কলকাতা, 25 অক্টোবর: মুহূর্তের অসতর্কতা । আর তাতেই অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে যাচ্ছে টাকা । গোটা পৃথিবীতেই সাইবার অপরাধের মাধ্যমে ব্যাঙ্ক প্রতারণা এখন সবচেয়ে বড় অপরাধ । ব্যতিক্রম নয় ভারতও । কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দীর্ঘদিন ধরেই করছিল চিন্তাভাবনা । তার জেরেই তৈরি হল “সাইবার সেফ"।
গোয়েন্দাদের আশা, নাগরিকদের আমানত সুরক্ষিত করতে কার্যকর হবে প্রযুক্তিগত এই প্রকল্প । দেশের গোয়েন্দাদের পরামর্শ ছিল, বেড়ে চলা এই অপরাধ কমাতে এক ছাতার তলায় আনতে হবে দেশের সবকটি তদন্তকারী সংস্থাকে । তারপর সাইবার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে তৈরি হয়েছে সাইবার নিরাপত্তা প্রকল্প । দেশের সবকটি তদন্তকারী সংস্থাকে নিয়ে আসা হয়েছে এক ছাতার তলায় । কলকাতা পুলিশ, CID, রাজ্য পুলিশ সহ প্রত্যেকটি সংস্থার একজন করে অফিসারকে নিয়োগ করা হয়েছে নোডাল অফিসার হিসেবে । দেশের প্রতিটি রাজ্যের অফিসাররাও একইভাবে যুক্ত এই প্রকল্পেই ৷
কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে নোডাল অফিসার হয়েছেন সাইবার অপরাধদমন শাখার DC । ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের সাইবার বিভাগের প্রথম পর্যায়ের ট্রেনিং শেষ হয়েছে বলে লালবাজার সূত্রের খবর । সাইবার বিভাগে কর্মরত সব অফিসারকেই দেওয়া হয়েছে এই প্রশিক্ষণ ৷ এই বিষয়টি পরিচালনা করছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অফিসাররা । কিন্তু কী ভাবে কাজ করবে এই সাইবার নিরাপত্তা?
লালবাজার সূত্রের খবর, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তৈরি করেছে অত্যাধুনিক এক প্রযুক্তি । যে কোনও নাগরিক যদি ব্যাঙ্ক প্রতারণার শিকার হন তিনি 10 মিনিটের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট নম্বরে সেটি জানালে বেঁচে যাবেন প্রতারণার হাত থেকে । বিভিন্ন পন্থায় টাকা কেটে নিলেও বন্ধ করে দেওয়া হবে সেই 'গেটওয়ে'। প্রতারিত ফেরত পেয়ে যাবেন সেই টাকা । পাশাপাশি যে প্রতারক ওই প্রচারণা চালাচ্ছিলেন তার মোবাইল নম্বরটিও শনাক্ত করে আটকে দেওয়া হবে মুহূর্তের মধ্যে । মোবাইল নম্বরেই চিহ্নিত করা হবে প্রতারককে । ওই মোবাইলের লোকেশন সহ সব তথ্য চলে আসবে পুলিশের হাতে । তৎক্ষণাৎ সেই অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে পারবে পুলিশ । পুরো প্রক্রিয়াটি এত দ্রুত হবে, প্রতারকরা বুঝে ওঠার আগেই চক্র চলে আসবে পুলিশের জালে । লালবাজারের তরফে এই বিষয়ে একটি টোল ফ্রি নম্বর চালুর চিন্তাভাবনা চলছে । ব্যাঙ্ক প্রতারণা রোধে যে নম্বরটি রয়েছে, সেটিও যুক্ত হতে পারে৷