কলকাতা, 27 জানুয়ারি : কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ বঙ্গ সফরে আসছেন আগামী শনিবার৷ আর তার আগের দিন শুক্রবার, 29 জানুয়ারি কালীঘাটে জরুরি বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের সমস্ত সাংসদ ও বিধায়কদের ওই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে।
তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে একের পর এক নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। সম্প্রতি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়া, প্রবীর ঘোষালদের নিয়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। রাজীব মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন ৷ প্রবীর ঘোষাল দলের বেশ কয়েকটি পদ ছেড়েছেন ৷ ইতিমধ্যেই দল বিরোধী কাজের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াকে। শোকজ করা হয়েছে প্রবীর ঘোষালকেও। দল বিরোধী বক্তব্য বা বেসুরো মন্তব্য করলে কাউকে আর রেয়াত করা হবে না বলে কড়া বার্তা দিচ্ছে তৃণমূল।
এরই মধ্যে আগামী 30 জানুয়ারি রাজ্য সফরে আসছেন অমিত শাহ। তাঁর সভা মঞ্চে দলের বেশ কিছু নেতাকর্মী যোগ দিতে পারেন বলেই মনে করছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই দলের ভাঙন আটকে ঘর গোছাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই কারণে আগামী শুক্রবার কালীঘাটের বাড়িতে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে যে এই বৈঠকে প্রতিটি কেন্দ্র ধরে ধরে পর্যালোচনা করবেন তিনি। এছাড়াও এই বৈঠক থেকে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য রণকৌশল তৈরি করবেন৷
আরও পড়ুন : কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে কেন নীরব মোদি, প্রশ্ন সৌগতের
তবে রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, অমিত শাহের সভায় যাঁরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করবেন, তাঁরা স্বাভাবিক ভাবেই ওই বৈঠক এড়িয়ে যাবেন৷ নানা কারণও দেখাবেন বৈঠকে অনুপস্থিতির জন্য ৷ সেক্ষেত্রে তৃণমূলের পক্ষে দল বিরোধীদের চিহ্নিত করে আগে থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হবে ৷