার বাইরে । রেকর্ড পরিমাণ মূল্য বৃদ্ধি । সরকারের ব্যবস্থাপনা কিংবা টাস্কফোর্স সবই যে ব্যর্থ তা অস্বীকার করার উপায় নেই । বিপন্ন সাধারণ মানুষ । ভয়ানক বিপদে ক্রেতারা। এ বিষয়ে বিধানসভায় আলোচনা অবশ্যই অত্যন্ত জরুরি।’’ একই সঙ্গে বিরোধী বাম ও কংগ্রেস জানিয়েছে, বিধানসভা অধিবেশন ডাকার দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রীর । অবিলম্বে অধিবেশন বসার ব্যবস্থা করার আবেদন জানানো হয়েছে তাঁকে । কৃষক-শ্রমিক সহ রাজ্যের মানুষের স্বার্থে সেটা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধীরা।

কলকাতা, 3 ডিসেম্বর : বিধানসভার অধিবেশন ডাকা জরুরি । সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সমস্যার কথা তুলে ধরার জন্য বিধানসভার অধিবেশন বসার দরকার। এই দাবিতে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে চিঠি দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান এবং বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী ৷ তবে এটাই প্রথম নয় ৷ এর আগেও একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীকে অধিবেশন ডাকার আবেদন জানিয়ে চিঠি দিয়েছে বিরোধী বাম ও কংগ্রেস ।

বিধানসভার অধিবেশন ডাকার দাবিতে গত 24 সেপ্টেম্বর এবং 2 নভেম্বর দুবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেয় বিরোধী দলের নেতারা । কী কারণে বিধানসভার অধিবেশন বসাতে আপত্তি রয়েছে সরকারের জানতে চান তাঁরা । সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের সর্বনাশা কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে । কৃষকরা দিল্লিতে মোদি সরকারের চোখে চোখ রেখে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন । কেন্দ্রীয় কৃষি আইন বাতিল করার দাবি অবশ্যই সঙ্গত । রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন ডেকে কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী কৃষি আইন ও শ্রম আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনার দাবি আগেই জানিয়েছিল বিরোধীরা । কেরালা, পঞ্জাব, ছত্রিশগড়, রাজস্থানের মত রাজ্যগুলি কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ মূলক যে সকল বন্দোবস্ত নেওয়া হয়েছে, তা যথেষ্ট প্রশংসনীয় । তারা বিধানসভা অধিবেশন ডেকে বিকল্প আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারলে, আমরা তা পারব না কেন ?’’ রাজ্যের কৃষিজীবী মানুষের স্বার্থ রক্ষায় এই বিকল্প আইনি ব্যবস্থা অত্যন্ত জরুরি বলে মন্তব্য করেন তিনি ।

অন্য়দিকে, মুখ্য়মন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান জানিয়েছেন, ‘‘দৈনন্দিন জিনিসের দাম ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী । কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির পাশাপাশি রাজ্য সরকারের চূড়ান্ত অব্যবস্থা এবং লুট ও দালালরাজ মানুষকে বিপদে ফেলেছে । 2011 সালে ক্ষমতায় আসার আগে আলুর দাম প্রতি কেজি ছিল 8 টাকা । মিনিকেট চাল 20 টাকা প্রতি কেজির দাম ছিল । এখন তা বাড়তে বাড়তে যথাক্রমে 42 এবং 48 টাকা প্রতি কেজি হয়েছে । কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়ে সবজিসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কার্যত ধরাছোঁয়ার বাইরে । রেকর্ড পরিমাণ মূল্য বৃদ্ধি । সরকারের ব্যবস্থাপনা কিংবা টাস্কফোর্স সবই যে ব্যর্থ তা অস্বীকার করার উপায় নেই । বিপন্ন সাধারণ মানুষ । ভয়ানক বিপদে ক্রেতারা। এ বিষয়ে বিধানসভায় আলোচনা অবশ্যই অত্যন্ত জরুরি।’’ একই সঙ্গে বিরোধী বাম ও কংগ্রেস জানিয়েছে, বিধানসভা অধিবেশন ডাকার দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রীর । অবিলম্বে অধিবেশন বসার ব্যবস্থা করার আবেদন জানানো হয়েছে তাঁকে । কৃষক-শ্রমিক সহ রাজ্যের মানুষের স্বার্থে সেটা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধীরা।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.