কলকাতা, 21 এপ্রিল: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থুতু ফেলা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে বারবার। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও রাস্তাঘাটে থুতু ফেলতে নিষেধ করেছেন। লকডাউনের প্রোটোকলের মধ্যে বিষয়টি রয়েছে। কারণ কোরোনা ভাইরাস ছড়ায় লালারসের মাধ্যমেই।কোরোনা সংক্রমণ যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে তাতে থুতু মারাত্মক হতে পারে। কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকেও এই বিষয়টি বারবার করে মাইকিং করে বলা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও মানুষের সেই প্রবণতা কমেনি। আর তাই এবার রাস্তায় থুথু ফেলতে দেখলেও গ্রেপ্তারের সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুলিশ। আজ সারাদিনে প্রকাশ্যে থুতুফেলার অপরাধে 25 জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রকাশ্যে গুটখা, পান মশলার মতো তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার বন্ধ করা যায় কিনা সেই ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে চিবিয়ে খাওয়ার পর তামাক, পান মশলা কিংবা সুপারি মুখের মধ্যে অতিরিক্ত লালার জন্ম দেয়। একই কথা খৈনির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
থুতু ফেলার এই প্রবণতা না কমলে আরও দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে। আজকের মুখ্য সচিব রাজীব সিনহাকে দেওয়া একটি চিঠিতেও সেই আশঙ্কার বিষয়টির উল্লেখ ছিল বলে জানা গেছে। সংক্রমণ প্রতিরোধে ইতিমধ্যেই বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানার মতো কয়েকটি রাজ্যে গুটখা, পান-মশলা বিক্রয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে ৷
এর আগে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষে গত 7 নভেম্বর থেকে গুটকা ও পান-মশলার বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কিন্তু তারপরেও সেসব বিক্রি বন্ধ হয়নি। অভিযোগ, লকডাউনের মাঝেও কলকাতায় লুকিয়ে-চুরিয়ে বিক্রি হচ্ছে গুটখা। একদল মানুষ থুতু ফেলেই চলেছেন। কিন্তু লালবাজারের সাফ কথা, রাস্তায় থুতু ফেললে আর রেয়াত করা হবে না। আজ সেই কারণে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে 25 জনকে। মাস্ক না পরার জন্য আজ গ্রেপ্তারির সংখ্যা শতাধিক। এছাড়া, কলকাতা পুলিশের বারবার নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও লকডাউন ভেঙে অনেক মানুষ রাস্তায় এখনও বের হচ্ছেন। আজ কলকাতায় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে 21 টি গাড়ি এবং বাইক।