ETV Bharat / city

কথা হল ভিডিয়ো কলে, "ভাইরাল" চা কাকুর পাশে মিমি - viral mridul dev

মৃদুলবাবুর বিষয়ে খবর পাওয়ার পর পাশে দাঁড়িয়েছেন BCCI প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় । করেছেন সাহায্য । এবার চা খেতে গিয়ে সোশাল মিডিয়ায় "ভাইরাল" হওয়া মৃদুল দেবের পাশে দাঁড়ালেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী । ভিডিয়ো কলে খবর নিলেন মৃদুলের ৷

Mridul dev
Mridul dev
author img

By

Published : Apr 11, 2020, 6:05 PM IST

Updated : Apr 11, 2020, 7:01 PM IST

কলকাতা, 11 এপ্রিল : সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আগেই পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন । এবার চা খেতে গিয়ে সোশাল মিডিয়ায় "ভাইরাল" হওয়া মৃদুল দেবের পাশে দাঁড়ালেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী । বাড়িতে লোক পাঠিয়ে মৃদুলবাবু সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে কথা বললেন । দেওয়া হল কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস । কথা দিলেন, লকডাউন উঠে গেলে মৃদুলবাবুর ছেলের পড়াশুনার যাবতীয় দায়িত্ব নেবেন তিনি ।

"আমরা চা খাব না!" বাক্যটাকে নিয়ে কত ঠাট্টা, কত মশকরা, কত মিম । জনতা কারফিউয়ের দিন এক ব্যক্তির "চা প্রেম" নিয়ে কতই বিদ্রুপ করেছিলেন নেটিজেনরা । তারপরই সোশাল মিডিয়ায় হাসির খোরাক হয়ে ওঠা মানুষটার জীবনে নেমে আসে এক অদ্ভুত আঁধার । সঙ্গে কটূক্তি । আবার বাড়ি এসে হুমকিও নাকি দিয়েছিলেন কেউ কেউ । অথচ রাজমিস্ত্রি সেই "চা কাকু"-র লকডাউনের জেরে কাজ বন্ধ । যাদবপুরের বিজয়গরের শ্রী কলোনির বাসিন্দা তিনি । সেখানেই ছ'ফুট বাই চার ফুটের দু'টো ঘর । পেশায় রাজমিস্ত্রি মৃদুল দেবের সেটাই শান্তির নীড় ছিল এতদিন ।

স্ত্রী, পুত্র, বৃদ্ধা মা, আর মানসিক ভারসাম্যহীন দিদি । এই নিয়েই মৃদুলবাবুর পৃথিবী । পুরোপুরি মিস্ত্রি নন মৃদুল । 65 বছরের মানুষটা আসলে রাজমিস্ত্রির জোগাড়ে । রোজ কাজে গেলে 300 টাকা পান । জনতা কারফিউ কী, তা জানা ছিল না তাঁর । তবে সেদিনও কাজ বন্ধ করেননি । হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে বাড়ি ফিরে ছিলেন তিনি ৷ বিকেলে পাড়ার চায়ের দোকান খোলা পেয়ে রোজকার অভ্যেসে গিয়েছিলেন চা খেতে । তখন এক যুবতি তাঁর ছবি তুলে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেন । তারপর থেকেই মৃদুল হয়ে ওঠেন সোশাল মিডিয়ায় "চা কাকু ।" ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ আর মিমও শুরু হয় ।

মৃদুলবাবুকে ভিডিয়ো কল মিমির

কেউ একবার খোঁজ নিয়েও জানতে চাননি, কী তাঁর পরিচয় । তিনি কি আড্ডা মারতে বেরিয়েছিলেন রাস্তায়? নাকি না বুঝে সরল মনে করেছিলেন কাজটা । মৃদুলবাবুর বিষয়ে খবর পাওয়ার পর পাশে দাঁড়িয়েছেন BCCI প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় । করেছেন সাহায্য । আপাতত তাতেই দিনগুজরান হচ্ছে । তিনি বলছিলেন, "পেটে ভাত নেই ৷ লোকে হাসি মশকরা করছে, হুমকি দিচ্ছে, কখনও কখনও মারধর করার কথা বলছে । আমার পেটের ভাতের ব্যবস্থা করে দিন । বৃদ্ধা মা, মানসিক ভারসাম্যহীন দিদি আর সংসার নিয়ে আমি শুধু বাঁচতে চাই ।"

ETV ভারতে প্রকাশিত হয় মৃদুলবাবুর জীবন সংগ্রামের কথা । সে খবর পৌঁছায় সাংসদ মিমির কাছেও । মিমি চক্রবর্তী মৃদুলবাবুর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন যোগাযোগের ফোন নম্বর । যে কোনও প্রয়োজনে সাহায্য করতে নির্দেশ দিয়েছেন এলাকার সাংসদ । মিমির এই উদ্যোগে খুশি মৃদুলের পরিবার ।

কলকাতা, 11 এপ্রিল : সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আগেই পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন । এবার চা খেতে গিয়ে সোশাল মিডিয়ায় "ভাইরাল" হওয়া মৃদুল দেবের পাশে দাঁড়ালেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী । বাড়িতে লোক পাঠিয়ে মৃদুলবাবু সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে কথা বললেন । দেওয়া হল কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস । কথা দিলেন, লকডাউন উঠে গেলে মৃদুলবাবুর ছেলের পড়াশুনার যাবতীয় দায়িত্ব নেবেন তিনি ।

"আমরা চা খাব না!" বাক্যটাকে নিয়ে কত ঠাট্টা, কত মশকরা, কত মিম । জনতা কারফিউয়ের দিন এক ব্যক্তির "চা প্রেম" নিয়ে কতই বিদ্রুপ করেছিলেন নেটিজেনরা । তারপরই সোশাল মিডিয়ায় হাসির খোরাক হয়ে ওঠা মানুষটার জীবনে নেমে আসে এক অদ্ভুত আঁধার । সঙ্গে কটূক্তি । আবার বাড়ি এসে হুমকিও নাকি দিয়েছিলেন কেউ কেউ । অথচ রাজমিস্ত্রি সেই "চা কাকু"-র লকডাউনের জেরে কাজ বন্ধ । যাদবপুরের বিজয়গরের শ্রী কলোনির বাসিন্দা তিনি । সেখানেই ছ'ফুট বাই চার ফুটের দু'টো ঘর । পেশায় রাজমিস্ত্রি মৃদুল দেবের সেটাই শান্তির নীড় ছিল এতদিন ।

স্ত্রী, পুত্র, বৃদ্ধা মা, আর মানসিক ভারসাম্যহীন দিদি । এই নিয়েই মৃদুলবাবুর পৃথিবী । পুরোপুরি মিস্ত্রি নন মৃদুল । 65 বছরের মানুষটা আসলে রাজমিস্ত্রির জোগাড়ে । রোজ কাজে গেলে 300 টাকা পান । জনতা কারফিউ কী, তা জানা ছিল না তাঁর । তবে সেদিনও কাজ বন্ধ করেননি । হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে বাড়ি ফিরে ছিলেন তিনি ৷ বিকেলে পাড়ার চায়ের দোকান খোলা পেয়ে রোজকার অভ্যেসে গিয়েছিলেন চা খেতে । তখন এক যুবতি তাঁর ছবি তুলে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেন । তারপর থেকেই মৃদুল হয়ে ওঠেন সোশাল মিডিয়ায় "চা কাকু ।" ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ আর মিমও শুরু হয় ।

মৃদুলবাবুকে ভিডিয়ো কল মিমির

কেউ একবার খোঁজ নিয়েও জানতে চাননি, কী তাঁর পরিচয় । তিনি কি আড্ডা মারতে বেরিয়েছিলেন রাস্তায়? নাকি না বুঝে সরল মনে করেছিলেন কাজটা । মৃদুলবাবুর বিষয়ে খবর পাওয়ার পর পাশে দাঁড়িয়েছেন BCCI প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় । করেছেন সাহায্য । আপাতত তাতেই দিনগুজরান হচ্ছে । তিনি বলছিলেন, "পেটে ভাত নেই ৷ লোকে হাসি মশকরা করছে, হুমকি দিচ্ছে, কখনও কখনও মারধর করার কথা বলছে । আমার পেটের ভাতের ব্যবস্থা করে দিন । বৃদ্ধা মা, মানসিক ভারসাম্যহীন দিদি আর সংসার নিয়ে আমি শুধু বাঁচতে চাই ।"

ETV ভারতে প্রকাশিত হয় মৃদুলবাবুর জীবন সংগ্রামের কথা । সে খবর পৌঁছায় সাংসদ মিমির কাছেও । মিমি চক্রবর্তী মৃদুলবাবুর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন যোগাযোগের ফোন নম্বর । যে কোনও প্রয়োজনে সাহায্য করতে নির্দেশ দিয়েছেন এলাকার সাংসদ । মিমির এই উদ্যোগে খুশি মৃদুলের পরিবার ।

Last Updated : Apr 11, 2020, 7:01 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.