কলকাতা, 31 মে : কল সেন্টারের আড়ালে প্রতারণা চক্র ৷ এমন খবর হামেশাই শোনা যায় ৷ কিন্তু কল সেন্টারের সঙ্গে জঙ্গি যোগ ! এমন অভিযোগ এখনও পর্যন্ত খুব একটা সামনে আসেনি ৷ যদিও চাঞ্চল্যকর এই তথ্য হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের ৷ মানুষকে ঠকিয়ে ভুয়ো কল সেন্টার থেকে যে আয় হয়, তার একটা বড় অংশ জঙ্গিদের হাতে চলে যাচ্ছে (Fake Call Centers Allegedly Involved in Terror Funding) ৷ এমন তথ্য জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা ৷ এই চক্রে লস্কর-ই-তৈবার (Lashkar-E-Taiba) মতো জঙ্গি সংগঠন রয়েছে বলেও খবর ৷
এমন তথ্য হাতে আসার নড়েচড়ে বসেছে লালবাজার (Kolkata Police) ও রাজ্য পুলিশ (Bengal Police) ৷ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কল সেন্টারগুলির উপর নজরদারি শুরু করেছেন গোয়েন্দারা ৷ কোন কল সেন্টার আসল, আর কোন কল সেন্টার ভুয়ো (Fake Call Centers), তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ কী কী কাজ চলছে সেখান থেকে, সেটাও জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা ৷
পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, কলকাতা শহর ও শহরতলিতে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে কল সেন্টার ৷ তার একটা বড় অংশ ভুয়ো ৷ সেখান থেকে বিভিন্ন ভাবে মানুষকে প্রতারিত করা হয় ৷ প্রতারণার ফলে যে টাকা আসে, সেই টাকা থেকেই জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির কাছে অর্থ যাচ্ছে ৷ সম্প্রতি কলকাতা বন্দর এলাকার হাইড রোডে ও একবালপুর থানার ময়ূরভঞ্জ রোডে বেশ কয়েকটি কল সেন্টারের সঙ্গে জঙ্গিযোগের প্রমাণ মিলেছে ৷
জানা গিয়েছে যে বিষয়টি প্রথম নজরে আসে এনআইএ (NIA)-র ৷ তারাই কলকাতা ও রাজ্য পুলিশকে বিষয়টি জানায় ৷ আর তার পর থেকেই পুলিশও নজরদারি বাড়িয়েছে ৷
পুলিশের একাংশের মতে, এভাবে জঙ্গিদের দু’টো লাভ হচ্ছে ৷ একদিকে ভারতের অর্থনীতিকে ধাক্কা দেওয়া হচ্ছে ৷ অন্যদিকে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালানোর জন্য অর্থের সংস্থান হচ্ছে তাদের ৷ এর আগে জাল নোট ছড়িয়ে একই প্রচেষ্টা চালাত জঙ্গিরা ৷ কিন্তু পুলিশি ধরপাকড়ে বঙ্গে জালনোটের কারবার অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ৷ তাই এবার জঙ্গিরা অন্য পন্থা নিয়েছে বলে গোয়েন্দারা মনে করছেন ৷
আরও পড়ুন : Fake Call Center : চাকরি দেওয়ার নামে ভুয়ো কল সেন্টার খুলে প্রতারণা, গ্রেফতার 7