কলকাতা, 28 সেপ্টম্বর: পিতৃপক্ষ শেষ ও দেবীপক্ষের সূচনা 2 অক্টোবর ৷ মহালয়ার সেদিন আরজি করের নির্যাতিতার আত্মার শান্তি কামনা করে 'তর্পণে তিলোত্তমা' কর্মসূচির ডাক দিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা ৷ এদিন যেমন মা দুর্গার আগমনীর সুর বেজে ওঠে তেমনই সেইদিন পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তি কামনায় তর্পণের রীতি রয়েছে। আর এবার পিতৃপুরুষদের আত্মার শান্তি কামনার পাশাপাশি সবাই যেন আরজি করের নির্যাতিতার আত্মার শান্তি কামনা করেন ৷
শনিবার সেই আবেদন জানালেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এদিকে ফের পূর্ণ কর্মবিরতি ডাক জুনিয়র চিকিৎসকদের। সোমবার বিকেল থেকে সম্পূর্ণভাবে কর্ম বিরতির ডাক দিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
আজ চিকিৎসদের একাংশ এবং নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে একটি প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে এই কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়। আরজি কর কাণ্ডের পেরিয়ে গিয়েছে 51 দিন। আরজি করে নির্যাতিতার ধর্ষণ ও খুনের বিচারের দাবিতে যে আন্দোলন জুনিয়র চিকিৎসকরা শুরু করেছিলেন তা আর শুধু তাঁদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। বরং তা ছড়িয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। আন্দোলনের রেশ গিয়ে পড়েছে বিদেশেও। তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে আন্দোলন ৷ তবুও এখনও বিচার হয়নি নির্য়াতিতার।
এই বিষয়ে আন্দোলনে সামিল হওয়া জুনিয়র চিকিৎসক শিল্পী মণ্ডল বলেন, "আর কয়েকদিন পরই মহালয়া। এরপর রাজ্যব্যাপী মানুষজন উৎসবে মাতোয়ারা হবেন ৷ তবে এবারের দুর্গাপুজোয় শুধুই বিষাদের সুর। কারণ তিলোত্তমা সবার মেয়ে। যাঁর ন্যায় বিচার এখনও হল না। তাই এবার জুনিয়র চিকিৎসক থেকে শুরু করে সিনিয়র চিকিৎসক সাধারণ মানুষ, ডাক্তারি পড়ুয়া, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এবং অন্যান্য বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা একত্রিত হয়ে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, তিলোত্তমা আত্মার শান্তির কামনায় আমরা তর্পণ করব ৷"
আজ জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পূর্বপুরুষের নামে তর্পণ করার পাশাপাশি আরজি করের নির্যাতিতারও জন্য শান্তির কামনা করতে হবে। 'তর্পণে তিলোত্তমা' কর্মসূচির পাশাপাশি এদিন চিকিৎসকদের একাংশ জনসাধারণের কাছে আবেদন করেন, পুজোর সময় বেরিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে স্লোগান তুলুন, 'জাস্টিস ফর আরজি কর' এবং 'জাস্টিস ফর তিলোত্তমা'। তাঁরা আরও জানান, প্রতিবাদের যে আগুন সকলের মননে লেগেছিল সেই শিখাকে নিভতে দেওয়া যাওয়া যাবে না ৷