কলকাতা, 6 জানুয়ারি : অবিলম্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্যাম্পাস ও হস্টেল খোলার দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। এদিন দুপুরে আর্টস ফ্যাকাল্টি স্টুডেন্ট ইউনিয়নের ডাকে মিছিল করে পড়ুয়াদের একাংশ। মিছিল শেষে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যের কাছে নিজেদের দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি জমা দেন বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা। আর বাইরে চলতে থাকে দাবি আদায়ের লক্ষে অবস্থান।
তাঁদের দাবি নিয়ে AFSU-র সদস্য শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "কোরোনার জন্য যে লকডাউন চলছিল, তা দেশ ও রাজ্যে ধীরে ধীরে খুলছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, সেন্ট্রাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি হস্টেল বা লাইব্রেরির মতো জায়গাগুলি খুলে দিয়েছে। এখন আমাদের রাজ্যের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বা রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে। কিন্তু, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন স্তরের ছাত্র-ছাত্রীরা আসে এবং তাঁদের সকলের পক্ষে অনলাইনে অ্যাক্সেস করাটা সম্ভব হয়ে ওঠে না তাঁদের অর্থনৈতিক কারণে। শুধু তাই নয়। বিভিন্ন জায়গায় যে নেটওয়ার্ক থাকে তাও নয়। সেক্ষেত্রে পড়ুয়াদের মধ্যে সহজেই একটা ডিভাইড হয়ে যাচ্ছে। যারা অনলাইনে ক্লাস করতে পারে, আর যারা অনলাইনে অ্যাক্সেস করতে পারে না তাদের মধ্যে।"
শুভদীপ আরও বলেন, "এই সমস্যার কথা মাথায় রেখে আমরা সহ-উপাচার্যের কাছে দাবি করেছি যে, ধাপে ধাপে বিজ্ঞান এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্যাম্পাস খোলার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় এগোক। রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলুক, যার সঙ্গে ইচ্ছে তার সঙ্গে কথা বলুক। কিন্তু, পড়ুয়াদের অসুবিধাগুলি দেখতে হবে। আর এই অসুবিধাগুলির সমাধান একটাই, ক্যাম্পাস আস্তে আস্তে খুলুক। আমরা চাইছি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্যাম্পাস খুলুক। প্রথমে প্রয়োজন হলে ধাপে ধাপে খোলা হোক। হস্টেল, লাইব্রেরি, ল্যাব এসব খোলা হোক। হসপিটালে সঙ্গে কথা বলে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা কোয়ারানটিন সেন্টার করা হোক। মোটামুটি স্বাস্থ্যবিধি সব মেনে ক্যাম্পাস খোলা হোক এটাই আমাদের দাবি।"
আরও পড়ুন: সৌমেন্দুকে কেন পদচ্যুত, রাজ্যের কাছে জানতে চাইল হাইকোর্ট
ক্যাম্পাস খোলার দাবি এর আগেও তোলা হয়েছিল পড়ুয়াদের তরফে। প্রতিবারই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁদের জানানো হয়েছে, ক্যাম্পাস খোলার সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার। তাই রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া ক্যাম্পাস খোলা সম্ভব নয়। স্থায়ী ক্যাম্পাস খোলা নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কথা বলুক এই দাবি তুলেছিলেন পড়ুয়ারা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলার আসে এদিন সন্ধ্যা 6টা নাগাদ অরবিন্দ ভবনের সামনে অবস্থান তুলে নেন পড়ুয়ারা।