কলকাতা, 5 মার্চ : মর্গে থাকার কথা। অথচ, অর্থোপেডিক বিভাগের ডাক্তারদের পড়ানোর ঘরে মিলল ফর্মালিনে ডোবানো মানুষের কাটা পা। এই পা এখানে এল কীভাবে, তার উত্তর খুঁজছে কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ এই কাটা পায়ের খোঁজ মেলে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অর্থোপেডিক বিভাগের ডাক্তারদের পড়ানোর ওই ঘরে সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে পূর্ত দপ্তরের কর্মীরা ওই ঘরটি খোলার পরে ফর্মালিনে ডোবানো একটি কাটা পা দেখেন। হাসাপাতালে এভাবে মানুষের কাটা পা রাখা দেখে ভয় পেয়ে যান ওই কর্মীরা। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর পৌঁছায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে।
কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এই কাটা পা হাসপাতালেরই কোনও রোগীর শরীর থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। তবে, তা অর্থোপেডিক বিভাগের ডাক্তারদের পড়ানোর ঘরে থাকার কথা নয়। মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কোনও রোগীর পা কেটে বাদ দেওয়া হলে তার ডেথ সার্টিফিকেট ইশু করা হয়। অন্য কোনও অঙ্গ কেটে বাদ দেওয়া হলেও ডেথ সার্টিফিকেট ইশু করা হয়। কাটা পা-এর ডেথ সার্টিফিকেট ইশু করার পর তা ফর্মালিনে ডুবিয়ে মর্গে পাঠিয়ে দেওয়া হয় সংরক্ষণের জন্য। যাতে সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট রোগীর পরিজনরা নিয়ে যেতে পারেন সেটি।
হাসপাতাল জানাচ্ছে, কাটা পা যে ঘরে পাওয়া গিয়েছে, সংস্কারের কাজ শুরু হওয়ার আগে পর্যন্ত সেই ঘরের চাবি থাকত অর্থোপেডিক বিভাগের ডাক্তারদের কাছে। অর্থোপেডিক, প্লাস্টিক সার্জারি সহ অন্য কয়েকটি বিভাগের অপারেশন থিয়েটারে কোনও রোগীর পা কেটে বাদ দেওয়া হতেই পারে। কোন বিভাগের কোন রোগীর শরীর থেকে পা কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে, তার খোঁজ শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট কাম ভাইস প্রিন্সিপাল (MSVP) ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন, "ফর্মালিনে ডুবিয়ে রাখা কাটা পা কোনও রোগীর শরীর থেকে কেটে বাদ দেওয়া হয়েছিল। কোন বিভাগে তা হয়েছিল, তার খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। কীভাবে অর্থোপেডিক বিভাগের ডাক্তারদের পড়ানোর ঘরে ওই কাটা পা পৌঁছাল, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।"